উন্মুক্ত কলম-৩
ফরিদ উদ্দিন মোহাম্মদ
চৈত্রের শেষের দিক; তবুও বসন্ত তার আপন মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে আছে প্রকৃতিতে। এতটা সুন্দর হওয়ার কি’ই বা দরকার ছিল এই তপ্ত সময়ে।
উত্তপ্ততা, কিন্তু সুন্দর; সকালে ঘুম থেকে উঠেই মনটা খারাপ হয়ে গেল; মন খারাপ হওয়া মতই সুন্দর ছিল প্রকৃতি। আজকের সকালের মতই হয়ত স্বর্গের দিনগুওলো হবে। বারান্দায় গিয়ে চোখের সামনে আবিষ্কার করলাম স্রোতস্বিনী এক অপূর্ব ঝর্ণা; দুধের মত জলগুলো গিয়ে মিলিত হচ্ছে লেকের জলে ।
চারদিকে সবুজের এক ভয়ংকর বিস্তৃতি; আর পাখিদের হৃদয় কেড়ে নেয়া কাকলি। হাসনা হেনা আর বেলির ঘ্রান মাধুর্যতা চরমে নেয়ার জন্য দায়ী। স্বর্গের প্রকৃতি পড়েছিলাম অনেক আগে; তার সাথে একটু মিলিয়ে নিলাম।
হঠাৎ আপেক্ষিকতার দোলায় নিজেও দুলে উঠলাম। ভেতরে কে যেন বলে উঠলো তোমাকে ছাড়া আমার এ স্বর্গ অর্থহীন।
নিমিশেই সব ধুষরতায় ম্রিয়মান হয়ে উঠলো। মন খারাপ করা সৌন্দর্য আরো ইন্ধন জোগালো হৃদয়াকাশে ।
আজ জোসনা নেই, অন্ধকার; সরু চাঁদটা ভীষণ মানিয়েছে কালো আকাশের বুকে। থোকা থোকা তারা জোনাকির মত মিট মিট করছে; ব্যলকনিতে বাতাসের আনাগোনা। ইলেক্ট্রিসিটি নাই তাতে করে রাতের সৌন্দর্য আরো উজ্জ্বল হয়ে ধরা দিচ্ছে ।
একটা সময় আমরা একি সাথে চাঁদ দেখতাম; যদিওবা দু’জনের বসবাস শহরের দুই প্রান্তে। সব কিছু কেমন যেন ঝাপসা মনে হয়; ইচ্ছে করে মন পড়ে আসি ঐ প্রান্তে বসে থাকা তোমার।
যদিওবা আমার মুখস্ত তোমার প্রতিটা আত্মকথন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।