Never argue with idiots. They bring you down to their level and then beat you with experience নাগরিক জীবনে গাড়ি দৈনন্দিন জীবনযাপনেররই একটি অংশ। সেইটা যানজটের দুর্বিষহ এই নগরীতেই হোক না কেন ! জীবনের নানা অনুষঙ্গের সঙ্গে অনেকেরই স্বপ্ন থাকে নিজের একটি গাড়ির। সেই গাড়ি কেনা নিয়েও প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশ হতে পারে নিচের বিষয়গুলো-
গাড়ি কেনার আগে প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার বাজেট কত। যদি বাজেট যথেষ্ট হয় এবং নতুন গাড়ি কেনার মতো হয়, তবে আপনি আপনার পছন্দমতো ব্র্যান্ড নিউ অথবা রিকন্ডিশন গাড়ি যে কোনো নির্ভরযোগ্য শোরুম থেকে কিনতে পারবেন। গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের মডেলটি নির্বাচন করুন।
মডেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে গাড়ির রি-সেইল ভ্যালু নিশ্চিত হয়ে মডেল বাছাই করবেন। কেননা আপনি যে গাড়িটি কিনবেন তা পরে বিক্রি করলে ক্রেতা যাতে এতে আকৃষ্ট হয়। গাড়িটিতে অরিজিনাল রং রয়েছে কি না তা দেখে নিন। চেসিস নাম্বার, ইঞ্জিন নাম্বার, তৈরির সাল সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। এটি গাড়ির সামনের বুটের চেসিসের প্লেটে খোদাই করা অবস্থায় পাবেন।
এর পাশাপাশি গাড়ি কত কিলোমিটার চলেছে এবং এর অতীত ইতিহাসও বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করে জেনে নিন। এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব কম মাইলেজ দেখে গাড়ি কিনুন। তবে রিকন্ডিশন গাড়ি কেনার সময় কিছু ব্যাপার সব সময়ই মাথায় রাখতে হবে যে এ ধরনের গাড়ি আমদানির সময়ই কিছু ত্রুটি থাকে। এগুলো শোরুমে আনার আগে মেরামত করা হয়ে থাকে। তাই কী কী কাজ হয়েছে সম্ভব হলে জানার চেষ্টা করুন।
গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিলেই প্রথম প্রশ্নটি আসে যে কত সিসির গাড়ি কিনবেন। আপনার গাড়িটি ৮০০ সিসি হবে নাকি ১৫০০ সিসি হবে এর পুরোটাই নির্ভর করছে গাড়িটি আপনি কেমন কাজে ব্যবহার করবেন তার ওপর।
যেমন প্রতিদিন কাজে যাতায়াতের জন্য ৮০০ সিসির গাড়িই সর্বোত্তম। আবার এসব কাজের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে দেশের বাড়ি কিংবা লং ড্রাইভে যাবেন? তা হলে আপনি ন্যূনতম ১০০০ কিংবা ১০০০+ সিসির গাড়ির কথা ভাবুন। কম সিসির গাড়িতে জ্বালানি কম খরচ হবে আর বেশি সিসির গাড়িতে ফুয়েল তুলনামূলক বেশি খরচ হবে।
বেশি সিসির গাড়ি হলে গাড়িকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করলে আপনার খরচ কমে আসবে অনেক। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গাড়ি ১৫০০ সিসির মধ্যে থাকলেই চলে।
গাড়ির বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে জেনে নিন। গাড়িতে আপনি কী কী সুবিধা চান? যেমন- নেভিগেশন, ক্যামেরা, স্পয়লার, সানরুফ, বডিকিট, ইন্টেরিয়র, ডিভিডি, টিভি ইত্যাদি কতটুকু আপনার বাজেটের ভেতর পাবেন সেটি নিশ্চিত করুন। অন্য কোনো শোরুম আপনাকে এই বাজেটে কী কী সুবিধা দেবে নিশ্চিত হন।
সম্ভব হলে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় কয়েকটি শোরুম ঘুরে আসুন। ঢাকায় উত্তরা, কাকরাইল, প্রগতি সরণি, মালিবাগ, ধানমণ্ডি, মিরপুর ইত্যাদি প্রায় সব এলাকাতেই রিকন্ডিশন্ড এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ির শোরুম আছে। সম্ভব হলে গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ নিজে করুন। সবচেয়ে ভালো হয় গাড়ি কেনার সময় অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে রাখলে।
অনলাইনেও খুঁজে নিতে পারেন আপনার পছন্দের গাড়ি।
শোরুম লিঙ্ক ও কার পোর্টাল-http://www.carhousebd.com/showroom; Click This Link এ ক্ষেত্রে আপনি ক্রয়-পরবর্তী রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স, ফিটনেস, ইন্স্যুরেন্স ইত্যাদিতে কত টাকা পরিশোধ করতে হতে পারে তা আগেই শোরুম থেকে জেনে নিতে ভুলবেন না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাবেন http://www.brta.gov.bd-এর ওয়েবসাইটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।