আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতের লং মার্চ ও সমকালীন দেশজ স্ট্যাটস

ট্রুথ নট সেইড টুডে, কুড টার্ন টু আ লাই টুমোরো ১. দেশের মানুষকে আধাবেলা খাইয়ে-পড়িয়ে বিলিয়ন ডলার দিয়ে সাবমেরিন কেনেন, আকাশের মুক্ত রাখতে বিমান কিনে ফ্লাই-পাস্ট, কুচকাওয়াজ দিয়ে শানদার বিজয় দিবস উদযাপন করেন। বান্ধবীকে নিয়ে সিনেপ্লেক্সে পপকর্ন, হাতিরঝিলে গিয়ে বাতাস খান। কারওয়ান বাজারের হলুদ সন্দেশভোগ করুন সকাল বিকাল। ঢাকার উত্তরোত্তর উন্নতির কামনা বাসনায় অস্থির হয়ে কেন আপনার বাড়ির সামনে থেকে কোটি টাকার ফ্লাইওভার দিয়ে অফিসের মোড় পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করছে না সরকার, এমন তর্কে বিকেলের আড্ডায় কফি মগে শব্দহীন চুমুক দেন কলিগের সাথে। কুরবানির ঈদে গরুর চামড়া বিরতন করে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের প্রতি দ্বায়িত্ব শেষ করে উন্নত সমাজব্যবস্থার বুলি ছাড়েন ফেইসবুকে।

ওদের অধিকার বলতে ওটাই! আপনার উন্নাসিকতাই ওদের ঘৃণার কারণ। যে কৌশলে ঢাকাকেন্দ্রিক বাংলাদেশী জাতীয়তার বুনন করেছেন, তা থেকে সমাজের নিচুতলার মানুষ ৪২বছর আলাদা। কিভাবে কাপড় পরতে হবে, কিভাবে ফ্লার্ট করতে হবে সেটা আপনার প্যাকেজ নাটক থেকে ওরা শিখছে না। আপনার ভাষায় কথা বলছে না। বালিতে মুখ গোজা উটের মত একটা ঝড়কে প্রতিরোধ করেন এখন।

পোষা মিলিটারি দিয়ে এযাত্রায় রাস্তা সাফা করতে বলুন। বলে দিন 'আই জাস্ট হেইট পলিটিক্স', মাতুন গ্রামীনফোন স্পন্সরড শহুরে আলোর বিপ্লবে। মনে রাখবেন, পেটে ঘি পরলে বিপ্লব হয় না। ২. শাহবাগের তরুনদের বুঝায়ে শুনায়ে ঘরে ফেরাইতে অনেক কায়দা কসরৎ করসে সরকার। ভিতরে ইমরানকে দিয়া প্রতিষ্ঠিত করসে দখল।

এখন নুতুন চ্যালেঞ্জ হেফাজতিদের বুঝায়ে শুনায়ে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠানি। এইকাজে গণভবনের লোক হিসাবে কাকে পাঠানো হইসে খুইজা দেখা দরকার। আমার সন্দেহ চরমোনাই পির সাহেব। কৌশলের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের শত্রু বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সুখী দল বিএনপি। তাদের দাত ভ্যাটকানি দেখলেই বুঝা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ না করিয়া, গণতন্ত্রে অবিশ্বাসীদের সাহায্য লইয়া গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করিবার চাইতে সুখ আর কিছুতেই নাই।

জলিল সাহেব বিএনপির এই ট্রাম্পকার্ড দেখিয়া যাইতে পারলেন না। আফসোস। ৩. সংবিধানে আল্লাহতে বিশ্বাস আনতেই হবে দাবির বিষয়ে: ওটা বসানোতে আমার আপত্তি নাই, কাটাতেও আপত্তি নাই। ইসলাম সংবিধানের মুখাপেক্ষী না। এরশাদের পঞ্চম সংশোধনীর আগেও আমরা মুসলমিম মেজরিটির দেশ ছিলাম।

এখনো আছি। সংবিধানে কি লেখা তাতে কেউ ধর্মের কাজ করেনা। সেটা কাজে প্রমাণিত হয়। ওটার জন্য বেহুদা লড়াইয় কোন মুসলমান করে না যার কাছে কোরআন আছে ৪. এসপ্তাহের জুম্মাহ নামাজের দোয়াঃ হেফাজতী- ইয়া আল্লাহ, নাস্তিকদের কাছ থিকা দেশকে বাঁচাও। শাহবাগী- ইয়া আল্লাহ জামাতিদের হাত থিকা দেশকে বাঁচাও।

বিএনপি- ইয়া আল্লাহ্‌, এমন একটা ভজঘট লাগাইয়া দেও যেন সরকার পইরা যায়। জামাত- ইয়া আল্লাহ, এমন একটা ভজঘট লাগাইয়া দেও যেন সরকার পইরা যায়। আওয়ামী লীগ- ইয়া আল্লাহ, এমন একটা ভজঘট লাগাও যেন, সরকার না পরে আবার বিদেশে বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসাবে দেখানো হয়। আর জামাতের বিচারটাও এই আমলে যেন না করা লাগে। আমপাবলিকের দোয়া- ইয়া নাফসি।

ইয়া নাফসি। ৫. ক্রিটিকালি দেখলে আরেকটি গণজাগরণ হচ্ছে। যেখানে রাজনৈতিক দল আছে। আবার অরাজনৈতিক হেফাজত আছে। আছে তরুণ প্রজন্ম।

কিন্তু কেউ বলতেছে না কওমী মাদ্রাসার ছেলেরা তরুণ। ঐটারে তৌহিদী জনতার কাতারে ফেলে দিসে। কেন? ওই ছেলেগুলান কি মেধায় মননে তরুণ না? যদি তাদের তরুণ না মনে করি তাহলে দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে আমরা কিভাবে আগাবো? ৬. দুইজন বিতর্কিত বিচারপতিকে আপীল বিভাগে এনে ট্রাইবুনালের বেঞ্চে নিয়োগ দেয়া হলো। কাজটায় রাষ্ট্রপতি বাধ্য ছেলের মতো আচরন করেছেন। আর সরকার 'দুষ্টু' বালকের মতো চুতিয়ামি করেছে।

ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার সবগুলো কায়দাকানুন এস্তেমাল করা হয়ে গেছে। ৭. দস্যুতাই যেখানে বীরত্ব, সেখানে শ্রেষ্ঠত্ব নির্ণয়ে রক্তপাত স্বাভাবিক ৮. ২০১৩ সালে যতবার 'অরাজনৈতিক' শুনেছি, পড়েছি- পরে দেখা গেছে তা গভীরভাবে রাজনৈতিক। রাজনীতির পচনের কারণে 'অরাজনৈতিক' ট্যাগের মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। শেয়ার মার্কেটে নামলে সব রাজনৈতিক দল হালি হালি অরাজনৈতিক সংগঠন কেনার জন্য প্রাইমারিতে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। রাজনৈতিক দল নিজের নামে না পারে গণতন্ত্র মঞ্চ করতে, না পারে লং মার্চ করে দৃষ্টি কাড়তে।

চেতনার পতাকাটিও বহন করার কাজটি 'অরাজনৈতিক' মঞ্চকে করতে হয়। অরুপ রাহী বলেন- অরাজনৈতিক = গভীরভাবে রাজনৈতিক ৯. বাঙালির মানস ও দ্বৈতনীতি: আমরা মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ)কে অবমাননার দায়ে সাঈদীরে গ্রেফতার করি, কিন্তু থাবাদের হাতে প্রতিনিয়ত অবমাননার ঘটনায় কোন মামলাই করি না। (০৬ ই মার্চ) স্ট্যাটাসগুলো ফেইসবুকের বাঙ্গাল পেইজে প্রকাশিত ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.