আমি একজন ছাএ ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত যতদিন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল ততদিন নেপথ্যে থেকে তারেক জিয়া সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাব বিস্তার করে। তারেক জিয়া বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পায় ২০০২ সালে। এখানেও বিএনপির দলীয় রাজনীতিতে যে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই তার প্রতিফলন ঘটে। কোন যোগ্যতা ছাড়াই কেবল পারিবারিক পরিচয়ের কারনে তারেক জিয়া সরাসরি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের পদ লাভ করে। বিএনপির মধ্য বয়সী অনেক ত্যাগী নেতা দলে উপযুক্ত স্থান না পেয়ে মনঃক্ষুণ্ণ হন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পাবার অনেক পূর্ব থেকেই তারেক জিয়া দলে তার প্রভাব বিস্তার শুরু করে। ২০০১ এর নির্বাচনে হাওয়া ভবন উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে। হাওয়া ভবনের সকল শক্তির আঁধার ছিল তারেক জিয়া। এ হাওয়া ভবনে বসেই ২০০১ সাল হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারেক জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতি, সরকারের প্রশাসন, ব্যবসা বাণিজ্য ও অজানা সকল ক্ষেত্রেই তার প্রভাব বিস্তার করে দেশকে দুর্নীতিতে প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে। ব্যক্তিগতভাবে তারেক রহমানের সরাসরি কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকা প্রশ্নাতীত না থাকেলও তার আস্থাভাজন ও আশীর্বাদপুষ্ট বহু রাজনৈতিক নেতাকর্মীই নিজ নিজ এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও রক্ষার জন্য সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী গড়ে তুলেছিল বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে।
বগুড়া জেলাসহ দেশের বহু বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে বিএনপির মুল ও অঙ্গ সংগঠনসমূহে তারই নির্দেশে সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বসানো হয়েছিল। এছাড়াও উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদভিত্তিক জঙ্গি তৎপরতার ব্যাপারে তৎকালীন সরকারের নিষ্ক্রিয়তায় প্রতীয়মান হয় যে, তারেক রহমানের হাওয়া ভবন এ ব্যাপারে জড়িত ছিল। ২১ আগস্টের বোমা হামলায় বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রীদের সংশ্লিষ্টতায় এটা পরিস্কার হয়ে গেছে। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা সহ অন্যান্য ঘটনায় বিএনপির মন্ত্রীদের জড়িত থাকায় প্রমাণিত হয় যে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য এই সব জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রসী কার্যক্রমের প্রতি হাওয়া ভবনের ছিল মৌন সম্মতি এবং এই হাওয়া ভবনের মূল চালিকা শক্তি ছিল তারেক জিয়া। তারেক জিয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাথে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই সাগর ও মোল্লা মাসুদের গোপন যোগাযোগ ছিল বলেও পত্র পত্রিকায় অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযোগ আছে মামুনের মাধ্যমেই হাওয়া ভবন থেকে এসব শীর্ষ সন্ত্রসীকে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। বাংলার জনগন এখন ঐ সব দুর্নীতিবাজদের বিচার চায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।