আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দৃষ্টিভঙ্গি

দুর্বার প্রতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা পারি আমাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের আমূল পরিবর্তন আনতে। প্রবাসী জীবনের অনেক কিছুই আমাকে নাড়া দিয়েছে একটু একটু করে। উচ্চতর শিক্ষায় আসা ইউরোপের সর্ব উত্তরে এই (ফিনল্যান্ড) দেশটিতে আমার সৌভাগ্য হয়েছে বিভিন্ন মানুষের সাথে উঠাবসা। যাদের জীবন আদর্শ , প্রাত্যহিক কর্মচঞ্চলতা আর দেশীয় ঐতিহ্য আমায় নিজেকে নতুন ভাবে ভাবতে শেখা। জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের আমাদের চিন্তা চেতনার সামান্যতম পরিবর্তন এনে দিতে পারে পরিবর্তিত ফলাফলের আমেজ আর জীবনের সফলতা. এই যেমন ধরুন , আপনাকে যদি কেও জিগ্যেস করে 'ভাই , কেমন আছেন ?' জবাবে আপনি যেমনটাই থাকুন না কেন প্রতিউত্তরে 'আলহামদুলিল্লাহ (বা স্রষ্ঠার নাম নিয়ে বলা), বেস ভালো আছি ভাই ' বাক্যটি মানুসিক্ভাবেই আপনাকে অনেকটা সাহসী আর বেগবান করে তুলে যা মনস্তাত্তিক্ভাবেই প্রমানিত ।

প্রাত্যহিক জীবনের এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আপনাকে যেমন করে তুলে ব্যক্তিগত জীবনে একজন সুখী মানুষ সেই সাথে সমাজ জীবনেও করে তুলে আরোবেশি উদ্যমী. আর যা নির্দিধায় আপনাকে উচ্চব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তি হিসাবে আরেক ধাপে এগিয়ে নিয়ে চলে। ব্যক্তি জীবনে অসুখী মানুষ সমাজ জীবনে পিছিয়ে পরে উপযুক্ত মানবিক মূল্যবোধের কারনেই । অধিকাংশ ইউরোপিয়ানদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা কর্মে নিয়মানুবর্তিতা , নিজের প্রতি পুর্ণাস্থা, নিজের কর্মটি অধিকতর ফলপ্রসু উপায়ে সম্পূর্ণভাবে বুঝে নেওয়ার মানুষিকতাই তাদেরকে এশিয়ান আর আফ্রিকান মানুষদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনেকটা আলাদা আর বর্তমান সময়ে খানেকটা বেশী সফল করে তুলেছে । অন্যের কাজে অস্তক্ষেপ না করে নিজের কর্মটিকে সুষ্ঠভাবে সঠিক সময়ে সম্পন্ন করে ফেলার মাধ্যমেই এরা শ্রমবিভাজন কে রেখেছে আরো বেশী গতিময় , এটা অবলীলায় বলে দেওয়া যায় যে নিজের কাজটিকেই সুপরিকল্পিত ভাবে সঠিক সময়ে সম্পন্ন করে তুলার পূর্নাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গিই পারে কর্ম জীবনে আমাদেরকে সফল করে তুলতে । আরেকটা বেপার এই সকল শেতাঙ্গ মানুষদের কাছ থেকে লক্ষনীয় , আর তা হলো , ব্যক্তিগত জীবনে এরা যে যেমনি হোক না কেন , কর্ম জীবনে এদের কাছথেকে নিজের সহযোগী মানুষটি থেকে শুরু করে নিম্ন পদমর্যাদায় কর্মরত কর্মচারীর আমন্ত্রণে আসা মানুষটির প্রতিও সদাচারণে যথেষ্ট সচেষ্ট আর বিনম্রতার পরিচয় মেলে ।

সামনের মক্কেলটি যতই ক্রোধান্নিত বা জটিলতার পরিচিয় দিকনা কেন নিজের কর্মের পরিধিকে ঠিক রেখে ধৈর্যের মাধ্যমে হাসি মুখে কথা বলে যাওয়াটাও চাকরিজীবনে বা ব্যবসায়িক জীবনে আমাদের করে তুলতে পারে নিজের লক্ষমাত্রার চেয়েও সফল যা এদের মাঝে দেখা মেলে সহজেই । শেতাঙ্গ মানুষগুলির ভালো দিকগুলো তুলে ধরে আমি বলব না যে ওদের মাঝে আমি খারাপ দিকগুলো দেখতে পায়নি , বরং নিজের ভিতরের খারাপ মানুষটিকে সময় আর স্থান কে প্রাধন্য দিয়ে লুকিয়ে রেখে নিজের দায়ত্ততাকেই ভালোভাবে শেষ করাটাই আমার চোখে সম্মানের দাবিদার. এদের মুখে কোনো কিছুকে না বলার অভিনব পন্থাটি ভালো লাগার ম । কারো সাথে কোথাও যাবার অনিচ্ছাটাকে সরাসরি না বলে 'আমার মনে হচ্ছে আমি ওই সময়টাতে ব্যস্ত থাকতে পারি' কথাতাটি বলে সহজেই এরা পারে অনেক অনাকাক্ষিত মুহূর্তকে এড়িয়ে চলতে । প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাব অজানা থাকলে 'জানি না ' বাক্যটি ব্যবহার না করে 'হহুম , খুব চমত্কার একটা প্রশ্ন, এই তথ্যটি আমি আপনাকে শিগ্রই জানাবো' প্রতিউত্তরে জবাব দেবার জন্য এক সুইডিশ আমাকে উদ্বুদ্ধ করে যাতে বাস্তব জীবনে আমি দেখেছি এর সুপ্রভাব । পছন্দের মানুষটিকে (বাবা-মা , কাছের মানুষটিকে অথবা সবচেয়ে ভালোবন্ধুটিকে) 'আমি তোমায় অনেক ভালবাসি' শব্দগুলো অনায়াসে বলতে পারাটাও অনেকটা বড় ব্যপার যাতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিরও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ।

এই কথাগুলো বলার ক্ষেত্রে কখনও সংকোচ রাখা উচিত নয় । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.