সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
বিশ্বে প্রতিনিয়ত একের পর এক চমক লাগোনো সব আবিস্কার/উদ্ভাবন চলছে। থানকুনি পাতা থেকে বিদ্যুত, উটের মুত্র থেকে ক্যান্সার নিরাময়ের ওষূধ, উভয়চর এবং উড়ন্ত গাড়ি আরো কত কী? সম্প্রতি আরো একটি চমক লাগানো উদ্ভাবনের কথা জানিয়েছে ডিজিটাল ট্রেন্ডস। অবাক করার মতোই ঘটনা। নেই পেট্রোল, নেই গ্যাস? নো প্রবলেম। এখন গাড়ি চালাতে প্রয়োজন হবেনা কোন গ্যাস বা পেট্রলের! এমন একটি বৈদ্যুতিক কার তৈরি করেছেন জার্মানির দুই উদ্ভাবক ডার্ক জিওন এবং স্টিফেন সিমেবার।
গাড়িতে স্থাপিত বায়ুচালিত টারবাইনে রিচার্জ হবে ব্যাটারি, আর এতে চলবে গাড়ি। অবাক করার মতোই খবর তাই না?
গাড়িটির ব্যাটারি শেভিভোল্ট ও নিশান লিফ মডেলের গাড়ির ব্যাটারির মতোই। তবে 'উইন্ড এক্সপ্লোরারে' ব্যাটারি রিচার্জের জন্য রয়েছে ২০ ফুট লম্বা একটা বাঁশের মাস্তুল যা গুটিয়ে ছোট করে রাখা যায়। মাস্তুল রাখার জন্য চালক ও আরোহীর সীটের মাঝখানে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রিচার্জ করার প্রয়োজন হলে মাস্তুল তুলে দিলেই টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে যাবে পাওয়ার গ্রিডে।
সেখান থেকে প্লাগের মাধ্যমে চার্জ হবে ব্যাটারি।
'উইন্ড এক্সপ্লোরার' নামে গাড়িটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর জন্য জার্মানি থেকে অস্ট্রেলিয়া আসেন দুই উদ্ভাবক ডার্ক জিওন এবং স্টিফেন সিমেবার। তারা ১৮ দিনে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর আলবেনি থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সিডনিতে পৌঁছাল।
পরীক্ষামূলকভাবে সম্প্রতি গাড়িটি অস্ট্রেলিয়ায় ১৮ দিনে পাড়ি দিয়েছে ৩ হাজার ১শ মাইল পথ। উদ্ভাবনের পরপরই কয়েকটি রেকর্ড করলো গাড়িটি।
বায়ু চালিত কোন যান এই প্রথম মাটিতে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিল। বায়ু চালিত কোন যানের মহাদেশ পাড়ি দেয়ার ঘটনা এই প্রথম। একই সঙ্গে বায়ুচালিত কোন যানের ৩৬ ঘন্টায় দীর্ঘতম পথ পাড়ি দেয়ার রেকর্ডও দখল করল গাড়িটি।
বলা হচ্ছে, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দূষণমুক্ত গাড়ি। এমনকি ঘোড়ার মল থেকে যে গ্যাস উৎপন্ন হয়, তার চেয়েও কমপরিবেশ দূষণ করবে গাড়িটি।
একবার চার্জ করলে একনাগাড়ে গাড়িটি আড়াইশ মাইল পর্যন্ত চলবে।
সূত্রের লিংকঃ
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।