ভালবাসি
অর্থনীতির সঙ্কট কিছুটা কাটলেও কাঁটা এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি। তাই মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই এ মুহূর্তে অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাকি চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা, মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য বিধিবদ্ধ জমা নগদ অংশ (সিআরআর) বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে অতি সাম্প্রতিক সরকারের ব্যাংক ঋণ নেয়ার হার কমলেও রিজার্ভ মুদ্রার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ও নতুন করে টাকা ছাপানো হয়েছে।
এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ পণ্যের দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়ছে। দেশে পণ্য মূল্যও কমছে না।
জানা গেছে, যেহেতু আমদানি বাড়ছে, তাই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়ছে। এর প্রভাবে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে।
এতে আমদানি আরো ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে, ফলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্ব মন্দার প্রভাব কাটিয়ে অর্থবছরের শেষ দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের বিনিময় হার এবং স্বর্ণমূল্যের অস্থিতিশীলতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। ফলে টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। একই সাথে জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। যা অতি-মাত্রায় উদ্বেগের বিষয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্টভিত্তিক মূল্যস্ফীতি হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত গড় মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এ হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ০৪ শতাংশ।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রসার মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ বলে বিবিএস আভাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০১১-১২ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরের ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা হ্রাস পেয়েছে। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে এ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩২৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০১১-১২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রিজার্ভ মুদ্রা ১ দশমিক ৯২ শতাংশ, ব্যাপক অর্থ সরবরাহ ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২০১০ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় রিজার্ভ মুদ্রা ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ব্যাপক অর্থ সরবরাহ ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ ২৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ঋণ ১৯ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গেছে, সর্বশেষ সোমবার টাকা ডলার ভারিত গড় বিনিময় হার ছিল ৮১ টাকা ৮০ পয়সা। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি এহার ছিল ৮১ দশমিক ৭৯ টাকা। ২০১১ সালের একই সময় এহার ছিল ৭১ দশমিক ৩০ টাকা এবং ৩০ জুন ৭৪ দশমিক ২৩ টাকা।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃব্যাংক কলমানি মার্কেটের ভারিত গড় ওঠানামা করছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আন্তঃব্যাংক কলমানির গড় হার ছিল ১৩ দশমিক ০১ টাকা। গতবছর একই সময়ে এহার ছিল ১১ দশমিক ৮৬ টাকা এবং ৩০ জুন ছিল ৯ দশমিক ২৪ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঁড়ায় যথাক্রমে ৪৬৬৮ দশমিক ৫৭ এবং ১৩৩৬২ দশমিক ৩৯। গতবছর একই সময়ে এহার ছিল যথাক্রমে ৫২০৩ দশমিক ০৮ এবং ১৪৬৮৪ দশমিক ১৩।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। যা গত অর্থ বছরের একই সময় ছিল ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে গত অর্থবছরের তুলনায় আমদানি ঋণপত্র স্থাপন ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে এ সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তির পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ে খাতওয়ারী ঋণপত্র স্থাপনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভোগ্যপণ্যের ৬১ দশমিক ৮২ শতাংশ, মূলধন পণ্যে ৩৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি মূল্য ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
অপরদিকে পেট্রোলিয়াম আমদানি মূল্য ১০৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে খাতওয়ারী ঋণপত্র নিষ্পত্তি তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভোগ্যপণ্যের আমদানি মূল্য ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে মূলধন পণ্য ২৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, শিল্পের কাঁচামাল ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং পেট্রোলিয়ামের আমদানি মূল্য ৬৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৯২৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত ২০১০-১১ অর্থবছরে রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
চলতি বছর জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্স উদ্বৃত্তের পরিমাণ ৪০৯ দশমিক ০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮৬৫ দশমিক ০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১০-১১ অর্থবছরে কারেন্ট একাউন্ট ব্যালেন্সের উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৯৯৫ দশমিক ০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসেও অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৩০.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছরের একই মাসের পরিমাণ ছিল ৯৮৬ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। শতাংশের হিসাবে ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে অন্তঃমুখী প্রবাসী রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪২০ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারথ যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ হাজার ৫০৮ দশমিক ০৩ মি. মার্কিন ডলার বেশি। শতাংশের হিসাবে ১২ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি, বিদেশে ব্যাংকগুলোর একচেঞ্জ হাউসের সংখ্যা বৃদ্ধি, সহজেই বিদেশি মুদ্রা হিসাব খোলার সুযোগ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নমনীয় বিদেশি মুদ্রা বিনিময় হার নীতি কৌশলের কারণে রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধির এই ধারা বেগবান হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. হাসান জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপের কারণে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে চলতি বছর মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নিচে নেমে আসবে। তিনি বলেন, বর্তমানে ১৯৯৫ সালের ওয়েট ব্যবহার করে মূল্যস্ফীতি বের করা হচ্ছে। চলতি মাসে অথবা আগামী মাস থেকে ২০০৫ সালের ওয়েট ব্যবহার করে মূল্যস্ফীতি বের করা হবে। এতে মূল্যস্ফীতি অনেকটাই নিচে নেমে আসবে। তবে পাশাপাশি ১৯৯৫ সালের ওয়েট রাখা হবে।
তার মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুস্মরণ করছে। যা সময়ের প্রয়োজনেই করা হয়েছে। যার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজ বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতির অবস্থা এখন ভালো নয়। বছর শেষে মূল্যস্ফীতির গড় দাঁড়াবে সাড়ে ১০ শতাংশের মতো।
আর সরকার যদি ৯ শতাংশে রাখতে চায় তাহলে অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি রাখতে হবে ৬ শতাংশের নিচে, যা কোনোভাবেই সম্ভব না।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অতিমাত্রায় মুদ্রা সরবরাহ, গত অর্থবছরের তুলনায় বাজেট ঘাটতি বেশি এবং অতিমাত্রায় সরকারের ব্যাংক ঋণনির্ভরতা। সরকার বর্তমানে ব্যাংকঋণ কিছুটা কমালেও বছর শেষে তা আবার বাড়বে। তখন এহার আবারো ২০ থেকে ২১ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে পৌঁছবে।
মির্জা আজিজ বলেন, দেশ আমদানিনির্ভর।
তাই টাকার অবমূল্যায়নের ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান হচ্ছে না। নতুন কর্মসংস্থান নেই। এতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বিষয়ে তিনি বলেন, এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা লাভ হয়েছে, অন্যদিকে দেশের উৎপাদন কমে গেছে।
আর উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে সরবরাহ কম হচ্ছে, এতে মূল্য বাড়ছে। তবে ডলার ঘাটতি কমাতে বৈদেশিক সাহায্য বাড়ানো দরকার। কিন্তু সে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। কারণ আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আবার বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধিও কম।
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, চালের দাম নিয়ন্ত্রিত থাকার ফলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কম আছে। এ জায়গায় কিছুটা স্বস্তি আছে। চালের উৎপাদনও ভালো। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেশি।
এর কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেশি করে তেল আমদানি করতে হচ্ছে। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু সময় লাগবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি সঠিক বলেও মনে করেন এই প্রবীণ অর্থনীতিবিদ।
অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি কাজ করছে না।
দেশে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান হচ্ছে না। কর্মসংস্থান থেমে আছে। নতুন কোনো কর্মসংস্থান নেই। এই অবস্থায় সম্প্রসারণ মুদ্রানীতি দরকার। তাহলে উৎপাদন বাড়বে, এতে বাজারে সরবরাহ বাড়ত।
নতুন কর্মসংস্থান হতো। ফলে জিনিসপত্রের দাম কমে যেত।
তিনি বলেন, টাকা কম থাকলে মানুষ কম কিনবে, এতে মূল্যস্ফীতি কমবে এখন আর সে নীতি কাজ করবে না। সময়ের প্রয়োজনে নীতিরও পরিবর্তন দরকার।
অর্থনীতিবিদ এম কে আনোয়ার বলেন, উচ্চমাত্রার মূল্যস্ফীতি বর্তমান অর্থনীতিরই নিদর্শন।
তবে সরকার চাইলে এ অবস্থার পরিবর্তন করতে পারে। এজন্য পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের দাম কমাতে হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে যে অপচয় করা হচ্ছে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।