সকল স্বপ্ন সত্য হবে- ছেড়েছি এই আশা, জরুরী নয় সব স্বপ্নই- সত্য রুপে আসা... ছোটবেলা থেকেই 'সুকুমার রায়' আমার অসম্ভব একজন প্রিয় ব্যাক্তিত্ব। তার লেখা পড়ে সবসময় ভিন্ন একধরনের স্বাদ পেতাম। তার একটি বই 'আবোল- তাবোল', যেখানে 'খিচুড়ি' নামক অসাধারন একটা কবিতা ছিলো। ছেলে- বুড়ো সবার জন্যই সমান মজার একটা কবিতা। এই কবিতায় কাল্পনিক যে প্রাণীগুলোর কথা সুকুমার উল্লেখ করেছেন সেগুলো হলো- হাঁসজারু (হাঁস+সজারু), বকচ্ছপ (বক+কচ্ছপ), গিরগিটিয়া (গিরগিটি+টিয়া), বিছাগল (বিছা+ছাগল), জিরাফড়িং (জিরাফ+ফড়িং), মোরগরু (মোরগ+গরু), হাতিমি (হাতি+তিমি), সিংহরিন (সিংহ+হরিন)
তো, ছোটবেলায় যখন সেই কবিতাটা পড়তাম, মনে মনে কল্পনা করার চেষ্টা করতাম- কবিতায় বর্ণিত সেই কাল্পনিক প্রাণীগুলো যদি বাস্তব হতো তবে দেখতে কেমন হতো ???
সুকুমার নিজে অবশ্য এদের মধ্যে কয়েকটার কাল্পনিক স্কেচ একে গেছেন।
আমি ছবির মাধ্যমে সেগুলোকে কিছুটা বাস্তব রুপ দেয়ার চেষ্টা করেছি (এডিটিংয়ে আমার তেমন দক্ষতা নেই তারপর নিজের কৌতূহল মেটানোর জন্যই জিনিষটা করলাম)-
তাহলে চলুন দেখি, সুকুমারের বিখ্যাত 'খিচুড়ি' কবিতার সেই কাল্পনিক প্রাণীগুলোর বাস্তব রুপ-
হাঁস ছিল, সজারু, (ব্যাকরণ মানি না),
হয়ে গেল `হাঁসজারু' কেমনে তা জানি না।
বক কহে কচ্ছপে--- বাহবা কি ফুর্তি!
অতি খাসা আমাদের 'বকচ্ছপ' মূর্তি।
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারি শঙ্কা---
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লঙ্কা?
ছাগলের পেটে ছিল না জানি কি ফন্দি,
চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি!
জিরাফের সাধ নাই মাঠে-ঘাটে ঘুরিতে,
ফড়িঙের ঢঙ ধরি সেও চায় উড়িতে।
গরু বলে, 'আমারেও ধরিল কি ও রোগে'?
-মোর পিছে লাগে কেন হতভাগা মোরগে?
হাতিমির দশা দেখ--- তিমি ভাবে জলে যাই,
হাতি বলে, 'এই বেলা জঙ্গলে চল ভাই'
সিংহের শিং নেই, এই তার কষ্ট---
হরিণের সাথে মিলে শিং হল পষ্ট।
বিঃদ্রঃ- উপরের প্রাণীগুলো বাস্তব, না।
এরাও যথারীতি এডিটিংয়ের শিকার এবং এজ ইউজুয়াল 'নির্বিকার'
------------------------------------ -------------------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।