তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, কৃষি, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সাতটি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, প্রটোকল ও ইচ্ছাপত্র সই করেছে।
আঙ্কারা সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়েপ এরদোগানের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর সংশ্লিষ্টরা এ চুক্তিগুলো সই করেন।
এগুলোর মধ্যে তিনটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি, দুটি সমঝোতা স্মারক, একটি প্রটোকল এবং একটি ইচ্ছাপত্র।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে টেলিফোনে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্থানীয় সময় বিকেলে (বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে) এই চুক্তি সই হয়।
দুই প্রধানমন্ত্রী চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
এদিন সই হওয়া চুক্তি তিনটি হলো: দুই দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে শুল্ক সম্পর্কিত সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক, দাপ্তরিক ও বিশেষ পাসপোর্টে ভিসামুক্ত যাতায়াত।
সমঝোতা স্মারক দুটি হলো: কৃষিখাতে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিময় কর্মসূচি বিষয়ক।
সই হওয়া একমাত্র ইচ্ছাপত্রটি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জুট স্টাডি গ্রুপে তুরস্কের যোগদান বিষয়ক। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে থাকা জাতিসংঘের এই সংস্থাটিতে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলো তুরস্ক।
স্বাক্ষর হওয়া প্রটোকলটি ধর্মীয় বিষয়ক। তুরস্কের পবিত্র শহর কোনিয়া এবং বাংলাদেশের হজরত শাহজালালের মাজারের শহর সিলেটের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের ওপর এই প্রটোকলটি সই হয়। এর মাধ্যমে কোনিয়া ও সিলেট ‘টুইন সিটি’ (জমজ শহর) হিসেবে পরিচিতি পাবে। কোনিয়া মুসলিম দার্শনিক মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির শহর।
পারস্পরিক বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এবং সিলেট-কোনিয়ার টুইন সিটির প্রটোকল সই করেন সিলেটের মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান।
অন্য চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও ইচ্ছাপত্রে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এর আগে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গেলে তাকে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করে।
চুক্তিগুলো সইয়ের পর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।