আমৃত্যু তারুন্যের সাধনা করে যেতে চাই । তারুন্যের ঝংকারে পঁচা-দুর্গন্ধময় সমাজের আবর্জনা দূর করে সুন্দর আগামী আমার অনুজদের উপহার দিতে চাই । আমাদের সমাজ আজ ভীষন অস্থির । কোথাও স্থিতি নাই । সেখানে কবিতা/গল্প-উপন্যাস পড়ার সময় কই ?
আমরা ছুটছি আর ছুটছি ।
কিসের পেছনে ছুটছি বা কি জন্য ছুটছি কেউ জানি না । তবু ছুটছি ছুটতে হয় ।
আজ যদি কেউ কবিতা লিখে কজনে সেটা পড়ে ? আমার দেখা মতে ২০-৩০ বেশী হলে ৫০ জন । অথচ আমার যতটুক জানা আছে ক্ষুদ্র জ্ঞানের গন্ডিতে তাতে জানি, কবিরা কবিতা লিখেন কিংবা সাহিত্যিকরা সাহিত্য রচনা করেন মানুষের জন্য । মানুষ যেন পড়ে উপকৃত হয় ।
তাদের মূল উপজীব্য হল মানুষ ।
আজ সেই মানুষরাই মুখ ফিরিয়ে নিলে বা আমলে না নিলে তারা কিভাবে অনুপ্রেরনা পাবেন ?
আমি দেখেছি কবির অন্য বিষয়ে লেখা মানুষ অনেক বেশী পড়ে । ব্লগেই তেমন কজন কবির দেখা আমি পেয়েছি । যাদের কবিতার চেয়ে রাজনীতি বা অন্য যে কোন সমকালীন বিষয়ে লেখা অনেক বেশী পঠিত হয় । প্রায় তা ১৫০-৩০০ হয়ে কখনো চার-পাঁচ'শ ছাড়িয়ে যায় ।
কিন্তু কেন এমন হয় ?
একজন কবি যতটা আবেগ পুঁজি করে একটা কবিতা লিখেন । তার এক-দশমাংশও কি তিনি অন্য লেখায় দেন ? দেন না ।
কিন্তু আমরা সেই অস্থির ছুটন্ত লেখাগুলোই গোগ্রাসে গিলি । যত্নের সাথে যা সৃষ্টি করা হয় তার গুরুত্ব দেয়ার সময় কই ?
একজন পিতা কখনো বলেন না, আমার ছেলে সাহিত্যিক হবে বা কবি হবে । কবিতা লেখা মানে সময় অপচয় ।
আজ অনেক বাবা সাকিব আল হাসান বানাতে চাইলেও কেউ আল মাহমুদ,হুমায়ুন আহমেদ বানাতে চান না !
অথচ স্বাধীনতা পরবর্তীকালে হুমায়ুন স্যারের মত ভালবাসা আর কার ভাগ্য জুটেছে ? কারো ভাগ্য না ।
তবু কেউ হুমায়ুন বানাতে চায় না । কি দরকার সময় নষ্ট করে !
যাক অনেক কিছুই লিখে ফেললাম । যা আমার জন্য স্পর্ধার পর্যায়ে পড়ে । কিন্তু কি করব যখন দেখি হুমায়ুন আহমেদের
হিমু শরৎচন্দ্রের দেবদাস বিভুতিভূষনের পথের পাচালী'র অপু সমরেষের অনিমেষ হতে চাওয়া মানুষেরা নিজের রক্তকে আপন সন্তানকে সাহিত্যে পড়তে বাঁধা দেন ।
সাহিত্যেক হতে নিষেধ করেন তখন সত্যিই খারাপ লাগে । আর মানতে পারি না ।
কত প্রতিভা যে এই বিধি-নিষেধের বেড়াজালে হারিয়ে গিয়ে কালের গহ্বরে জায়গা করে নিয়েছে তার খবর কে রাখে ?
জানি এত কিছু লেখা বৃথা । শুধু শুধু তাত্বিকতা ঝাড়া । তবু অন্তরের রোদন দূরীকরনে এই অরন্য রোদন আর কি !
_______________________###########__________
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।