মৃদু ঢেউয়ের মতো তির তির করে কেঁপে উঠেছিলো তার
তীব্র স্তন।
আমার হাতের আঙুলগুলো অনেক শীতের ভেতরে
হয়ে উঠেছিলো পৌষের নরোম রোদ।
ভেঙে পড়েছিলো নিমিষেই তার যত প্রতরোধ।
সু তীব্র বেগে লাগাম হীন ঘোড়া
বন বাদাড় চষে
সমুদ্রের নাভীমূলে দিয়েছিলো ঝাপ-
উথাল পাথাল ঘূণি ঝড়ের পর
সে বলেছিলো - আরো চাই..আরো চাই..
ভুলে গিয়ে পূন্য পাপ।
ক্ষিধে রেখে পেটে, লজ্জা করার
হয় না কোন যুক্তি
হে রোদ আমাকে দাও-
শীতের কাঁপুনি থেকে মুক্তি।
তার আহ্বানে ভুলে যাওয়া
নাম- বদনাম-
মুক্তোর মতো ফুটে উঠেছিলো
কপালে
বিন্দু বিন্দু ঘাম।
মাছের মতো খাবি খায়
একটা গোপন সিন্দুক
ধরে রাখা যায় না বেগবান নদী
যা বলে বলুক নিন্দুক।
গোপন পদ্ম ফুলে ঢুকেছিলো জাদুর দন্ড
ফুলের অভ্যন্তরে গাঢ় রস-
ডিঙির পাটাতন যেভাবে জলে চপ চপ
সেভাবে ঘন দ্রুত নিঃশ্বাসে ... শরীর অবশ।
তুলে আনো মেঘের ওপর থেকে আভ
টুকরো করে ফেলো পাতালের অন্ধকার-
একবার ম্যাচের কাঠি ফুরিয়ে গেলে
ঘর্ষণে জ্বালাও আবার।
আরো দাও.. আরো দাও..
দিতে থাকো অশেষ... অশেষ-
যাবো না যাবো না ভুলে জন্মান্তরে
থেকে যাবে সুরের আবেশ।
গভীর থেকে আরো গভীরে ঢোকো
করো করো অনু সন্ধান-
ঢেউয়ের পরে ফের উদ্দাম ঢেউ
তুমি আমি সমানে সমান।
কামড়ে ধরেছিলো দশ দিক থেকে , সে।
পদ্ম ফুলেরও আছে দাঁত-
লাঙলের ধারালো ফলা, জমির ভেতরে শেখে
অবিরাম বৃষ্টির ধারাপাত।
আবদুল্লাহ-আল-মাসুম
০১৭১৬ ০৮৯ ০৮৯. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।