আমি সিনেমা দেখতে ভালবাসি জীবনটা একটা সিনেমার মতো
বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ ২০১২
স্টাফ রিপোর্টার: আবুল খায়ের। লঞ্চ ডুবুরি। কাজ করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলে। ২২ বছর ধরে আছেন এ পেশায়। ক্লান্তি নেই।
কখনওই বিরক্তি আসে না। লঞ্চডুবির পর স্বজনের লাশের আশায় নদীতীরে অপেক্ষায় থাকেন হাজারো মানুষ। তাদের কাছে লাশ ফিরিয়ে দিতে পেরে তিনি বরং কাজের তৃপ্তি খোঁজেন। স্বজনদের কান্নায় যখন আকাশ ভারী হয়, তখন তাদের কোলে লাশ ফিরিয়ে দিতে পেরে নিজেই সান্ত্বনা খোঁজেন। একজন নিষ্ঠাবান ও কঠোর পরিশ্রমী ডুবুরি হিসেবে তার সুনাম।
এজন্য নৌপথে যে কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই ডাক পড়ে তার। আবুল খায়ের ২২ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন এ কাজ। এখন তার বয়স ৪৪ বছর। দুর্ঘটনার খবর শুনে কখনওই তিনি বসে থাকেননি। ছুটে এসেছেন ঘটনাস্থলে।
শত চেষ্টা করে উদ্ধার করেছেন শেষ মৃতদেহটি। আবুল খায়েরের মুখেই শোনা যাক সে কথা- ‘দুর্ঘটনার পর স্বজনরা লাশের জন্য অপেক্ষা করে। তখন লাশটি তুলতে পারলে মনে হয় ওই স্বজনদের অন্তত শেষ মুহূর্তের সান্ত্বনা দিতে পারি। আর সেটুকুর জন্যই থাকে আমার প্রতিটি ডুব। ’ গত সোমবার রাতে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে শরীয়তপুর-১ লঞ্চডুবি ঘটে।
উদ্ধারকাজে ডাক পড়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের। সে দলের হয়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেন খায়ের। মঙ্গলবার তিনি ১১টি লাশ উদ্ধার করেন। গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত মোট ১৬টি লাশ উদ্ধার করেন। আবুল খায়েরের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
ডুবুরি হিসেবে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ সালে জাতিসংঘের পুরস্কার পান তিনি। এছাড়া বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি ২০০৭ সালে পুলিশ মহাপরিদর্শক-আইজিপি পুরস্কার এবং ২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পান। ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা খায়ের গতকাল উদ্ধারকাজের এক ফাঁকে জানালেন, ২০০৫ সালে আরিচায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি তিনিই প্রথম শনাক্ত করেছিলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।