নয়া যামানার নয়া পথিক,পথ হারিয়ে ছুটনা দিক্বিদিক
সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস(রাঃ)। আল্লাহ্র রাসূলের ভালবাসায় সিক্ত সাহাবিদের একজন। বলা হয় ,ইসলামের জন্য প্রথম তীর ছুড়েছিলেন এই অকুতোভয় জানবাজ মুজাহিদ। তিনি পারস্য বিজয় করেছিলেন। আল্লাহ্র পথের এই দৃঢ়চিত্ত মুজাহিদের তরবারি সাসানিদের হাজার বছরের ঐতিহ্য আর অংকারকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল।
খলিফা উমর(রাঃ) সাআ'দ(রাঃ) কে কুফার গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন। কুফা পুণর্গঠনকালে সাআ'দ(রাঃ) নিজের জন্য একটি প্রসাদ নির্মাণ করলেন। কিসররা প্রসাদের তোরণ এনে বসিয়ে দিলেন তাঁর প্রসাদের সম্মুখে। কথাটি কোনভাবে পৌঁছালো দারুল খেলাফতে। ভোগের সামান্য এই আয়োজন মাথায় আগুন ধরিয়ে দিলো,খেজুরের চাটাইয়ে বসে অর্ধজাহান বিজেতা উমরের মাথায়।
কালবিলম্ব না করে সাআদের(রাঃ) নামে পত্র লিখলেন খলিফা। দূতকে ডেকে হাতে তুলে দিলেন সাআদের(রাঃ) চিঠি। বললেন,শুনো!! কুফা পৌঁছে সাআদের(রাঃ) প্রসাদে আগুন ধরিয়ে দেবে তুমি। যদি সে কারণ জিজ্ঞেস করে,হাতে তুলে দেবে আমার এই ফরমান।
দূত ছুটলো কুফায় ।
দৃঢ়চেতা সেনাপতির দৃঢ়চেতা সিপাহী। দেরি না করে আগুন ধরিয়ে দিল ভোগের বালাখানায়। লেলিহান অগ্নিশিখায় জ্বলছে সাআদের(রাঃ) প্রসাদ। হতভম্ব গভর্নর এসে দাঁড়ান মদিনার মুসাফিরের সামনে। জিজ্ঞেস করেন কি এর কারণ?
দূত সা'আদের(রাঃ) হাতে তুলে দেন আমিরুল মুমিনের চিঠি।
খলিফা লিখেছেন,শুনেছি,আরাম আয়েশের জন্য খসরুর প্রসাদের মত গড়েছো তুমি। খসরুর প্রসাদের কপাট লাগিয়েছো আপন প্রসাদে। দ্বারী,প্রহরীও আছে নিশ্চয়। কিন্তু তুমি কি ভাব নি জনতার অভাব-অভিযোগ জানাতে অসুবিধা হবে এতে?
নবীর পথ ছেড়ে খসরুর পথ ধরেছো। ভেবে দেখো!প্রসাদের বাসিন্দার দেহ কবরে আজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
অথচ নবী সামান্য কুটিরে বাস করেও সর্বোচ্চ জান্নাতে উন্নীত হয়েছেন। মাসলামাকে পাঠালাম দুনিয়ার প্রসাদ পুড়িয়ে দিতে। জেনে রেখো একটি কুটির আর একটি খাজাঞ্চিখানা বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট।
চঠি পড়ে অবনত মস্তকে খলিফার নির্দেশ মেনে নিলেন সাআদ(রাঃ)। ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ভিজিয়ে দিলো মদীনার ফরমান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।