চাই চিন্তার পূনর্জাগরন যে অনুভূতি মাপা যায়না সেই অনুভুতির গুষ্টি কিলাই। বাসায় গিয়ে দেখলেন বউ আলটিমেটাম দিয়েছে তার প্রতি আপনার 'অনুভূতি' কীরকম কাগজে কলমে তার হিসাব দেবার জন্য। ভাবছেন একখানা কবিতা লিখে দিবেন? কবিতাও তো মেটাফোরে ভরা। কাগজ-কলম বা আইন-আদালত কি তা বুঝবে? ধর্মীয় অনুভূতি? সে তো আরও উপরের বিষয়। ধর্মীয় অনুভূতি নামক এই আবেগীয় বিষয়টি সময়ের হিসাবকেও অগ্রাহ্য করেছে।
একবছর আগে আপনি স্টিমুলাসপ্রাপ্ত ( stimulated ) হলেও হঠাৎ করেই একবছর, এমনকি আরও অনেক পরেও তা আপনাকে উত্তেজিত করতে পারে। হয়ত সময়ের মত এটা ‘দেশ’ (space )এর গন্ডীকেও অগ্রাহ্য করেছে। আমার মনে হয় অতিদ্রুত হার্ভার্ডের সাইকোলোজি ডিপার্টমেন্টে খবর দেয়া উচিৎ। এই ধরনের অনুভূতি খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা বিষয়। এই অনুভূতির ‘সাবজেক্ট’ পৃথিবীতে বিরল হলেও বাংলাদেশে বেশ সস্তায়ই পাওয়া যাচ্ছে।
হার্ভার্ড এর রিসার্চে অনেকগুলো বিষয় আসবে বলে ধারনা করি। যেমন, মন্দির পোড়ালেও অনেকের এই ধরনের ‘ধর্মীয় অনুভূতি’ জাগ্রত হয়না। মসজিদের গালিচায় আগুন দিলে বা বাড়ীঘরের সাথে ধর্মগ্রন্থ পোড়ালেও তা ‘ধর্মীয় অনুভূতি’র উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেনা। আবার, উদ্দীপক হিসেবে ইউটিউব চমৎকারভাবে কাজ করলেও ‘আমার দেশ’ সেভাবে সফল নয়। অনেক ধার্মিক মানুষেরও আবার ‘ধর্মীয় অনুভূতি’ এত ঠুনকো নয়।
বিষয়টা আসলেই ইন্টারেস্টিং!!!!
মানুষের মন বড়ই জটিল বিষয়। যে অনুভূতি সস্তা, যে অনুভূতি অপরিমাপযোগ্য, সেই অনুভুতির গুষ্টি কিলাই। বসন্তবিলাস বা বর্ষাবিলাস ছাড়া এই অনুভূতির একপয়সাও দাম নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।