বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
আজ সকালে বাংলাভিশনের খবরে দেখলাম সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও নাসিরুদ্দিন পিন্টু জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। এই খবর দেখে সঙ্গে সঙ্গে একটি সমীকরণ মাথায় চলে এল। শেখ হাসিনা এখন জামিনে মুক্ত, খালেদা জিয়ার মামলাগুলো ধীরে ধীরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত করা হচ্ছে, অন্যান্য দুর্নীতিবাজরাও ধীরে ধীরে জামিনে বের হয়ে আসছে। এই সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিন থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে সোচ্চার কন্ঠের প্রকাশ ঘটিয়েছিল, এখন সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে তার অধিকাংশই অনুপস্থিত।
একের পর এক দুর্নীতিবাজদের মুক্তির ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের পথ সুগম হচ্ছে এবং তাতে করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে একটি পরম আকাঙ্খিত সরকারের ব্যাপারে দেশবাসীর আশাবাদ ছিল এতদিন, সেই আশা আজ প্রায় ধুলিস্যাৎ হওয়ার যোগাড়। সামনের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান মেয়র বদরুদ্দীন আহমদ কামরান, যিনি এখনও দুর্নীতির দায়ে কারাগারে অবস্থান করছেন। এসমস্ত দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনেরও কোন কার্যকর ভূমিকা জনগণ দেখতে পাচ্ছেনা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকারের সাথে সাথে নির্বাচন কমিশনও দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিতে যথাসাধ্যভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
১১ই জানুয়ারী , ২০০৭ এ যখন বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল, তখন প্রধান উপদেষ্টা তাঁর এক ভাষণে বলেছিলেন, দুই বছরের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণ দেখতে পাবে, যে নির্বাচন হবে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতি ও কালোটাকা মুক্ত।
কিন্তু একের পর এক দুর্নীতিবাজদের এভাবে জামিনপ্রাপ্তিতে আপামর জনগণ এখন সরকারের সেই প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।