সত্য আর মিথ্যার মধ্যে নিরপেক্ষতা নয় অনেক আগে লিখেছিলাম শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বে নাস্তিকতার প্রচারকারী কেউ থাকলে এই আন্দোলন সাবোটাজ হবে, জামাত=ইসলাম আর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ = নাস্তিক হয়ে যাবে। আজ সেটা ঘটে গেছে। আজ ভয়ংকর কঠিন এক মুহুর্তে ইমরান যে লিখিত বক্তব্য পড়লেন, জানি না কে লিখে দিয়েছে, তা আরো খারাপ হল। ধর্মের বিরুদ্ধে কেউ বাজে কথা বললে কেউ মেনে নেবে না, প্রধানমন্ত্রীও না। অথচ উনি মুক্ত চিন্তার পক্ষে বললেন, যেটা সাধারন মানুষ মনে করবে, নাস্তিকতার প্রচারের পক্ষে তার অবস্থান হিসাবে।
যদিও তা উনি বোঝাতে চান নাই। হেফাজতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে যে শাহরিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন আর ইমরানরা নাস্তিক। শাহবাগের সবাই নাস্তিক। তাদের উচিত ছিল সেটা যে মিথ্যা, এটা পরিস্কার করে বারবার তুলে ধরা, এবং ধর্মের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারী সবারো বিচার দাবী করা। কিন্তু তারা ভুল করলেন।
তারা পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন, যেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে যে, এটার আইনগত এক্তিয়ার সরকারের আছে। আর কারো নাই। আর এর মাধ্যমে আসলে উনি আন্দলোনের পক্ষের শক্তির বাসা জামাত বিএনপির কাছে সহজেই চিন্হিত করে ফেলবেন, এই চিন্তা তার নাই।
ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন, অথচ অনেক হরতালের ভারে সব শিক্ষা প্রতিষ্টানই আজ সংকটে !
তো এটা খুবই পরিস্কার যে সাবোট্যজ হচ্ছে এবং অতি বিপ্লবীদের প্রভাব কাটারো যাচ্চে না।
সবশেষে, ছাত্র ধর্মঘট প্রত্যাহার করার দাবী জানাই, হেফাজত বা কারো সম্বন্ধেই আক্রমনাত্মক বাক্য ব্যবহার না করে, তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরার, মানুষকে সত্যিকারের ইতিহাস ও তারা যে নাস্তিক না এই সত্য তুলে ধরার আহবান জানাই, তারা শুনবেন না জানি।
কারন তাদের হটকারীতার মূল্য তো আর শুধু তাদেরকে দিতে হবে না...লাখ লাখ লোককে দিতে হবে, সেই দায়িত্ববোধ তাদের মাঝে জাগ্রত হবে সেই কামনা করা ছাড়া আর কি করতে পারি।
আর অওয়ামীলিগের উচিৎ অন্য কারো ওপর নির্ভর না করে, নিজেদের মাঠে নেমে সত্য তুলে ধরার, এবং তাদের মাঝে যারা অত্যন্ত ধার্মিক যেমন মওলানা মাসুদ, তাদের কে সামনে এনেই জামাত কে মোকাবেলা করতে হবে। নাহলে বাংলার আকশে দূর্যোগের ঘনঘটা আর কাটবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।