সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মূল আকর্ষণ ছিলেন শহীদ আফ্রিদি, সাঈদ আজমল, ইমরান নাজির, আজহার মেহমুদ, মোহাম্মদ সামি কিংবা আবদুল রাজ্জাকের মতো পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের খেলোয়াড়দেরই আগামীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যাবতীয় দ্বি-পাক্ষিক ইস্যুতে দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করতে যাচ্ছে। অন্তত, পাকিস্তানি পত্রিকা ‘দ্য নিউজ’ আজ বুধবার এমনই একটি খবর দিয়েছে। দ্য নিউজে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাবিত বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব না দেখায় তাহলে পিসিবি বিপিএলের পরের আসরে কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড়কে খেলার অনুমতি দেবেনা।
দ্য নেশনের ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নাকি পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবির নেতিবাচক মনোভাবে ‘বেজায় ক্ষুব্ধ।
’ সে কারণে, বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খেলার অনুমতি দেওয়া না দিয়ে তারা বিসিবিকে এক ধরনের শিক্ষাই দিতে চায়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সূত্রের ব্যবহার করে দ্য নেশনের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বিসিবি সভাপতি আহম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল যখন পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে সে দেশ সফরে গিয়েছিল, তখন তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তারই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। বিসিবি সভাপতি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক ও পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাবই দেখিয়েছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে তিনি চোখ উল্টে ফেলেন। ’
সূত্র আরও জানিয়েছে, পিসিবি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে এই রীতিমতো মরিয়া।
তারা যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানের মাটিতে একটি সিরিজ আয়োজনে বদ্ধ পরিকর। এটা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাদের মান-সম্মানের বিষয় হিসেবেও দেখছে। বাংলাদেশ যদি ‘এত কিছুর পরেও’ পাকিস্তান সফর না করে, সেক্ষেত্রে বিপিএল দিয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির ওপর প্রতিশোধ তুলতে চায়।
গতমাসে আয়োজিত বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ব্যাপক চাহিদা দেখেই পিসিবি বিপিএল ও তাদের ক্রিকেটারদের দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস প্রথম আলো অনলাইনকে বলেন, ‘বাংলাদেশ পাকিস্তান সফর করবে কি করবে না এটা বিসিবির হাতে নেই, বাংলাদেশ সরকারও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বিপিএলে পাকিস্তানি খেলোয়াড়েরা খেলছে, বাংলাদেশের অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতাতেও পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা খেলছে। এতে লাভটা পারস্পরিক। ওরা খেলে উপকৃত হচ্ছে, আমাদের ক্লাব ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ওদের সার্ভিস পেয়ে উপকৃত হচ্ছে। আমি মনে করি, সফর হবে কি হবেনা এ বিষয় নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।