আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতিবাজদের বিচার চাই

আমি একজন ছাএ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার পরিবারবর্গের হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অবশেষে পাওয়া গেল। এজন্য জাতিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ৩৪ বছর। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে ইতিহাসের জঘন্যতম ও নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসনের প্রবর্তন হল বলে অনেকই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সাধারণ জনগণের এই আশাবাদ বাস্তবে রুপ দিতে হলে সরকারকে সকল ধরনের অপরাধেরই প্রচলিত আইনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ করতে হবে। এই দেশের সম্পদ যারা লুট করেছে, বিদেশের ব্যাংকে যারা টাকা পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় বানিয়েছে, তাদের বিচার জাতি কবে প্রত্যক্ষ করবে, কবে শুরু হবে তাদের বিচার? কবে তারা তাদের কুকীকৃতির জন্য সাজা পাবে? তাদের বিরুদ্ধে কথিত দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠছে তা থেকে কি তারা পার পেয়ে যাবে? তাদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা কতটুকু সত্য? যদি তার এক দশমাংশও সত্য হয় তবে কবে জাতি তাদের আদালতের কাঠগড়ায় দেখতে পাবে? ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জোট সরকারের ভরাডুবির পেছনে যেসকল কারণ রয়েছে তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক জিয়ার কথিত ব্যক্তিগত দুর্নীতি।

সাধারনভাবে মনে করা হত বগুড়া অঞ্চল হচ্ছে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি, কিন্তু সে শক্ত ঘাটিও গত নির্বাচনে নড়বড়ে হয়ে গেছে। অনেক সাধারণ মানুষ তারেক জিয়ার রাজনীতিতে যোগদানকে স্বাগত জানিয়েছিল, আশাবাদী ছিল তরুন নেতৃত্বের প্রতি। কিন্তু তার ব্যক্তিগত দুর্নীতি ও সর্বগ্রাসী লোভের কারণে মানুষ তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ১৯৮১ সালের মে মাসে পিতার মৃত্যুর পর ভাঙ্গা সুটকেস ও সম্বলহীন অবস্থা থেকে কোন যাদুর কাঠির বলে তারেক জিয়া এত অর্থ সম্পদের মালিক হল! বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন অনেক সচেতন তারা নিজেদের ভালমন্দ বুঝতে পারে, বুঝতে পারে দেশের ভাল মন্দ। ১৯৯১ সালে শিক্ষাজীবন শেষ করে অবৈধভাবে দুই বছরের আয়কর রিটার্ন জমা প্রদান করে ব্যবসা জগতে প্রবেশ করেন তারেক জিয়া।

আয়কর রিটার্নে পরিচয় গোপন করা আত্মীয়দের কাছে থেকে দুই বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা উপহার প্রাপ্তি দেখান হয়। যার ব্যবসায়িক জীবন শুরুই অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে। তার ভবিষ্যৎ যে খুব একটা সুখকর হবে না তা বুঝতে খুব বেশী বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই। তারেক জিয়া আয়কর রিটার্নে দেখান ৪০ লাখ টাকা নামসর্বস্ব ৭/৮ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। দেশের সকলেই যদি তার মত ব্যবসায় বিনিয়োগ করে এত লাভ করতে পারত তাহলে দেশে দারিদ্রের হার কমে যেত।

সকলেই বিনিয়োগ এবং ব্যবসাতে উৎসাহী হয়ে উঠত। পর্দার অন্তরালে থেকে তারেক জিয়া তার ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে রাষ্ট্রের শাসনযন্ত্রের প্রতিটি কলকব্জা নিয়ন্ত্রণ করত। এছাড়া দেশের আমদানি-রফতানি, ব্যবসা-বানিজ্য, সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমুহের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলীসহ সকল কর্মকাণ্ড তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়কালে তার আশীর্বাদ পুষ্ট সহচররা হাওয়া ভবনকে পরিনত করে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ সকল কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। আর এভাবে সে হয়ে উঠে দুর্নীতিবাজদের গড ফাদার।

বাংলার মানুষ এখন ঐ সব দুর্নীতিবাজদের বিচার চায়। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.