হট নিউজ
‘সরকারের পক্ষে বাসার বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমার দেশসহ গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন, সহ বিশিষ্ট কয়েকজন। তন্মধ্যে কয়েকজনের বক্তব্য হলঃ ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে থাকতে হলে জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে। নিরাপত্তা কিভাবে বাস্তবায়ন করবেন, কৌশল কী হবে, সেটা ভিন্ন বিষয়। সাংবাদিক হত্যার বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দায়িত্বহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জনগণের আস্থা থাকবে না। অত্যাচারী মনোভাব নিয়ে ইতিহাসে কেউ টিকতে পারেনি, তারাও পারবে না।
জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয় দিতে হলে জনসেবা’র মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে। কথা বলতে হবে। নইলে নিজেরাই পুড়ে মারা যাবে। নিরাপত্তার জন্য জনগণ লড়াই করলে তাতে কোনো শক্তিই টিকে থাকতে পারবে না। বদরুদ্দীন উমর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মূলত দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে তুলে ধরছে।
আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। বেডরুম পাহারা দেয়া সরকারের কাজ নয়। সেটা কেউ তাদের করতে বলেনি। সাংবাদিকরা হত্যাকারীদের ধরার দাবি করেছেন। জনগণ নিরাপত্তা দাবি করেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি খুনের ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন। কোনো খুনের তদন্তভার প্রধানমন্ত্রী নেন, এটা আগে কোথাও শোনা যায়নি। তিনি তদন্তভার হাতে নিয়ে এমন মন্তব্য করলেন, যা খুনিদের বাঁচার পথ প্রশস্ত করেছে। মানুষের নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বদরুদ্দীন উমর বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য কেউ আশা করে না।
একজন নাগরিক হিসেবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের খুঁজে বের করার দাবি করেন তিনি। প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের বলেন, কেউ ঘরেই থাকুক আর ঘরের বাইরেই থাকুক, প্রত্যেকেরই নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য দায়িত্বহীন ও দুর্ভাগ্যজনক। এটা আইন-শৃঙ্খলা ও মানুষের নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।