পৃথিবীর বাধা-এই দেহের ব্যাঘাতে/ হৃদয়ে বেদনা জমে;-স্বপনের হাতে/ আমি তাই/ আমারে তুলিয়া দিতে চাই। বাংলাদেশের মত অর্ধ-শিক্ষিত জাতির জন্য(স্বাক্ষরতার হার ৬০ ভাগ) গণতন্ত্র কতটা যৌক্তিক তা আমার বোধগম্য হয় না। আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্র এক বিষ কাঁটা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ক্ষমতার উৎস বলা হয় জনগণকে। আর আমাদের এই জনগণের অর্ধেকই অশিক্ষিত।
সরকার গঠন বা প্রতিনিধি কে নির্বাচিত হবে তা নির্ধারণে এই অশিক্ষিত জনগণের ভোটের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি। আমি অশিক্ষিত জনগণকে মোটেও ছোট করে দেখছি না। শিক্ষা মৌলিক অধিকার বিশেষ করে সাংবিধানিক অধিকার হলেও রাষ্ট্র তাদের বঞ্চিত করে রেখেছে। এতে তাদের দায়ভার যতখানি তার চেয়ে আমাদেরও কম নয়।
যাই হোক মূল প্রসঙ্গে আসা যাক, প্রশ্ন করা যায় একজন শিক্ষিত মানুষের ভোট আর একশ জন অশিক্ষিত মানুষের ভোট এক সমান হতে পারে কী না? এই প্রশ্ন করার মানে এই নয় যে, আমাদের সামরিক শাসন প্রয়োজন।
সামরিক শাসন আমাদের কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। পাকিস্তানের দিকে তাকালেই সামরিক শাসনের খায়েস মিটে যায়। আর আমদের সামরিক শাসন নিয়েও তিক্ত অভিজ্ঞতা কমতি নেই।
একজন শিক্ষিত ব্যক্তি যে চিন্তা-ভাবনা করে ভোট দেবে সেই চিন্তা-ভাবনা একজন তো দূরের কথা ৫০ জন অশিক্ষিত ব্যক্তির নিকট আশা করা নির্বুদ্ধিতার শামিল নয় কী?
আমার অভিমত হলো গণতন্ত্রকে ফলপ্রসূ করতে হলে শিক্ষিত জাতি গঠনের বিকল্প নেই। দেশের অর্ধ-শিক্ষিত মানুষগুলোকে আমরা যেদিন শিক্ষিত করতে পারব সেদিনই কেবল প্রকৃত গণতন্ত্রের ফল পাওয়া সম্ভব।
অন্যথায় বারবার আমাদের রাজনীতিকদের হাতের পুতুল হয়েই দিন কাটাতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।