চিনলে মানুষ রতন,সে থাকে না আগের মতন মেশকাত শরিফের 'মাসাজিদ' অধ্যায়ে জলিল কদর সাহাবা এবং আসহাবে সুফফার অন্যতম প্রধান আবু জর গিফারি হতে বর্ণিত একখানি হাদিসে উল্লেখিত আছে যে, বদরের যুদ্ধের আগের দিন মহানবী কয়েকটি স্থানে তাঁর হাত মোবারকের আংগুল দিয়ে নির্দেশ করেন, "এইটা অমুকের(নাম উল্লেখপূর্বক) পতিত হওয়ার নির্দিষ্ট স্থান। একই সংগে তিনি ময়দানের আরও কয়েকটি স্থান নির্দেশ করে বলেন,এখানে,এখানে। পরের দিন যুদ্ধ সংঘটিত হবার সময় দেখা যায় যে,তাঁর নির্দেশিত স্থানসমুহে সাহাবাগণ শাহাদত বরণ করেন এবং পতিত হন - এর বাইরে একজনও নয়।
মেশকাত শরিফের "মানাকিবে আবি বাকারিন ওয়া উমারা" অধ্যায়ে বর্ণিত আছে, উম্মুল মোমিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা একদিন মহানবীর নিকট আরজ পেশ করেন, 'আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ ! এমন কেউ আছেন কি, যার নেকিসমুহ আকাশের তারকারাজির সমসংখ্যক হবে?' মহানবী বললেন, 'হ্যাঁ, এবং তিনি হলেন ওমর। '
তফসিরে খাজেন-এ বর্ণিত আছে যে, মহানবী বলেছেন, মেরাজ রজনীতে 'আমার উম্মতকে আপন আপন মাটির আকৃতিতে হাজির করা হয়েছে,যেমনভাবে হযরত আদমের নিকট হাজির করা হয়েছিল।
আমাকে বলে দেওয়া হয়েছে কে আমার উপর ঈমান আনবে,কে আনবে না। ' মহানবীর এই ঘোষণা কাফেরদের গোচরীভূত হলে তারা বিদ্রুপাত্মক হাসিসহকারে বলেছিল, 'মুসলমানদের নবী সমস্ত মানুষের জন্মের আগেই কে কাফের আর কে মোমিন ঘোষণা দিয়ে বসে আছেন,অথচ আমরা তার চারপাশে অবস্থান করি,আমাদেরকে তিনি চিনেন না। ' কাফেরদের এই উক্তি মহানবীর নিকট পৌছালে তিনি মসজিদে নববিতে মিম্বরের উপর আরোহণ করলেন এবং ঘোষণা করেন, 'একমাত্র প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের জন্য। এই সকল লোকদের এমন কি হল যে,তারা আমার জ্ঞাণ নিয়ে সমালোচনা করে। এখন থেকে কাল কেয়ামত পর্যন্ত যে কোন বিষয় সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হোক না কেন, আমি অবশ্যই তাদের বলে দিব।
' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।