বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ... গতকাল রমনা লোকাল ট্রেনে কুড়িগ্রাম যাচ্ছিলাম। কাউনিয়া জংশনে ট্রেনের সহকারী ড্রাইভার নেমে চা পান খাচ্ছিলেন, এদিকে মুল ড্রাইভার ট্রেন ছেড়ে দেন। অর্ধকিলোমিটার ট্রেনটি যাওয়ার পর ট্রেন অটোমেটিক থেমে যাওয়ায় সেই সহকারী ড্রাইভারকে দৌড়িয়ে আসতে দেখা গেলে ঘটনা ফাঁস হয়। সেই সহকারী ড্রাইভার রেগে গিয়ে বলেন আমি সরকারি আর উনি (মুল ড্রাইভার) চুক্তিভিত্তিক। উনি এই কাজ কেন করলেন।
ট্রেন ছেড়ে দেয়ার পর মুঠোফোনে তিনি ট্রেন থামাতে বলায় অর্ধকিলোমিটার দুরে গিয়ে ট্রেন থামে। লোকাল ট্রেন তারা ইচ্ছামাফিক চালান। টাইম টেবিলের ধার ধারেন না যে এটা আরো স্পস্ট বোঝা গেলো কুড়িগ্রাম স্টেশনে গিয়ে। কারন সেখানে গিয়ে ট্রেন অযৌক্তিকভাবে থামিয়ে রাখা হয়। পরে জোরাজুরি এবং সাংবাদিকতার পরিচয় দেয়ার পর ট্রেন চিলমারীর উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
কুড়িগ্রাম স্টেশন মাস্টার বড়ই অমায়িক লোক আমরা সাংবাদিক জেনে তিনি তাড়াতাড়ি ট্রেন ছাড়ার জন্য ট্রেনের গার্ডকে বলেন। আমাদেরকে সবচেয়ে ভালো বগিতে আসন করে দেয়ার ব্যবস্হা করেন। ট্রেনের শিডিউল এখন ট্রেনের ড্রাইভারদের কাছে খুবই সিম্পল একটি ব্যাপার যেখানে আন্তঃনগর ট্রেনের শিডিউল ভাঙতে তারা বিন্দুমাত্র কার্পন্য করেন না,সেখানে লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে খুবই নগন্য ব্যাপার। কারন হিলিতে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ না থাকা সত্ত্বেও চোরাচালানীদের সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে আনায়াসে ট্রেন থামিয়ে দেন। সেখানে ভারতীয় মালামাল ওঠার পর ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছাড়ে।
ট্রেনের বগিতে প্রকাশ্যেই চোরাচালানীদের সাথে জিআরপি পুলিশসহ অন্যান্যদের লেনদেন হয়। যাত্রীরা ঢাকায় অথবা খুলনা পৌছান হিলিতে আধঘন্টা বিরতির কারনে পরবর্তী স্টেশনে ধাক্কা খেয়ে খেয়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর। এভাবেই ঢাকাগামী ও খুলনাগামী উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি ট্রেনের শিডিউল প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। ঢাকাগামী আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের শিডিউলের প্রতিনিয়ত এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
[ আমার পোস্টগুলো ফেইসবুকে পেতে হলে এই পেইজটায় জয়েন করতে হবে https://www.facebook.com/dhaka.1000 ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।