আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লাইন্ড ডায়নামিক *

I like to hear complain from my readers about my lacks.............................................আমি এক পরী যার ডানাও নেই, আকর্ষনও নেই প্রথম পর্ব- Click This Link কিন্তু উত্তরটা কাপিয়ে দিলো মায়ার মন, নাহ, একটা শব্দ ঐ উত্তরে, খুব চেনা! ''কিন্তু, নাহ,'' সে নিজের মনকে বোঝালো। ''কি নাহ মায়াবী?'' বলল ওপাশ থেকে কেউ। 'আমার নাম আপনি কিভাবে জানেন?'' ''মায়া সে, রাতের নিজস্ব জোছনা কিংবা চাঁদের লুকোচুরি খেলা মেঘের সাথে! মায়া সে, নদীর গভীরতা ভেদ করা কিংবা রুপালি মৎসের অন্তরোদনে! মায়া সে, দুর্গম পাহাড়ি পথে, অরোহীর দুর্জয় ভালবাসাময় চেতনে! মায়া সে.....'' শেষ করতে পারলনা সে, থামিয়ে দিলো মায়া। ''কি বলছেন এসব?'' রাগ প্রকাশের চেষ্টা করল মায়া। ''কেনো, খারাপ লাগছে শুনতে?'' হতবাক হয়ে গেল ওপাশের কেউ! ''লাগছে, কি করবেন?'' কৃত্তিম রাগ দেখাতে চাইল, আর একটু আগের রাগটাও মিলে গেলো কথা বলার ভঙ্গি দেখে মায়ার মন থেকে।

''হুমম, তাহলে অন্য একটা কবিতা শুনবে?'' কিছুটা স্বাভাবিক গলায় বলল কেউ সে। ''হুম, তবে 'মায়া' শব্দটা যেনো না থাকে'' অনেক কষ্টে হাসিটা চাপলো এবার মায়া। ''এক সুর্যাস্তে দেখেছিলাম তোমার তপ্ত মুখ, সুর্যের চেয়েও যেন অধিক অগ্নি তাতে! দহন যেন, সুপ্ত আভা হয়ে বের হচ্ছে সেই চাহনিতে, অন্তিম পরশ পেয়ে সে মুখ আজ স্তব্দ হয়েছে! বিন্দুর দংশনে, বৃত্ত তার পরিধি বাড়িয়ে ছিটকে পরে, দুরে, তার ছায়ার পানে, আহত বৃত্ত তাকিয়ে থাকে!'' বলল সে। ''বেশ ভালো কবিতা লেখেন, একটা কথা জানার ছিলো। '' বলল মায়া।

''বলো, একটাই!'' হাসির শব্দ আসল ওপাশ থেকে। ''আপনার নামটা বলুন, আর...........'' শেষ করতে পারলনা মায়া, থামিয়ে দিয়ে ওপাশ থেকে কেউ বলল, ''একটা কথা জানতে চাইবে বলছিলে তুমি, এখন কিন্তু দুইটা জানতে চাচ্ছো!'' ক্রমাগত হাসির শব্দ আসছিলো। ''আপনার নাম বলুন। '' ক্ষুন্ন স্বরে বলল মায়া। ''আমার নামটা জানা কি খুব প্রয়োজন?'' রহস্যময় গলায় উত্তর আসলো।

''হ্যা, প্রয়োজন, আমি কার সাথে কথা বলছি তা জানা প্রয়োজন,'' প্রতিউত্তর দিল মায়া। ''যদি না বলি?'' অনেকক্ষন পরে শব্দগুলো আসলো অপরদিক হতে। ''তাহলে আমি ফোন রেখে দিবো, আর আমার মনে হচ্ছে আপনিই আমাকে কবিতা দিয়েছেন। এও বুঝছি আপনি আমাদের ক্যাম্পাসে যান, আর আমার সাথে আপনার পরিচয় আছে। কিন্তু আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা, সুতরাং নামটা বলুন!'' মায়া বলল অধৈর্যভাবে।

''নামটায় আছে অশুভ মায়া, শুনলে, কিংবা দেখলে, পেতেও পারো এর ছায়া। শত সহস্র বছরের মানুষের কর্মের ভাগ এ শুধুই ভালোর পরিচয়। কিন্তু নামে কি মানুষের পরিচয়? সেতো ভুল, মানুষকে বোঝো কাজে, তার ভাষায়, তার প্রকাশে! তবুও নামটা আমার শুভ, মানব হিসেবে খুব অশুভ বলেই বোধহয়!'' বলেই একটু হাসলো শুভ। ''তুমি, এতক্ষন, আমি বুঝতেই পারিনি'' অবাক হয়ে বলল মায়া। ''হুমম, আসলেই চিননি? নাকি এতক্ষন আমাকে পরীক্ষা করছিলে?'' হাসলো শুভ।

''নাহ, আমি কারো কন্ঠ মনে রাখতে পারিনা তোমার মত, তাই তোমাকে চিনতে পারিনি, তাছাড়া তুমি কবিত লেখো, তাও জানতাম না'' বলল মায়া। ''হুম, না জানারই কথা, আমিতো অধিকাংশ বাংলায় কবিতা লেখি, তাই কাউকে পড়তে দেইনা, তাছাড়া এখানে ওরা বোঝেও না কবিতার মর্ম। ''বলে শেষ করল শুভ। ''আমি বুঝি?'' হালকা হাসলো মায়া। ''কি?'' বুঝতে পারেনি, এমন গলায় বলল শুভ।

''কবিতা!'' মায়া বলল। ''হা হা হা, তাইতো, তবে তুমি বাংলা জানো, তাই তোমাকে বলি, আর যাকে নিয়ে লেখা তাকেই কবিত পড়তে দেয়া ভালো, কি বল?'' শুব বলল। ''কি বলতে চাচ্ছো? আমাকে নিয়ে কেন লিখবে তুমি'' অবাক হতে চাইছিল মায়া, যদিও পারছিলনা সে। ''তোমাকে আমার ভালবাসতে ইচ্ছা হয়, সেটা বলতে পারিনি কখন। তুমি হয়ত আমার মত দৃষ্টিশক্তিহীনকে ভালবাসবে না, ভালবাসার কথা আশাও করিনা, তাই কবিতাগুলোকে সাজিয়ে আনন্দ পেতে চাই।

তুমি চাইলে আর লিখবনা,'' আহতস্বরে বলল শুভ। ''এতই যদি জানো, তবে শোনালে কেনো কবিতাগুলো?'' মায়া জানতে চাইল অধীরভাবে। ''যাকে ভালোবাসি, তাকে জানাতে চাই ভালবাসার কথা। মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো? এক মিনিটের জন্য যদি দৃষ্টিশক্তি পেতাম, তবে তোমার অবয়ব মনে একে নিতাম, আমার অন্ধকার জগতে আলোর সাক্ষী হিসেবে!'' বলতে থাকল শুভ। ''আমার কিন্তু বলা উচিত 'তোমার এত বড় আস্পর্ধা?'' মায়া বলল।

''বলেই ফেলোনা, অপেক্ষা কিসের?'' বলল শুভ, দ্রুত। ''কিন্তু তার আগে যে কিছু বলার ছিলো, আমি তোমাকে.........'' শেষ করতে পারলোনা মায়া! (চলবে) একই ব্যক্তিকে উৎসর্গ, আগের পর্বের মত! ভালো থাকুন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।