আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজিবি বনাম বিডিআর ও বিএসএফ বনাম জনগন

জাগো বাংলাদেশ , জাগো বাংলাদেশ ক্ষনিক দেশপ্রেমিকদের সাথে কিছু আলোচনা কিভাবে শুরুটা করা যায় ভাবছি কিন্তু শারীরিক অসুস্হতার কারনে মস্তিষ্কের সব বাক্যগুলোকে বর্ণে রুপ দিতে কষ্টই হচ্ছে। কিন্তু মনের গহীনে থাকা ব্যথা শারীরিক কষ্টকেও ছাপিয়ে যায় মাঝে মাঝে। মনে পড়ে ২০০১ এ ১৬ বিএসএফ এর প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল তৎকালীন সাহসী বিডিআর জাওয়ান রা , শহীদ হয়েছিলেন ৩ জন বিডিআর জাওয়ান। কিছু পুরাতন খবর পড়ি। ৮ এপ্রিল।

২০০১ সালের এই দিনে কুড়িগ্রামের রৌমারীর বড়াইবাড়ি সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের আগ্রাসন রুখে দিয়েছিল সীমান্তের অতন্ত্র প্রহরী বিডিআর। বিনা কারণে সম্পূর্ণ আগ্রাসী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতিতে বিশ্বাসী ভারতীয় সীমান্তবাহিনী বিএসএফ কাপুরুষোচিতভাবে রাতের আধারে ডাকতের বেশে বাংলাদেশের সীমান্তের প্রায় ৩ কিঃ মিঃ অভ্যন্তরে অনধিকার ও অবৈধ প্রবেশ করে। উদ্দেশ্য ছিল, বড়াইবাড়ি সীমান্ত চৌকি দখল করা। এর মাত্র ৩দিন আগে সিলেটের পাদুয়া সীমান্তে ঢুকে একটি গ্রামের কিছু অংশ বিএসএফ দখল করে নেয়। তৎকালীন বিডিআর-এর মহাপরিচালক ফজলুর রহমান সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন।

বড়াইবাড়ির সীমান্তের বিডিআর জওয়ানরা বিএসএফকে সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত করার যে সাহসিকতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশের ইতিহাসে তা চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঐদিন তিনজন বিডিআর জওয়ান সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। তারা হলেন নায়েক ওয়াহেদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজুর রহমান ও সিপাহী আব্দুল কাদের। স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিডিআর জওয়ানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতাকে রার জন্য বিডিআর-এর আত্নত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং সেই সাথে শহীদ বিডিআর সদস্যদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করি, সালাম জানাই সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষদের যারা জীবন বাজি রেখে বিডিআর জওয়ানদের সহযোগিতা করেছিল।

সেই সাথে ঘৃণা জানাই যারা সে সময় ক্ষমতায় থেকে এই ঘটনার জন্য ভারতের কাছে প্রতিবাদ না করে বরং উল্টো দুঃখ প্রকাশ করেছিল এবং তৎকালীন বিডিআর-এর মহাপরিচালক ফজলুর রহমানকে পুরস্কৃত না করে চাকুরীচ্যুত করেছিল। রৌমারীর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ী বিডিআর ক্যাম্প ও ছিটমহল দখলের জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। বিএসএফ বড়াইবাড়ি ছিটমহলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ছিটমহলের ৭৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ১৬০টি বাড়ি।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিডিআর জওয়ান আর স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিরোধের মুখে আগ্রাসনকারী বিএসএফ পিছু হটতে বাধ্য হয়। ব্যর্থ হয় তাদের দখলের অপচেষ্টা। ওই যুদ্ধে ১৬ জন বিএসএফ ও তিনজন বিডিআর সদস্য নিহত হন। বিএসএফের গুলিতে আহত হয় আরো ছয় সাধারণ বাংলাদেশি। এ কারণে ১৮ এপ্রিল দিনটি রৌমারীবাসী পালন করে ‘‘বড়াইবাড়ী দিবস’’ হিসাবে।

সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। শেখ হাসিনা বিডিআর সদস্যদের ধন্যবাদের বদলে শাসিয়েছিলেন বলে গ্রামবাসিরা অভিযোগ করে। খুজলে অনেক পাবেন সেই ভুলে যাওয়া দিনটির খবর। এর পরের ঘটনা আরও হৃদয় বিদারক। নানক, আজমের নেতৃত্বে বিডিআর কর্যালয়ের হত্যকান্ড ও বিচারের নামে কয়েক হাজার বিডিআরকে হত্য ও অবশেষে বিডিআর এর বিলুপ্তি ও বিজিবির জয়।

অনেকেই জানেন না যে বিচারে কয়েক হাজার বিডিআর কে হত্য করা হয়েছিল তা ছিল বিদ্রোহ কারীদের বিচার , হত্যকান্ডের বিচার হয়তো আজও শুরু হয় নি। বর্তমান আওয়ামী মহাজোট সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দেড় মাস পরেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ও ৫৮ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন ব্যক্তির নৃশংস হত্যাকান্ড এবং একইসাথে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিডিআর বিদ্রোহের পর সরকার এই বাহিনীর নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা কর্মকর্তাদের এই নৃশংস হত্যাকান্ড দেশে বিদেশে চরম ঘৃণার জন্ম দেয়। এতদসত্ত্বেও বিডিআরের নাম, পোশাক, লোগো পরিবর্তনের পক্ষে সর্বসম্মত মতামত ছিল না। দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীগণ বহু শৌর্য বীর্য ও বীরত্বগাঁথার নজীর স্থাপনকারী বিডিআরকে স্বনামে রেখেই বিদ্রোহ ও হত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

কিন্তু সরকার একক সিদ্ধান্তে বিডিআরের নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১০ এর জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনে গত ৮ ডিসেম্বর পাস হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিল ২০১০। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান এই বিলে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করেছেন। যদিও বিডিআর মহাপরিচালকের মৃত্যুর খবর দেশী সংবাদমাধ্যম কিংবা রয়টার্স, এপি, এএফপি’র মতো সংবাদ সংস্থার আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা-সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রথম প্রকাশ করে। ২৫ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের কোন সংবাদ মাধ্যম এবং ২৬ ফেব্রুয়ারী কোন পত্রিকাই বিডিআর এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল সহ দরবার হলে উপস্থিত ১৬৮ জন কর্মকর্তার ভাগ্যে কি ঘটেছে সে ব্যপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে না পারলেও ঘটনার মাত্র ৪ ঘন্টা পরেই নয়াদিল্লি টিভি (এনডিটিভি) দুপুর ২ টার নিউজ এ নিশ্চিত ভাবে প্রচার করে যে বিডিআর এর বিদ্রোহে মেজর জেনারেল শাকিল সহ ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছে।

সমসাময়িক ঘটনা , ১ ফেব্রুয়ারী কলকাতা কনফারেন্স ২০০৯ নামে কলকাতার সুবাস ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের একটি অংগ সংগঠনের ৪র্থ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সম্মেলনের অন্যতম আকর্ষন ছিল, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির প্রযোজিত ডকুমেন্টারী �মানুষ না মালাউন�? ডকুমেন্টারীর ধারা বিবরনীতে বলা হয় বাংলাদেশে সংঘটিত সকল নির্যাতন নিপিড়নের জন্য দায়ী হচ্ছে, বর্বর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, সেনাবাহিনী ও এর গোয়েন্দা সংস্থা। ইসলাম ও সেনাবাহিনীকে উতখাত করতে না পারলে এ সংকটের সমাধা হবে না। এ ব্যপারে ভারত সহ সকল আন্তর্জাতিক শক্তির সহযোগিতা চাওয়া হয়। ১৯৭১ সালের কালো ২৫ মার্চ রাতে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর আর রাজারবাগ পুলিশের ওপরই সর্বপ্রথম হামলা করেছিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।

তৎকালীন ইপিআর তার প্রতিরোধ করেছিল। পয়লা ইপিআরই প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ ৮ জনের মধ্যে দুইজনই হলেন বিডিআরের সদস্য। এরা হলেন লেন্সনায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও লেন্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। এই বাহিনী থেকেই ৪০ জন সদস্য বীর বিক্রম এবং ৯১ জন বীর প্রতীক খেতাব পান।

সেই বীরত্বগাঁথা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা বিডিআর বিলুপ্ত হয় বিদ্রোহ আর খুনের অভিযোগ মাথায় নিয়ে। যদিও তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সেনা হত্যার স্পষ্ট ইন্গিত ছিল শেখ হাসিনা পুত্র জয় এর থিসিস (গুগল বা সামু খুজলে পাবেন) এ এবং সেই সাথে সেনা প্রধান মইন এর আমেরিকায় জয়ের সাথে সাক্ষাতকার ছিল রহস্যময় কিন্তু সহজে অনুমেয়। শুধু ব্লগ খুজলেই পাওয়া যাবে সেনা হত্যাকান্ডের আগাম নোটিশ। যেন অনেকটা ঢাক ঢোল পিটিয়েই আজম, নানক, তাপস ঘটনার নেতৃত্ব দেয় । ভারতীয় কলামিষ্ট হিরন্ময় কার্লেকার ও কাঞ্চন গুপ্তের (দেখুন, daily pioneer, 27.02.2009) মতে ওয়ান ইলেভেন এর পরে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তাদের ভাষায় আওয়ামীলীগ ও ভারত বিরোধী কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সে দিন পিলখানার টাওয়ার থেকে তিনশর ও বেশী কল এবং অসংখ্য এসএমএস ভারতের বিভিন্ন নাম্বারে আদান প্রদান, ঘটনার কয়েকদিন আগে ডিএডি তৌহিদের সাথে একজন প্রতিমন্ত্রীর কথোপকথন আবার ঘটনার দিন সেই একই মন্ত্রীকে সমঝোতার জন্য পাঠানো এবং সে মন্ত্রীর ঘটনাস্থলে রহস্যজনকভাবে আটকে যাওয়া সেনাঅফিসারদের নিরাপত্তার ব্যপার নিশ্চিত না করে সমঝোতার প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রীর বিডিআর সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ অথচ সেখানে অনেক সিভিল কিলার অংশগ্রহন ছিল বলে প্রমান পাওয়া, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সমঝোতার জন্য গিয়েছিল ১৪ জন বিদ্রোহি জওয়ান অথচ তাদের মধ্য থেকে আসামী করা হয়েছে মাত্র ৫ জওয়ানকে এসব রহস্য । খুব সহজ হিসেব ছিল যে ট্রানজিটের জন্যে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল বিডিআর ও সেনা। মইন সাহেব পরিবর্তিতে নিজে আমেরিকায় বসবাস শুরু করলেও তখন যানতেন ভেতরের সব খবর কারন দেশপ্রেমের টানে তখন অনেকেই বিশ্বাস করেছিলেন তাকে সেই সাথে ছিল কিছু আইকন যেমন: RAB এর গুলজার উদ্দিন। যাই কোন কথা বাড়িয়ে লাভই বা কি হবে। যাই হোক এর পর বিডিআর এর পরিচালক হন মহাপরিচালক মইনুল ইসলাম যার সম্পরর্কেও ব্লগ খুজলেই তথ্য পাবেন।

তার পরের দুবছর ফেব্রুয়ারী মাসে হয় জয়ের আওয়ামি লীগ এ সদস্য হিসেবে যোগদান ও ভারতীয় শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট যেন ফেব্রুয়ারী একটা আনন্দের মাস তাদের জন্যে। সেই সময়ের একটা রিপোর্ট : বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে চায় ভারত, কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকার খবর। বাংলাদেশে পিস মিশনের নামে সামরিক কিংবা আধা সামরিক বাহিনী পাঠানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে ভারত। বিডিআর বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য ভারত বাংলাদেশে পিস মিশন পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছে। নয়াদিল্লির অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের সূত্র টেলিগ্রাফকে এই তথ্য জানিয়েছে ।

শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশেই হতে পারে ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক দ্বিপক্ষীয় পিস মিশন। উল্লেখ্য, রাজিব গান্ধীর সময় তামিল গেরিলাদের দমনের লক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষী বাহিনী শ্রীলঙ্কায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল এবং বিপুলসংখ্যক হতাহতের পর তা পরিত্যক্ত হয়। এমতাবস্থায় ঢাকা সম্মত হলে ভারত সরকার তার সেনাবাহিনী না পাঠিয়ে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, রেলওয়ে প্রটেকশন ফোর্স কিংবা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টিও বিবেচনা করতে পারে। এখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিডিআর’র ওপর ভরসা করতে পারছে না এবং বাংলাদেশ রাইফেলসও তাদের সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিশ্বাস না করায় পিস মিশন পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিডিআর’র বদলে মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে ভারতীয় কোনো সামরিক বা আধা সামরিক সংস্থা।

(Daily Telegraph, Calcutta, ২৬.০২. ২০০৯) অথচ ভারত বিডিআর কে কতটা ভয় করত দেখুন : ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভারতের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘আউটলুকে’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা বি-রমন বাংলাদেশের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে এক নিবন্ধ লিখেছেন। ওই নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশ রাইফেলসকে একটি ভয়ানক বাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিডিআরকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আদলে গড়ে তোলা এবং সীমান্ত রক্ষায় তাদের দুর্দান্ত মনোভাব এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধে নাস্তানাবুদ করার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তার লেখায়। বিডিআরকে সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের কমান্ড কন্ট্রোল থাকায় সীমান্তে তারা বিএসএফকে তোয়াক্কা করে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বি রমন বরাইবাড়ী যুদ্ধে বিডিআর’র স্মরণীয় যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে ওই ঘটনা যখন ঘটে, তখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিলেন।

কিন্তু বিডিআর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫ সদস্যকে হত্যা করার ওই ঘটনার তিনি কোনো বিচার করেননি। বি রমন বলেন, বাংলাদেশের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিডিআর এবং অন্যান্য বাহিনী পরিচালিত হয়। নিবন্ধে বলা হয়, সীমান্তে সর্বদা পাহারারত থাকায় বিডিআর’র সদস্যদের মধ্যে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব কাজ করে। (weekly outlook and saag paper no. 3072, 27.02.2009) যাইহোক সবই ভুলে যাওয়া ঘটনা। পিলখানা ট্র্যাজেডির পর সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসনের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

ভারতীয়রা মধ্যযুগীয় কায়দায় শুরু করে সীমান্তের জমি দখল, নিরীহ সীমান্তবাসীর ওপর হামলা, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা। ২১ ব্যাটালিয়নের সাহসী বিডিআর জওয়ানরা ভারতের আগ্রাসী তত্পরতার মোকাবিলা করতে থাকে। বিডিআরের দেশপ্রেমিক সদস্যরা দিন-রাত পাহারা দিতে থাকেন সীমান্তের জমি। কালের বিবর্তনে রহস্যজনক কারণে ২১ ব্যাটালিয়নকে বদলি করে সিলেটে নিয়ে আসা হয় ৫ ব্যাটালিয়ন বিজিবিতে। পরবর্তীতে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথ জরিপদল কড়া পাহাড়ায় জরিপের নামে ভারতকে প্রথম ১৩ একর পরবর্তীতে আরও ৮০০ গজ বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর জমি বুঝিয়ে দিয়ে আসে।

গেল বছর ডিসেম্বরে একটা খবর পড়েছিলাম ''সীমান্তে মানুষ হত্যা : ভারতের পক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন ড. গওহর রিজভী ! '' অবাক হইনি। নির্বাচনের আগে ও পরে এই লোকটাকে নিয়ে অনেক জায়গাতেই লেখালেখি হয়। আরও কিছু মানুষ আছে যাদের নাম প্রাই শোনা যায়। যেমন ধরেন : Click This Link আবার পুর্বের একটি ব্লগে লিখেছিলাম ''পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বলে বসেছেন, ভারতের বদৌলতে কিছু পরিমাণে হলেও পানি যে পাওয়া যাচ্ছে সেটাই নাকি আমাদের ‘সৌভাগ্য' এবং এতেই আমাদের খুশি থাকা উচিত! মন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারত নাকি উজানে পানি প্রত্যাহার করছে না! এ এক অতি চমৎকার ‘আবিষ্কার' বটে! রমেশ চন্দ্র সেনকে তাই বলে দোষ দেয়া যাবে না। কারণ, তিনি তার পূর্বসুরীকে অনুসরণ করেছেন মাত্র।

স্মরণ করা দরকার, ১৯৯৮ সালে ভারত ফারাক্কাসহ বিভিন্ন বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে তলিয়ে দেয়ার পরও তখনকার পানিসম্পদ মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘উজান' দেশের পানিতে ‘ভাটির' দেশ বাংলাদেশকে সব সময় ‘ডুবতেই' হবে! এমনটাই ভারতের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মনোভাব আরও অনেক কথা আছে যা কিনা লিখে শেষ করা যাবে না। অনেক লিখেছি অনেকবার ব্যান হয়েছি। কেন যানি বাংলাদেশীদের দেশপ্রেম হঠাৎ উদিত হয় আবার হঠাৎ অস্তযায়। যুদ্ধে হোক, রাজনিতি, ব্যবসা, পড়াশুনা বা ক্রিকেটেও দেখেছি বাংলার বাঘ সব বিড়াল ছানা হয়ে যায়। ৭১ এর বাঘ ২০১১ এ বিড়ালকেও হার মানায়।

যাই হোক, মূল ব্যপার হল বর্তমান বাংলাদেশ। ভাবনার বিষয় সীমান্ত হত্যা। দোষী বিএসএফ। আসলেই কি তাই ? চোখ বন্ধ করে নিজের বিবেক কে প্রশ্ন করে দেখুন। বিএসএফ কি অন্য কোন দেশের নাগরিকদের সাথে এমন আচরন করে ? যে ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে তা তো কেবল একটা সামান্য অত্যচারের ভিডিও।

আর বিগত বছর গুলোতে যে কয়েক হাজার বাংলাদেশীকে হত্যা করা হয়েছে , যখন লিখে লিখে ক্লান্ত হাজার হাজার মানুষ যে বন্ধকর এই হত্যকান্ড কই তখনতো দেখিনি এমন আর্তনাদ ? তাহলে এখন কেন ? কেন এসব ভন্ডামী ? ভারতপ্রীতি কি আসলেই বন্ধ হবে এই দেশে যে দেশের মানুষ উর্দু ছেড়ে এখন হিন্দিতে ফেইসবুক স্টাটাস দেয় ? বিশ্বাস, প্রেম এগুলো মন থেকে জন্ম নেয় ভিডিও দেখে আর ফেইসবুকের লিন্কে ক্লিক করে নয়। যারা ভিডিও দেখে হঠাৎ দেশপ্রেমিক হয়ে গেছেন তাদের নিয়ে ভয় হয়। তারা কতটুকু খবর রাখেন দেশের ? দেশপ্রেমের সঙ্গাটা তাদের কাছে কেমন খুব জানতে ইচ্ছে করে। আপনারা জানে তো বাংলাদেশের সীমান্ত স্হলভাগের থেকে জলভাগে আরও বড়। সেই সীমান্তও অরোক্ষিত।

জানেন কি ভারতকে শুধু স্হলভাগে ট্রানজিট নয়, জলভাগ ও টেলিকোরিডোরও দেয়া হয়েছে আরও বছর খানেক আগেই। জানেন কি বাংলাদেশের মানুষে টাকায় কেনা ইন্টারনেট নিজ দেশে অব্যবহারিত রেখে তা ভারতকে রফতানী করা হচ্ছে। জানেন কি উইন্ডোজ এর বাংলা সংস্করন ভারত করে বাংলাদেশ নয় কারন তৎকালীন সরকার, কম্পউটার সমিতির সভাপতি ও আপনাদের প্রান প্রি্য় জব্বার সাহেব একমত হতেপারেননি বলে। জানেন কি বাংলাদেশের খনিজ সম্পদও অরোক্ষিত। জানেন কি ভারতে বাংলাদেশী টিভি চ্যানের নিষিদ্ধ।

জানেন দক্ষিন তালপট্টি ভারত তাদের যুদ্ধ জাহাজ ডিয়ে দখন করে রেখেছে ? জানেন কি টিপাইমূখী সহ আরও ৫৩ টি নদীর মুখে ভারতের বাধের কথা ? জানেন কি ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি সমূহ ?নাকি শুধু হঠৎ হঠাৎ করে ফেলানী, সোনাবরু এর মৃত্যু সংবাদ পড়ে বা বিএসএফ এর অত্যাচারের ভিডিও দেখলেই দেশপ্রেমিক ভাব নিতে ইন্টারনেটে আসেন আপনারা। কথায় আছে নির্বোধ বন্ধুর চেয়ে বুদ্ধিমান শত্রুও শ্রেয় তাই মনে হয় নির্বোধ দেশপ্রেমিকরাও দেশের কোন কাজে তো আসবেই না বরং ফল আরও খারাপ হতে পারে যেমন আগেও হয়েছে বার বার। আমি আগের পোস্টে বলেছিলাম মানুষ পরিবর্তন দেখতে চায় কিন্তু করতে চায় না। অপেক্ষা করতে থাকেন, তবে সেনা হত্যা, ত্রাণচুরি, বাজেট এর নামে শুল্ক ফাকি, টিপাইমুখি, এশিয়ান হাই ওয়ে, বিদেশে অর্থ পাচার, রাজনইতিক হত্যা, দেশের সাথে প্রতারণা এমন অনেক কারণেই একদিন এই আওয়ামী, বিএনপি এর বিচার আপনারা চাইবেন কিন্তু আরও ৩০ বছর লাগবে এই আর কি। ৭ কোটি মানুষের সাথে প্রতরণার থেকে ১৬ কোটি মানুষের সাথে প্রতারনা বেশী অন্যায় মনে করি।

তাই ৩০ লাখ হ্ত্যার থেকে ১৫ কোটি মানুষকে জিবন্ত লাশ বানায় রাখা কি কম অন্যা্য়? আবার ১/১১ এর আশায় থাইকেন না। সেনাবাহিনী দেশের উন্নতির থেকে নিজেদের উন্নয়ন নিয়ে বেশী ব্যাস্ত। ভারতীয় দালাল, পাকিস্তাণের দালাল, আওয়ামির দালাল, বিএনপির দালাল, তত্বাবধায়ক সরকারের দালাল, সুশীল সমাজের দালাল সব রকমের দালাল দেখলাম। বাংলাদেশের বা বাংলার মানুষের একটা দালাল খুজে পেলাম না। সবই কি হঠাৎ ঘটে মনে হয় আপনাদের কাছে ? এই যে তিতাস নিয়ে লেখালেখি এটা কি হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা ? ''ভারতীয় কোম্পানি ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার এন্ড পলিমার লিমিটেড, যা আসাম গ্যাস ক্র্যাকার প্রজেক্ট নাম পরিচিত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলপথ ব্যবহারের অনুমতি চাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য রিগসহ ভারি যন্ত্রপাতি আসাম পর্যন্ত পরিবহন করতে চায় এই কোম্পানি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মনির ভারত সফরের শেষ দিনে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণার মাত্র একদিন পরেই এই প্রস্তাবের কথা জানিয়েছে ঐ ভারতীয় কোম্পানি। বাংলা-ভারত যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদী বন্দর ব্যবহারে ভারতকে অনুমতি দেবার কথা বলা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার এন্ড পলিমার লিমিটেডের কর্মকর্তা ভারতীয় সংবাদ সংস্থাগুলোকে জানিয়েছেন, তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারি যন্ত্রপাতি সময়মত পরিবহন করাটা একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে জাহাজে করেই এগুলো আনতে হবে।

তিনি জানান, এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য একটি বিশাল প্রকল্প। ভারতের মাটি ব্যবহার করে আসামে ভারী এ সব যন্ত্রপাতি পরিবহন সম্ভব নয় বলেই তাদেরকে বাংলাদেশের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। মূলত এই সব ভারি যন্ত্রপাতি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদী ব্যবহার করে আসামে পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্র : Click This Link ২০০৯ তেই জানা কথা গলা ফাটানো হচ্ছে ২০১২ তে এসে যখন সব কাজ শেষ। লেখালেখি অনেক হয়েছিল তখন কোথায় ছিলো সবাই এটাই মাথায় ধরে না।

যাইহোক যে সীমান্ত হত্যানিয়ে কথা তা নতুন কিছু নয় জেনে রাখুন আর অত্যাচারের যে মাত্রা ভিডিওতে দেখেছেন বাস্তবতা আরও ভয়ঙ্কর যার ভিডিও হয়তো নেই কিন্তু ব্লগে খুজলে অনেক পাবেন যেমন : Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link http://www.somewhereinblog.net/blog/india/2658 Click This Link Click This Link -পাথর নিক্ষেপ করে বাংলাদেশিকে হত্যা করল বিএসএফ -বিডিআর-বিএসএফ সম্মেলন চলাকালীন সীমান্তে ২ বাংলাদেশীকে হত্যা -গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ -এবার এক শিশুসহ দুই বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। নিহত রাখাল শিশু রেকাতুল ইসলামের লাশ পাওয়া গেলেও অপর একটি লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ সদস্যরা। -বাংলাদেশিকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দিল বিএসএফ -স্বামীকে গাছে বেঁধে বাংলাদেশী এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই গৃহবধূর স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা। -প্রতি চারদিনে একজন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ।

গত ১০ বছরে স্বীকৃত হিসাব মতে এক হাজার বাংলাদেশীকে শহীদ করেছে বিএসএফ এমন আরও খবর। আপনি ভাবতে পারেন সরকার কি করে ?২০১০ এর ১০ জানুয়ারি ছিলো প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, এর আগের দিন ৯ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং বেনাপোল সীমান্তে মনিরুল ইসলাম এবং হজরত আলী নামে দুজনকে হত্যা করে। আগে যেটা দেখা যেতো শুধু গুলি করে হত্যা, এবার পিটিয়েই হত্যা করেছে গরু ব্যবসায়ীকে। ১০ জানুয়ারি প্রধান মন্ত্রী ভারত গেলেন। ১২ তারিখ তিনিতখনও ভারতে সে অবস্থায়ও দৌলতপুর সীমান্তে ১ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ১ জনকে।

১৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী সফর শেষ করে বাংলাদেশে আসেন সেদিন সাতক্ষীরা সীমান্তে ১জন নিহত হয় বিএসএফ এর হাতে। সিলেট সীমান্তে ২৬১ একর জমি ভারতকে ছেড়ে দেয়া হলো : জরিপের পর নতুন সীমানা চিহ্নিত, কৃষিকাজে বিএসএফের বাধা : মানচিত্র রক্ষায় সীমান্তবাসী সাপ্তাহিক ২০০০ এর রিপোর্টের কিছু অংশ পড়েন এটা ২০১১ এর নিউইয়র্কের হিউম্যান রাইটস ফোরামের পরিসংখ্যান অনুসারে গত এক দশকে প্রায় ৯শ বাংলাদেশিকে বিএসএফ হত্যা করে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৩১ আগস্ট ২০১০ পর্যন্ত ৯৯৮ বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৩শ ৪৫ বাংলাদেশিকে। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩শ ১২ বার হামলা চালানো হয়।

এতে ১২৪ বাংলাদেশি নিহত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত, ’৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১, ’৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩, ’৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়। জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুসারে ২০১০ সালে ৭৪ জনকে হত্যা করে বিএসএফ। এর মধ্যে ৫০ জনকে গুলিতে, ২৪ জনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। কিন্তু আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুসারে গত বছর ১শ জনকে হত্যা করা হয়।

এর মধ্যে ৬৫ জনকে গুলিতে এবং ৩৫ জনকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহনিী বিএসএফ। এর আগে বিএসএফ-এর হত্যার শিকার হয়েছে ২০০৯ সালে ৯৬, ২০০৮ সালে ৬২, ২০০৭ সালে ১২০, ২০০৬ সালে ১৪৬, ২০০৫ সালে ১০৪, ২০০৩ সালে ৪৩, ২০০২ সালে ১০৫ ও ২০০১ সালে ৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। ১৫ বছরে গুলিবিদ্ধ প্রায় ১২শ বিএসএফ-এর বন্দুকের টার্গেটে পরিণত হয়ে আজো আহত অবস্থায় বেঁচে আছে প্রায় ১২শ বাংলাদেশি। এদের কেউ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, কেউবা আবার সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে নিয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ১১ বছরে বিএসএফ-এর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে ৯২৩ জন।

এ ছাড়া ১৯৯৬ সালে ১৮, ১৯৯৭ সালে ১১, ১৯৯৮ সালে ১৯ জন, ১৯৯৯ সালে ৩৮ জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২২৫ জন গুলিবিদ্ধ ও নির্যাতনে আহত হয়। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৭১, ২০০৯ সালে ৫৪, ২০০৮ সালে ৩২ ও ২০০৭ সালে ৬৮ জন আহত হয়। নির্যাতনের দিকে ঝুঁকছে বিএসএফ সরাসরি গুলি করা কমিয়ে নির্যাতনের দিকে ঝুঁকছে বিএসএফ। এক্ষেত্রে তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বাংলাদেশি নাগরিককে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে বাংলাদেশের সীমান্তে পাঠায়। গত এক দশকে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫ নারী। তাছাড়া বিএসএফ কর্তৃক অপহরণের শিকার হয়েছে ৯৩৩ এবং নিখোঁজ হয়েছে ১৮৬ জন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুয়াডাঙ্গার এক ইউপি সদস্য জানান, বিএসএফ-এর কারণে গ্রামের অনেকে তাদের মেয়েদের অন্যত্র রেখে লেখাপড়া করাচ্ছেন। কারণ আগে বিএসএফ মদ্যপ অবস্থায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে গ্রামের বেশ কয়েকজন তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করেছে।

একই গ্রামের জাবেদা নামে এক মহিলা জানান, কারণে-অকারণে বিএসএফ লোকালয়ে ঢুকে বাংলাদেশি কৃষকদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। গত ২৫ এপ্রিল সীমান্ত থেকে শাহীন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ শিশুর অপরাধ ছিল সীমান্তে নদীতে গোসল করতে যাওয়া। ২৩ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়ি গ্রামের রবীন্দ্রনাথ ম-ল এবং তার স্ত্রী কল্যাণী রানী ম-ল ভারতের ৪ নম্বর মেইন পিলারের পাশ দিয়ে আসার সময় ঘোড়াডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের দুজনকে আটক করে। পরে তারা কল্যাণীর শ্লীলতাহানি করে এবং তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে ভোরে ৪ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ফেলে রেখে যায়।

আর স্বামীকে তারা হত্যা করে। সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দুর্গম হওয়ায় এখানেও ঘটছে অপহরণ-ধর্ষণের ঘটনা। জৈন্তাপুর এলাকার আবুল কালাম জানান, দুর্গম হওয়ায় এখানে বিএসএফ সহজেই অপকর্ম করতে পারে। গত মাসে তারা এখান থেকে প্রায় ১০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আজো তারা গ্রামে ফিরে আসেনি।

বিএসএফ আগে শুধু গুলি করে মারলেও এখন বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মারছে। কখনোবা এমনভাবে হত্যা করা হচ্ছে লাশের কোনো পরিচয়ই পাওয়া যাচ্ছে না। সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় কিছুদিন আগে কয়েকটি লাশ পাওয়া গেছে। অথচ লাশের কোনো মাথা পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন, একে তো হত্যার কোনো নিয়ম নেই তার ওপর বিকৃতভাবে হত্যা করা হচ্ছে।

যদি আইনের ভিত্তিতে বলতে হয় তাহলে বলব তারা আন্তর্জাতিক আইনে অপরাধী। সীমানায় স্থাপনা নির্মাণের আইনও মানছে না ভারত। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু ভারতের চাপের মুখে ৫০ গজের মধ্যে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণের অনুমতি দিতে হচ্ছে। শর্ত সাপেক্ষেই ১২টি পয়েন্টে বাংলাদেশের জমিতে বেড়া নির্মাণ করতে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

এখন একটা ভিডিও লিন্ক দেই, ভিডিওটির মাঝামাঝি আমার কিছু মতামত আছে। মতামতের সপক্ষে বা বিপক্ষে আপনার মতামত থাকলে জানাতে পারেন। : Click This Link জেনে রাখবেন ট্রানজিট ফি চাওয়া অসভ্যতা আর মানুষ মারা মোটেও অসভ্যতা নয় । সরকারের এমন মতামতের পরেও যে দেশের মানুষ চুপ থাকে তাদের সাথে আলোচনা করাটা রুচিকর কিনা ভেবে দেখার বিষয় কারন আমাদের জনপ্রতিনিধিরাই বলে আমরা অসভ্য আর সরকার আমাদেরকে সভ্য বানানোর জন্যে চেষ্টা করে যাচ্ছে সফলও হয়েছে কিছুটা। উদাহরন দেই : আপনি জানতে চান এর শেষ কোথায় ? শুনুন সরকারে মুখপাত্র কি বলেন দেখুন : Click This Link সীমান্তের ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটবে: আশরাফ Sat, Jan 21st, 2012 10:53 pm BdST Dial 2000 from your GP mobile for latest news ঢাকা, জানুয়ারি ২১ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সীমান্তে ‘যা হচ্ছে’ তা নিয়ে রাষ্ট্র ‘খুব বেশি চিন্তিত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার তিনি বলেছেন, “প্রতিনিয়ত ঘটনাগুলো ঘটছে। এসব অতীতে ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। ” ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘটনার ক্ষেত্রে ‘তিলকে তাল না করার’ পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “এটার সঙ্গে বহু কিছু- গরু চুরি থেকে শুরু করে মাদকচুরি অনেক কিছু এটার সঙ্গে জড়িত। এসব ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।

আগেও ঘটেছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। “এটা নিয়ে রাষ্ট্র খুব বেশি চিন্তিত নয়। রাষ্ট্র সব কর্মকাণ্ড ফেলে রেখে শুধু এ বিষয় নিয়ে দৃষ্টি নিদর্শন করছে তাও সত্য নয়,” যোগ করেন তিনি। পড়ুন : Click This Link ভিডিওতেই বলেছি, আসলেই কি দোষ ভারতীয় দের বা বিএসএফ এর ? তারা কি চীন, নেপালের মানুষদের সাথেও একই আচরন করে ? না, করে না কারণ ? তাদের পররাষ্ট্রনীতি তা একসেপ্ট করে না বা প্রতিরোধ করে। কেন করে ? কারণ তা না করলে তাদের জনগন প্রতিবাদ করে।

কেন করে ? কারণ তারা তাদের দেশকে শুধুই ভালবাসে না নিজ দেশের স্বার্থে সচেতন ও দায়িত্বশীল। তাগলে ব্যাপারটা কি দাড়ায় ?? অন্যদেশের জনগন নিজেদের নাগরিক অধিকার সংরক্ষন করার চেষ্টা করে, একান্ত না পারলে অন্ততঃ নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে। বাংলাদেশের জনগন কি ব্যতিক্রম ? জীঃ হ্যাঁ আর এ কারনেই বাংলাদেশের মানুষ সীমান্তে কেন পৃথিবীর কোথাও মরলে বা অত্যাচারিত হলেও বিচার পায় না। সম্ভাবনাও অনেক কম । কারন সমস্যাটা নিজেদেরই।

অনেক আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম ''শরীরে কাপড় নেই কিন্তু মাথা ঢাকতে ব্যাস্ত আমরা সবাই। ' কারন আত্মসন্মানের মারাত্মক অভাব আমাদের মাঝে। (ব্যক্তিগত ভাবে হলে আমি লজ্জ্বায় এই ভিডিও প্রকাশই করতাম না , যেন কেও আমাকেই নগ্ন করে পেটাচ্ছে মনে হয়। ) ভিডিওতো অনেক পরে, এই যে এসব নিয়ে লিখতে হচ্ছে এতেই আমার লজ্জ্বা হচ্ছে, যেন নিজেকেই নিজে বোঝাচ্ছি আবার উপরে থু দিলে নিজের গায়েই পড়ছে। কিন্তু সমস্যা হল আমরা নিজেরাই আমাদের সন্মান করতে শিখিনি।

রক্তে যে গোলামী মিশে আছে না হলে গণপ্রজাতন্ত্রী দেশে আবার কেউ নেতা খুজে বেড়ায় যেখানে জনগন সকল কিছুর মালিক সংবিধান অনুযায়ী। ছয়টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত থাকলেও শুধু বাংলাদেশ সীমান্তেই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারত। ২০০০ সালের পর গত একযুগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ১০০৬ নিরীহ বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে। এ সময় ভারতের সঙ্গে অন্য পাঁচটি সীমান্তে একটি হত্যার ঘটনাও ঘটেনি। বাংলাদেশের সীমান্ত শহর বা গ্রামগুলোতে গিয়েছেন কখনও ? স্মাগলারদের গ্রামে ? জানেন তাদের দারিদ্রসীমা কোথায় ? (চলবে) | একটু পেছনে ফিরে তকাই|ক্ষমতাধর যে রাষ্ট্রটি আমাদের পাশে, তার সাহায্য আমাদের ক্ষমতাবান হবার জন্য প্রয়োজন।

তারা আমাদের নৌবন্দর ব্যবহার করবে, করুক। বন্ধুত্বের হাত আমাদের অবশ্যই বাড়াতে হবে। সারাক্ষণ ‘ভারত সব নিয়ে নিল’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচির কিছু নেই। আমরা বার্মার মতো রুদ্ধ রাষ্ট্র হতে চাই না Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.