মাত্র ৫ থেকে ৬ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন উইপোকার ঢিবি প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বিস্ময় উদ্দীপক বটে। কিন্তু আপনি জানেন কি উইপোকা সম্পূর্ণ অন্ধ!উইপোকার দেহের আয়তন মাত্র ১-২ সেন্টিমিটার। কিন্তু এই ঢিবিগুলি তাদের আয়তনের প্রায় ৩০০ গুনবড়। আপনি কয়েক হাজার অন্ধ ক্রীতদাস কে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বলুন আপনার জন্য একটা ৫ তলা বাড়ি বানিয়ে দিতে। কখনো কি এই অন্ধ ক্রীতদাস রা এইবাড়ি বানাতে পারবে ? কখনো পারবে না।
শুধুতাই নয় উইপোকার ঢিবির মাঝে রয়েছে উপযুক্ত বায়ু সঞ্চালন ব্যবস্থা, ছত্রাক উৎপাদনের বিশেষ আঙ্গিনা এবং জরুরী নির্গমন পথ।
আবার গোবরে পোকার নাম তো আমরা সবাই শুনছি। গোবরে পোকা যেটা ইংরেজীতে বলা হয় Beetle, এই ছোট জীবটির শরীরে কিন্তু মারাত্নক সব রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যে কোনমূহুর্তে একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় গুবে পোকার নিজের অস্তিত্ব ধবংস হয়ে যেতে পারে। বিপদ মুহূর্তে গোবরে পোকা তারশরীরে অবস্থিত Hydrogen peroxide ও Hydroquinone এর এক মিশ্রিত ঝটকা দ্বারা শত্রুকে প্রতিহত করে থাকে।
এই গোবরাপোকাটি ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিরুদ্ধে এক জলন্ত সাক্ষী। যদি অল্প অল্প করে গোবরে পোকার ভিতরে রাসায়নিক পরিবর্তন গুলি আসতো এবং এক এক করে এই পরিবর্তন গুলি গোবরে পোকার পরবর্তী প্রজন্মের দিকে স্থানান্তরিত হত তাইলে এই বিবর্তন প্রক্রিয়ায় গোবরে পোকাটি অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেত। সুতরাং আমাদের মানতেই হবে যে গোবরে পোকাটি পরিপূর্ন রুপে তার জটিল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই এই পৃথিবীতে এসেছিল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।