১৫ হাজার লোকের ভুরিভোজ। বাহারি আয়োজন। বাবুর্চি আনা হয়েছে ঢাকা থেকে। ২শ’ খাশি। ৭ হাজার মুরগি।
মেনুতে আছে বাশমতি চালের কাচ্চি বিরিয়ানি। মুরগির রোস্ট। টিকিয়া। ইলিশ, রুই আর চিংড়ি। সবশেষে জর্দা ও দই।
খাদেমদারিতে ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবকের ছুটোছুটি। শাহজাদার বেশে বর এসেছে হেলিকপ্টারে। একটি নয়, কপ্টার ছিল দু’টি। কন্যা চড়েছে প্রাডোতে। বরকে বরণ করতে সাজসজ্জা শহরজুড়ে।
২০টি তোরণ। অর্ধটন তাজা ফুল। বর-কনের ছবি সংবলিত বিশেষ টি-শার্ট বিলি করা হয়েছে সবার মাঝে। কনের জন্য অর্ধকোটি টাকার গহনা। রাজকীয় বিয়ের এ অনুষ্ঠান হলো গতকাল ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কদমতলী গ্রামে।
বর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ উপনেতার সাবেক এপিএস জামাল হোসেন মিয়া। কনে রাজধানী শহরের কল্যাণপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কন্যা। ছাত্রলীগ নেতার ওই রাজকীয় বিয়ে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে ফরিদপুরে। ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে নিজ বাড়িতে গতকাল শুক্রবার দু’টি হেলিকপ্টার নিয়ে রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান করলেন জামাল হোসেন মিয়া।
দুপুর ১টায় রাজকীয় সাজে সজ্জিত হয়ে নববধূকে নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীর পাশে কদমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন বর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে ফুলে ফুলে সাজানো প্রাডো ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে নববধূকে নিয়ে উপস্থিত হাজার হাজার উৎসুক মানুষকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় গ্রামবাসী ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে নব দম্পতিকে স্বাগত জানান। নবদম্পতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, সংসদ উপনেতার বর্তমান এপিএসসহ নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ইতিহাসে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রথম রাজকীয় এ বিয়ে নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা। বিয়েতে নববধূকে শতাধিক ভরি স্বর্ণসহ নানা ধরনের অলঙ্কার ও পোশাকে সাজানো হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।