আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈমানের দাবী পূরণে যাচ্ছি লংমার্চে...................

মেনে নিব না, আসে যদি ইসলামের উপর কোন আঘাত। মাঠে নেমেছি, হয় সফলতা নয়ত চাই শাহাদাত গুলির আঘাতে ঝাজরা যদি হয়ে যায় মোর দেহ, আমার জন্য চোখের পানি ফেলোনা তোমরা কেহ। ঈমানের দাবি নিয়ে যাচ্ছি সেথায়, যায় যদি ঝড়ে প্রাণ এটাই আমার শ্রেষ্ঠ পরিচয়, আমি মুসলমান। কেয়ামতের দিন প্রভুর সামনে যখন দাড়াব, তখন যদি তিনি প্রশ্ন করেন, তোমাকে তো লেখনি শক্তি দিয়েছিলাম। তুমি কেন ইসলামের পক্ষে লিখনি? আমি কি বলতে পারব, হে প্রভু, আমি কিছু ব্লগারকে তোমার চেয়ে বেশী ভয় পেয়েছিলাম।

যদি তারা আমাকে ছাগু ট্যাগ দেয়? যদি তিনি প্রশ্ন করেন, তোমাকে তো কোরআনের হাফেজ বানিয়েছিলাম। তুমি কেন প্রতিবাদে গর্জে ওঠোনি যখন কোরআন বিরোধি সম্পত্তি বন্টন নীতিমালা প্রনয়ণ করা হল? আমি কি বলতে পারব, আমি এই হাশরের দিন থেকে পুলিশের টিয়ারশেল, গুলিকে বেশী ভয় পেয়েছিলাম? যদি তিনি প্রশ্ন করেন, তোমাকে তো শক্তি দিয়েছিলাম। তুমি ক্যান ঈমানের দাবী পূরণ করনি? আমি কি বলতে পারব, হে প্রভু, সেটা করলে তো অনেকে আমাকে জামাত বলত? আমি ইসলামকে ভালোবাসি। জামাত-শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা মউদুদি ইসলামের বিকৃত করেছে, এটা প্রমাণিত। তাই তাদের প্রতি রয়েছে আমার তিব্র ঘৃণা।

আমি এদেশকে ভালোবাসি। এদেশের মানুষের উপর জামাত-শিবিরের নির্যাতনের ঘটনাগুলো আমি পড়েছি, শুনেছি। তাই তাদের প্রতি রয়েছে আমার তিব্র ঘৃণা। ইসলাম এবং দেশকে ভালোবাসি তাই জামাত শিবিরের বিরদ্ধে লেখনী, বিতর্ক, বক্তৃতা এবং নম্র ভাষায় মানুষকে মানুষদের বুঝিয়েছি। কিন্তু তাই বলে আজ যখন ঈমানের দাবী সামনে, তখন সেটা জামাতের দ্বারা পরিচালিত এমন কথার দ্বারা দূরে সরে থাকতে পারি না।

হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলো আমি পড়েছি। সেখানে লেখা নেই, জামাতকে নিষিদ্ধ করা যাবে না এবং জামাতের নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। সেখানের সবগুলো দাবী একজন মুসলিম হিসাবে যৌক্তিক মনে করি। যদিও কিছু দাবী মানা অসম্ভব বলে মনে হয় এবং এখনই তা মানতে হবে বলে আমি মনে করি না। তবে যে সকল দাবীর সাথে জোর গলায় শ্লোগান দিব, ১।

সংবিধানে ‘আল্লাহ্‌্‌র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্‌্‌ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে। ২। আল্লাহ্‌, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ৩। থেকে " প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

" ৪। থেকে, ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। ৫। ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬।

সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ৭। মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে। ৮। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।

৯। রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে। ১০। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ১১।

রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। ১২। সারা দেশের কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ১৩। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

আর যে সকল মুসলিম ভাইরা, হেফাজতে ইসলামের দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানান নি, তাদের সুরা বাকারার দুইটি আয়াত তুলে দিলাম, তোমরা কতক অংশ বিশ্বাস কর আর কতক অবিশ্বাস কর? যারা এমন করবে দুনিয়ার জীবনে তাদের কপালে দুর্গতি ছাড়া কিছু নেই। কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করানো হবে। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের কাজ কর্ম সম্পর্কে বেখবর নন। এরাই তারা যারা পরকালের বিনিময়ে দুনিয়াকে ক্রয় করে নিয়েছে। অতএব তাদের শাস্তি হালকা করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে।

(আল বাকারাঃ ৮৬,৮৭) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.