আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পতিত রাজনীতিবিদরাই সকল সমস্যার মুল...

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি রাজনীতি হলো একটা প্রক্রিয়া যা মানুষকে ভবিষ্যতের পথ দেখায় - ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখায়। ১৯৫২ সালে যদি আজকের মতো নেতৃত্ব থাকতো - তবে হয়তো আমাদের উর্দুতে কথা বলতে হতো - অথবা যদি ৭১ এ এরাই নেতৃত্ব থাকতো তাহলে হয়তো আমরা আজও পাকিস্তানের অধীনেই থাকতাম। কারন এরা বলতো - এইটা হবে না - এইটা সম্ভব না। কেন না? রাজনীতিকরাই দেশকে সঠিক পথে চালাতে পারে - অবশ্যই তার জন্যে দরকার সাহসী, সৎ আর মেধাবী নেতা। কথাগুলো মনে হচ্ছিলো - যখন বাংলাদেশের টিভিতে মওদুদ আহমেদের মতো একজন পলিটিক্যাল প্রস্টিটিউট নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার জন্যে সবসময় রাজনৈতিক কোন্দলকে উসকানী দেয়।

বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তের আগেই নিজের চেম্বারের বসে সিদ্ধান্ত দেয় - এইটা করা যাবে না - ঐটা করা যাবে না। পরে দেউলিয়াত্বে ভোগা বিএনপি তাদের দলীয় সিদ্ধান্তেই তার প্রতিফলন করে। মওদুদ আহমেদ যখন টিভির ক্যামেরার সামনে অত্যান্ত কনফিডেন্টলী বলে – “রাজনৈতিক সরকারের অধীনে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়”- কথাটা বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতি পরম অশ্রদ্ধা ও অনাস্থার কথা প্রতিফলিত হয়। উনি নিজের দল বিএনপির একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে অক্ষমতার কথাই বলেন। কোন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে এমনতর অহংকার করার ঘটনা বিরল।

বিশ্বের একমাত্র বাংলাদেশে গনতন্ত্রের চর্চা হয় না – সব দেশেই রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করে – সেইগুলো কি নিরপেক্ষ হয় না? বাংলাদেশে কেন নিরপেক্ষ দলনিরপেক্ষ সরকার দরকার – কারন মওদুদের মতো রাজনীতিবিদরাই সকল ষড়যন্ত্রের মুল উৎস। আমরা তিনটা নিরেপক্ষ সরকার দেখেছি – প্রতিটি নিরপেক্ষ সরকারের সময় গনতন্ত্র এবং মৌলিক অধিকার হুমকীর মুখে পড়েছে। হাবিবুর রহমানের সরকারের সময় আর্মির ট্যাংকের চলাচল দেখেছি রাস্তায় – লতিফুর রহমানের সরকারের কথা নিশ্চয় সংখ্যালঘুরা মনে রাখতে চাইবেনা। আর পরের বারের ইয়াজুদ্দিন সরকারের কারনে রাজনীতিবিদরা যেভাবে নিগৃত হয়েছে তা নিশ্চয়ই ভুলে যান নি। আর এই সরকারের সময়ে চট্রগ্রাম সিটি, কুমিল্লা সিটি, নারায়গঞ্জ সিটি সিহ অনেকগুলো উপনির্বাচন হয়েছে – কোথাও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি।

তাহলে সমস্যা কোথায়? মওদুদ আহমেদ নিজের নষ্ট রাজনৈতিক দর্শনকে দেশের স্টেন্ডার্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চান। বিচারপতি হাসানের বয়স বাড়িয়ে উনি যে কুকর্ম করেছেন – তার জন্যে কোন জবাবদিহীতো করতে হয়নি – বরঞ্চ সেই ষড়যন্ত্রকে একটা ষ্ট্যান্ডার্ড হিসাবে মানুষের মাঝে বিশ্বাস করাতে সচেষ্ট রয়েছেন। এই কথা সত্য মওদুদের মতো রাজনৈতিক প্রস্টিটিউটরা যতক্ষন নীতি নির্ধারনে আছে ততক্ষন পর্যন্ত রাজনীতিতে কোন সততা আর বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সরকারের অধীনে অবশ্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব – তার জন্য চাই দলগুলো সদিচ্ছা আর জনগনের উপর আস্থা। একদল মেধাবী রাজনীতিক আর তাদের গনতন্ত্রের চর্চাই বাংলাদেশকে পতিত রাজনৈতিক নেতাদের নষ্টামী থেকে বের করতে পারবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।