আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কঠোর তদন্তের নির্দেশ ওবামার

কার্টাজেনা, কলম্বিয়া, এপ্রিল ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/রয়টার্স)- কলম্বিয়ায় নিজ দেহরক্ষী দলের গোয়েন্দা সদস্যরা যৌনকর্মীদের সঙ্গে কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার কঠোর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ‘অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস’র (ওএএস) শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে তিনদিন ধরে কলম্বিয়ায় অবস্থান করা ওবামা রোববার এ নির্দেশ দেন। শনিবার থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনটি রোববার শেষ হয়। ওইদিন কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলীয় শহর কার্টাজেনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “তিনি প্রত্যাশা করেন বিদেশে সফরের সময় তার সঙ্গীরা সততা ও মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করবেন। ” “যে সব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে স্পষ্টত তা এই প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়,” বলেন তিনি।

“যদি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগগুলো নিশ্চিত হয় তাহলে আমি অবশ্যই ক্ষুব্ধ হবো। ” গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন ওবামা। “আমি আশা করছি ঘটনাটির অনুপুঙ্খ তদন্ত হবে এবং তা হবে অত্যন্ত কঠোর,” বলেন তিনি। কার্টাজেনার এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কার্টাজেনার যে হোটেলে প্রেসিডেন্ট ওবামার অবস্থান করার কথা তার কাছাকাছি বিচসংলগ্ন অপর একটি হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে তাদের রুমে নিয়ে যায়। এই দলের এক গোয়েন্দা সদস্য হোটেল কর্মীদের তার ব্যাজ প্রদর্শন করে এক যৌনকর্মীকে বিনা রেজিস্ট্রেশনে তার রুমে নিয়ে যেতে চাইলে বিপত্তি বাধে।

এরপর যৌনকর্মীরা অভিযোগ করে মার্কিনিরা তাদের পাওনা অর্থও পরিশোধ করেনি। এ ঘটনায় ওবামরা নিরাপত্তা রক্ষী ৫ মার্কিন সেনা ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ১১ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওবামার সফরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচ মার্কিন সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সদস্যকে ‘অসদাচরণের দায়ে’ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ‘দায়িত্বে অবহেলা’ বিষয়ক প্যানেলের রিপাবলিকান চেয়ারম্যান ড্যারেল ঈসা এক মার্কিন টিভি অনুষ্ঠানে বলেছেন, “এই বিশেষ ঘটনাটিতে প্রেসিডেন্ট হয়তো কোনো বিপদের সম্মুখীন হন নি, কিন্তু অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ছয়মাস আগে বা ছয় বছর পরে দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা যদি তার অসদাচারণের কারণে কোনো অঘটনের শিকার হন বা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন তাহলে কি হবে?” “এ ঘটনার সঙ্গে ১১ জন না বিশজন জড়িত তদন্তের লক্ষ্য তা হবে না, লক্ষ্য হবে কিভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো এবং এর আগে এ ধরনের ঘটনা কতবার ঘটেছে।

এ ধরনের ঘটনা নিশ্চয় এটিই প্রথম নয়, আগে এ ধরনের ঘটনা না ঘটলে এটিও ঘটতো না,” বলেন তিনি। সুত্র: Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।