emotional fool বাংলাদেশ এখন চরম একটা ক্রান্তিকাল পার করছে। যা একদিন ইতিহাসের পাতায় অনেক কঠিন করে লেখা থাকবে। ধর্ম নিয়ে এই রকম বাড়াবাড়ি এর আগে কখনও হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। এই দেশের মানুষ যে এতো ধর্ম বুঝে আগে কখনও দেখা যাই নি। এখন পরিস্থিতি দেখে বুঝা যাচ্ছে সবাই শুধু মাত্র ধর্ম পালনে শুধু নই ধর্ম সম্বন্ধেও অনেক জ্ঞান রাখি।
সবাই কেই দেখছি ধর্ম সম্পর্কে কথা বলতে। সবাই এখন হাদিস, কোরআন এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিচ্ছে। যার পক্ষে যে হাদিস যাচ্ছে, সেই দেখি তার পক্ষে অই হাদিস বের করে দেখাচ্ছে। কোরআনের তর্জমা করে যাচ্ছে। আস্তিক, নাস্তিকতার সংজ্ঞাই দেখা দিচ্ছে বিশাল জটিলতা।
আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান মতে আস্তিক হল যে ধর্মে বিশ্বাসী। আর নাস্তিক হল যারা ধর্মে বিশ্বাস করে না। তবে আমার জানা মতে তারা কোন ধর্মে আঘাত লাগে এমন কোন কর্মও করে না। বরং অন্ন ধরমালম্বি কে তার ধর্ম পালনে সহযোগিতা করে।
আমাদের দেশে এখন একজন আর একজন কে ধর্ম ব্যাবসায়ে, নাস্তিক,ধর্ম অবমাননাকারি হিসাবে আখ্যায়িত করছে।
যে যার মতো ধর্মের ব্যাখ্যা দিচ্ছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুখজনক যে আমাদের জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এই ব্যাপারে রহস্য জনক ভাবে একদম নিশ্চুপ। তাদের কি উচিৎ ছিলনা দেশের এই ধর্ম যুদ্ধে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা? দেশের ধর্ম যুদ্ধে যদি জাতীয় মসজিদ এইভাবে নিশ্চুপ থাকে তাহলে ধর্ম প্রান মুসুল্লিরা কার কাছে সঠিক ভাবে ধর্মের দিকনির্দেশনা পাবে!! আমাদের জাতীয় খতিব কি দেশের এই পরিস্থিতি কিছুই কি দেখছেন না? নাকি তিনি সরকারের আজ্ঞার অপেক্ষাই আছেন? মাওলানা সালাউদ্দিন হুজুর আপনে জাগুন, দেখেন আজকে আমাদের দেশের মুসলমানদের কি করুন অবস্থা। আপনি একটি দায়িত্বশীল ও অরাজনৈতিক বক্তৃতা প্রদান করে দেশকে ধর্মীয় হানাহানির হাত থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা করুন। মৃত্যুর পর কিন্তু আপনাকেও এই জন্য আল্লাহর কাছে জবাব্দিহি করতে হবে।
আজকে এত বরও দায়িত্ব নিয়ে নাকে তেল দেয়ে ঘুমাচ্ছেন। পরকালে কি জবাব দিবেন একটু ভেবে রাখবেন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।