আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তুরস্কের সিনেমা - YOL

সহজ মানুষের মতন করে দেখতে চাই

YOL দেখলাম আবার। তুরষ্কের এই সিনেমা YOL ১৯৮২ সালে সারা বিশ্বে খুব আলোড়ন তুলেছিলো। কোস্টা গ্যাভরাসের ছবি ”মিসিং” (চিলির পিনোচেট’র রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়ে ছবি) এর সাথে কান ফেস্টিভালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কারটি জিতে নেয় YOL. ঐবার এ ছাড়াও একই ফেস্টিভালের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিক এ্যাওয়ার্ড পায় ছবিটি। অসাধারণ কাহিনী ও নির্মানশৈলীতা ছাড়াও এত আলোচনার আরেকটা কারণ হোল এর পরিচালক ইলমাজ গুনে। ইলমাজ গুনে একাধারে পরিচালক, লেখক, অভিনেতা।

রাজনীতির কারণে ২০ বছর জেল খেটেছেন তুরস্কের কারাগারে। জেলে থেকেই তিনটি ছবির পরিচালনা করেছেন। ছবি গুলোর চিত্রনাট্য ্এমন ভাবে তৈরী করেছেন যাতে তিনি জেলে থেকেও তা পরিচালনা করতে পারেন, স্ক্রিপ্ট লিখেছেন প্রতি মিনিটের শট বিভাজন করে করে। সেই স্ক্রিপ্ট ধরে তার সহযোগীরা জেল থেকে তার ডিরেকশান নিয়ে শুট করতেন। এ ছবির একটা বড় অংশই এভাবে করা।

যখন ছবিটি প্রায় শেষের দিকে তখন গুনে জেল থেকে পালিয়ে ইউরোপের কোন এক দেশে চলে যান, নিরাপত্তার জন্য দেশের নামটি গোপন রাখেন। সেখানে তিনি এ ছবির এডিটিং শেষ করে কান উৎসবের অফিসে নিজ হাতে ছবিটি নিয়ে হাজির হোন। ছবিটি দেখেই জুরিরা মুগ্ধ হয়ে যান। পুরস্কারের পর ইউরোপ জুড়ে গুনের মুক্তির জন্য শক্ত গণদাবী সৃস্টি হয়েছিলো। তুরস্কের ৫জন কারাবন্দীর এক সপ্তাহের প্যারলে মুক্তির পরের ঘটনা নিয়ে এর কাহিনী।

ছবিটি ভালো লাগবে মনে হয়। যারা দেখেননি, দেখতে পারেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.