সামহোয়ার কে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় গুরুজী মানবতার কল্যানে সৃষ্টির সেবায় আমাদেরকে আত্মনিয়োগ করার জন্য যেভাবে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন তারই একটি বাস্তব উদাহরন হলো কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। এবার কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের এস এস সির রেজাল্ট খুবই ভাল হয়েছে। অভিনন্দন কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের সাথে জড়িত সকলকে। কসমো স্কুলের ছাত্ররা এখন আমাদের অনুপ্রেরণার উৎসে পরিনত হয়েছেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের শিশু কানন যেভাবে গড়ে উঠেছে বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের কল্যাণ আলোকিত করার জন্য তেমনি একটা প্রতিবেদন প্রথম আলোর ৬ই- মে, ২০১২ ছুটির দিনে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে "অচ্ছুত সামন্ত ওডিশার বিস্ময়" নামে।
আমার কাছে অচ্ছুত সামন্তের মনছবির সাথে একাত্মতা এবং কর্ম সম্পর্কে তাঁর যে দৃষ্টিভঙ্গি তা আমাদের শ্রদ্ধেয় গুরুজীর মতোই মনে হয়েছে। অচ্ছুত সামন্তের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইটি বা কিট) ও কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কেআইএসএস বা কিস) কে পরিনত করেছেন বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালে। তার এই শুন্য হতে পূর্ণতার পরিণত হবার আংশিক প্রতিবেদন জনাব ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর লেখা হতে প্রকাশ করছি।
অচ্ছুত সামন্তের বয়স ৪৭ এবং এ বয়সেই তিনি অর্জন করেছেন ইন্ডিয়ায় সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালের চেন্সেলর হবার গৌরব। তার প্রতিষ্ঠিত কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কেআইএসএস বা কিস) তাকে দিয়েছে অসংখ্য মানুষের ভালবাসা ও তিনি পরিনত হয়েছেন ভরসার কেন্দ্র বিন্দুতে।
কারন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি হচ্ছে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি যেখানে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৭ হাজার আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাৎসরিক আয় ৩০০ কোটি ইন্ডিয়ান রুপি। এই আয়ের ৫ শতাংশ তিনি ব্যয় করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স এর জন্য। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি শুরুটা ছিল খুবই সাদা মাটা, মাত্র ৫ হাজার টাকা ও একটি ছোট ঘরে ১২ জন ছাত্র নিয়ে অচ্ছুত সামন্ত যাত্রা করেছিলেন একটি কারিগরি প্রতিষ্ঠানের । এখন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি ও কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের নিজেদের জায়গার পরিমান ৫০৯ একর, ৫৫০০ স্থায়ী প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রায় তিন হাজার চুক্তি ভিত্তিক কর্মী সহ মোট ৪০ হাজার মানুষের দ্বারা তৈরি হয়েছে আলোকিত মানুষ গড়ার এক অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মীদের অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন যারা সেবক হওয়ার মাধ্যমে বেছে নিয়েছেন অচ্ছুত সামন্তের জীবনাদর্শ।
কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সের ছাত্র ছাত্রীরা হলো ভারতের ওডিশা রাজ্যের অবহেলিত আদিবাসীদের সন্তান। কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের মতো অচ্ছুত সামন্তের এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া, থাকা খাওয়া সবই করছে বিনা মূল্যে। এখানে প্রতি বছর ভর্তির জন্য আবেদন জমা পরে অন্তত ৫০ হাজার তবে প্রথম দিগে এখানে পড়ানোর জন্য বাচ্চাদের খুজে খুজে আনতে হতো। লেখাপড়ার পাশাপাশি 'কিস' এর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করে বয়ে এনেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও খ্যাতি।
অচ্ছুত সামন্তের বেশ কিছু গুণ ও বক্তব্য আমার খুবই ভাল লেগেছে, আমি সেগুলো উল্লেখ করছি।
একজন সমমর্মী নেতার মত তিনি ক্ষমতাকে নিজের কাছে কেন্দ্রিভুত করে রাখেন নি।
তিনি বলেন, " আমার মা আমার আদর্শ। মা বাদে অন্য কেউ নয়। আমার মা একটা কথা সব সময় বলতেন, কেউ যদি ভালো কাজ করে, তাহলে আজ না হয় কাল ফল সে পাবেই। মায়ের এই কথাটা আমি সব সময় মনে রেখেছি।
পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। "
তিনি তার ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন " আজকালকার যুগে ভালো মানুষ মেলা মুশকিল। তোমরা যদি ভালো মানুষ হয়ে বের হতে পারো, সেটি হবে আমার সবচেয়ে বড় সন্তুষ্টি। " তাছাড়া তাঁর একটি মনছবি হলো এই দশকের মধ্যে ২০ লাখ আদিবাসী ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করা। আর এ জন্যই তিনি প্রতিদিন ১৮ ঘন্টা কর্মব্যস্ত থেকে ছুটি না নিয়ে বেশ সুখী।
আরেকটি ভাল লাগা বিষয় হলো সেখানে ৫০ জন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আছেন।
সূত্র: Click This Link
আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি প্রথম আলোর প্রতিবেদক ইকবাল হোসাইন চৌধুরীকে এবং কোরামের মাধ্যমে তাকে লামাতে আমাদের কোয়ান্টামম পরিদর্শণ করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আসলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনে সৃষ্টি সেবায় যত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা কোন একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নিজেই নিজের উদাহরন হয়ে গেছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।