নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই লাশের সংখ্যা নিয়ে আমি বিতর্ক করবো না।
তবে ধারনা এবং লজিক থেকে বলতে পারি সংখ্যা ৫০-১০০ হতে পারে। এর বেশি হবার কথা নয়।
এবার আসি বর্তমান অনেকের মতামতে-
অনেকের মতে হেফাজতিরা লাশের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তাদের মৃতের সংখ্যা বেশি নয় কিন্তু তারা বানিয়ে বানিয়ে ৩০০০ করে ফেলছে।
১৯৭১ সালে ৩০ হাজার নাকি ৩০ লাখ মারা গিয়েছিলো তার বিতর্ক এখনও চলে। যারা ৩০ লাখেরর পক্ষে না তারা এদের মতোই ক্যালকুলেটর দিয়ে যোগ বিয়োগ করে হিসেব কষে বের করে দেখায় কোনো মতেই সংখ্যা ৩০ লাখ হয়নি।
সংখ্যা ৩০ হাজার নাকি ৩০ লাখ তা দিয়ে যেমন আমাদের স্বাধিনতা থেমে যায়নি, তেমনি লাশের সংখ্যা ৩০ নাকি ৩০০০ তা দিয়ে মৃত ব্যক্তিগুলো জীবিত হবে না।
দয়া করে নিজের বিবেককে কাজে লাগান। রাজনীতির লাশের রাজনীতিকে আপনারা আরো উস্কে দিবেন না।
আপনার ক্যালকুলেশনে যদি খুশি হয়ে সরকার আরো লাশ ফেলে দেয় এতো আপনার লাভ নেই কিন্তু কিছু লোকের , পরিবার তছনছ হয়ে যাবে।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী রানা প্লাজা ভেংগে যাবার পরেই বলেছিলেন আগেরদিনে সব লোক কে হঠিয়ে দেয়া হয়েছে শুধু দামী মালামাল সরানোর জন্য কিছু লোক গিয়েছিলো। সেই কিছু লোক থেকে দেখাগেলো ১০০০ মৃত পাওয়া গেলো আর ৩০০০ আহত পাওয়া গেলো।
আজকাল ৪০০০ কোটি টাকার দুর্নিতি কিছুই না।
১০০০ লোক মারা গেলে কিছুই না।
সেখানে হেফাজতির মতো ৩০-৪০জন বিরোধীপক্ষ মারা গেলে তো সরকারের চোখেই পড়বো না। যাদের মাঝে সরকারের ভোট নেই তারা বেচে থাকলেই কি আর মরে গেলেই কি??? তারা তো রাজীব নয় যে চুটে গিয়ে তাদের শহীদ উপাধি দিবে। ভোটের রাজনীতিতে তারা বিরোধী পক্ষ, সো জাষ্ট কিল দেম, নো মার্সি.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।