মোহে পড়েছি, সম্মোহিত হয়ে যাচ্ছি এ অবারিত সৌন্দর্যে। এত অপরূপ চারিপাশ যেন কোন বিশাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছি আমরা। দিগন্ত বিস্তৃত পরিধির কোন দিকে ফিরব তা নিয়ে শংকিত । চোখের আড়ালে যদি কোন দৃশ্য বাদ পড়ে যায় ! যত দূর চোখ যায় থই থই করে স্ফটিক স্বচ্ছ জল । জলের ভেতর দিয়ে এখানে ওখানে জেগে আছে পাহাড়, ছোট ছোট টিলা ।
অসংখ্য লতা গুল্ম গাছ আস্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে । এত গাছ, এত লতা গুল্ম কিন্তু কোন টাকে চিনি বলে মনে হয় না । আমাদের নৌকাটি বিশাল জলের মাঝে ক্ষুদ্র বিন্দু হয়ে ভেসে চলছে । আমরা জলের মধ্য দিয়ে চলছি, এ চলার যেন শেষ নেই, সীমা নেই । অন্তহীন গন্তব্য ধরে কোন দিকে এগিয়ে চলছি জানি না ।
শুধু পানি আর পানি । টলটলে স্বচ্ছ বুকে ঢেউ তুলে এগিয়ে যাচ্ছে নৌকা । খাড়া পাহাড়ের খুব কাছ দিয়ে যেতে যেতে আমরা দেখি ছোট দু একটা ঘর । ঘন জঙ্গলে ঢাকা ঘরগুলোয় কোন পথে যায় বোঝা যায় না । পাতার আড়ালে ঢাকা অন্ধকার সুড়ঙ্গ পথ হাতছানি দিয়ে ডেকে যায় ।
পাশ দিয়ে অন্য নৌকা চলে গেলে আমাদের নৌকা দুলে ওঠে । তখন মেঘেরাও দুলে দুলে সাঁতরায় । এখানের মেঘ খুব ঝকঝকে, খুব সাদা আর তার পাশে ঝকঝক করে নীল । রাশি রাশি সাদা মেঘ আকাশের এইখানে, ঐখানে অনিন্দ্য সুন্দর হয়ে ফুটে আছে । আমি এক হাতে নৌকার ছাউনি ধরে তার পাশে দাঁড়িয়ে দেখি ।
আমার চোখে মুখে শরীরের সব ভাল লাগা তার হাত ধরার জন্য ব্যাকুল হয় । এ হাত ঐ হাত দুটো শক্ত করে ধরে চেপে ধরে বলতে চায় দেখো, কি অপূর্ব ! তারপর সূর্য ডুবিডুবি করে । সূর্যাস্তের রং মেঘে মেঘে মিশে প্রতি মুহূর্তে রূপ বদলায় । আদিগন্ত জলের মাঝে রাত্রি নামে । আমি তার জন্য অপেক্ষা করি ।
সে জলের দূর সীমানায় একটা ক্ষুদ্র আলোকবিন্দুর দিকে একটানা তাকিয়ে থাকে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।