I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই গত পর্ব Click This Link
কিন্তু তার আগে যে কিছু বলার ছিলো, আমি তোমাকে.........'' শেষ করতে পারলোনা মায়া!
"জীবনের কোলাহল, থেমে গেছে, থেমে গেছে।
দর্পনে সুন্দর প্রতিচ্ছবি, চলে গেছে, চলে গেছে!"
থামলে তুমি,হলে নীরব, তোমার স্থিরতা দেখে
আজ আমি অচল, অন্তত মনতো তাই বোঝে!
যেন ছন্দ মিলিয়ে বলল শুভ।
"তুমি কি চুপচাপ থাকবে চিরকাল?" নিজের নিস্তব্দতা ভেঙ্গে বলল মায়া।
"তোমার পদশব্দ শুনতে ইচ্ছুক, শোনাবে?" ধিরে ধিরে বলল শুভ।
"আমি হাটি, তুমি কান দিয়ে শুনো, মনযোগ দেবার চেষ্টাও করোনা, কিছুই শুনবেনা তাহলে।
" মায়া হাসলো।
"বুঝনি মেয়ে,
বুঝোনি তুমি
বোঝেনি তোমার মন!
যখনি বলেছি পদশব্দ,
শুধু কি শুনেছ, নাকি বুঝেছও,
ভুলেকি গিয়েছ আমি যে অন্ধ?"
কিছুটা করুন গলায় বলল শুভ।
মায়াকে চুপ থাকতে দেখে সে বলে উঠল,
''দাওনি আমায়, অধিকার,
করিনি প্রত্যাশা তাই,
কিন্তু সেওতো হত সহ্য।
যদিনা রইতে নিশ্চুপ,
যদিনা থামতে অনিশ্চয়তার মাঝে,
বলতে গিয়ে আমায়, 'আমি তোমাকে.......'"
''শুভ, আসবে একটু, জ্যমাইকা বিচে?"
"মেয়ে তুমি বুদ্ধিমতী,
তবে তোমায় বলি,
সাবধান বানী
'অপাত্র হয়না বিশ্বাসী!'"
অনেক হেসে হেসে বলল শুভ।
"বুঝেছি, বুঝেছি এবার,
ছেলে তুমিও বুদ্ধিমান,
তবে জানোনা আজও
আমার মনের শক্তির প্রমান!
হেসে ফেলল মায়া, আরও বলল, "কেমন ছন্দ আর শব্দের মিল আছেতো?"
"আছে, আরো আছে বলার,
"ওহ, তুমিতো মনের রানী,
মুকুট যার মস্তকে পরাবে বলে
শত যুবক হৃদয়ের
জ্যোতি হারানোর পথে"
গম্ভীর গলায় বলল শুভ।
"হয়ত!" ছোট্ট, ক্ষুন্ন গলায় উত্তর দিল মায়া।
"আসো, আজ গোধুলি লগ্নে,
হোক তবে পরীক্ষা, সুর্যের সামনে
ভালবাসি বলবেনা, তবুও দেখি
কার মহত্ত বেশি আমার পানে!
মৃদু হাসলো বলতে বলতে শুভ, মায়ার কথা শুনতে সে অধীর হয়ে গেলো।
"আচ্ছা, আর নয়, আসবে নাকি বলো?" চুপচাপ কথাগুলো উচ্চারন করল মায়া।
"আসো, এসে তোমার মন দিয়ে আমার অসমাপ্ত কথাগুলো গুনে গুনে নিয়ে যাও"
গুন গুন করে বলল মায়া।
''সমুদ্রটা এতো অবুঝের মত গর্জন করছে কেনো বলতো?" মায়া পাশে বসে থাকা শুভর দিকে তাকিয়ে বলল।
"আমার কিন্তু এবার ঈর্ষা হচ্ছে সমুদ্রটাকে" শুভ বেশ জোরে বলল।
"কেনো?" অবাক গলায় বলল মায়া।
"ও তোমাকে দেখে এতো কলরব করছে, কিন্তু সেটাতো আমার করার কথা!" শুভ দুষ্টুমি গলায় বলল।
"তাই?" অবাক হয়ে বলল মায়া, হাসলো দুজনেই।
"হুমম, সমুদ্রটা আমার কানে কানে এসে বলল, ওর তোমাকে ভালো লেগেছে," হাসি আবার ছড়িয়ে পড়ল শুভর মুখে।
"এখন কি করবে তাহলে?" গম্ভীর হতে চাইলো মায়া।
"তোমাকে পেতে হলে ঐ সমুদ্রর আমার সাথে যুদ্ধ হবে!" হাসলো শুভ, নিভৃতে।
"নাহ, সমুদ্রটা বড্ড ভীতু। " শুভ অন্যপাশে বসা মায়ার উদ্দেশ্যে বলল।
"এতক্ষনে সেটা বুঝলে, তা ও কিভাবে আবার ভীতু হল?" মায়া রহস্যময় ভঙ্গীতে বলল।
"প্রথমত, সে তোমাকে ভালবাসার কথা বলতে পারেনি, দ্বিতীয়ত, সে আমার কানে, যে কিনা তোমাকে ভালবাসতে উদ্যত, তাকে বলল। তারপর, তৃতীয়ত, সে আমার ভয়ে চুপ হয়ে গেল, কেমন নিস্তব্দ নীরব অভিব্যক্তি সুর্যটার এখন। " বলল শুভ, মায়ার প্রশ্নের উত্তরে।
"যাহ, এতো পারো" মায়া লজ্জা পেল, অন্যদিকে মুখটা ফেরাল, যদিও শুভ তাকে দেখছে না, কিন্তু সমুদ্রটাই তাকে দেখছে মনে হচ্ছে, ঢেউগুলো দিয়ে।
"কি হল, এত লজ্জা পেতে নেই যে! আমি কবিও নই, কাব্যও নই, আমাকে লজ্জা পেতে নেই" হেসে দিলো বলতে বলতে শুভ।
"তুমি আসোলেই অনেক বলতে পারে এভাবে!" মুচকি হাসলো অনেক মায়া।
"বলবে না?" শুভ জানতে চাইলো, অধীরভাবে।
মায়া শুভর হাতটা ধরে বলল, "বলেছি!"
(সমাপ্ত)
জীবনকে যেভাবে ভাবা হয়, জীবন সেভাবে যায়না। এতক্ষন যা পরলেন, তা হতে পারত, হয়নি। তবে এই হতে পারাটা ছিল আমার কাল্পনা, কিন্তু বাস্তবে মেয়েটি ছেলেটিকে প্রত্যাখান করে, এবং তাই এসব শুধুই কল্পনা।
এবং এই কল্পনা আমার চেনা একজন মানুষকে নিয়ে, তাকে শুভেচ্ছা জানাব, এবং এরকম একটা শেষ দেখতে চেয়েছিলাম তার জন্য, যা এখন শুধুই কল্পনা। তবে দেখা হয়নি, তবে আমি যেটা কল্পনা করছি, সেটাই লিখেছি!
ভালো থাকুন! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।