আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্যোতিষ ও হোমিপ্যাথি বিজ্ঞান নয়

মানুষের উচিত বিজ্ঞানকে তার অন্তরে গ্রহণ করা। বিজ্ঞানকে জনসাধারণের চেতনায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেটা হলেই অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ। এসব অপবিজ্ঞান দিয়ে তাদের যে নানা কৌশলে ঠকানো হয় তাও কমে যাবে। নোবেলজয়ী প্রবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানী অধ্যাপক বেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণান জ্যোতিষ চর্চা ও হোমিপ্যাথিকে বিজ্ঞান বলতে মানতে নারাজ।

চেন্নাইতে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মত ব্যক্ত করেছেন। এই আলোচনা সভায় সমাজের উন্নতি ও বিকাশের জন্য বিজ্ঞান ও যুক্তির চর্চায় হয়ে সওয়াল করে তিনি বলেন, ‘অ্যালকেমি’ এবং ‘জ্যোতিষ’ অপবিজ্ঞান। সেই সঙ্গে হোমিপ্যাথিও বিজ্ঞান নির্ভর নয়, বিশ্বাস নির্ভর। বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশ্বাসীরা অনেক সময় ‘পজেটিভ এনার্জি’ আর ‘নেগেটিভ এনার্জি’র কথা বলেন। তাদের কড়া আক্রমণ করে রাধাকষ্ণান বলেন, এসব কথার কোনো মানে নেই, বস্তুগত ভিত্তিও নেই।

বিজ্ঞানে এনার্জি বা শক্তি বলতে বিশেষ একটি বিষয়কে বোঝায়। ভুতুড়ে চিকিৎসকরা পজেটিভ আর নেগেটিভ বলতে কী বোঝান তা আদৌ স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, বিজ্ঞান হলে এমনটা হতো না। কোনো বিষয়কে বিজ্ঞান হয়ে উঠতে গেলে তাকে ঠিকঠাক পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। এই পদ্ধতি বিজ্ঞানে সব সময়ে চলে।

বিজ্ঞানীদের যে কোনো বক্তব্যকেই কষ্টিপাথরে ফেলে যাচাই করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিখ্যাত বিজ্ঞানী লিনাস পাউলিং একবার দাবি করেন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খেলে ক্যানসারকে দূরে রাখা যায়। কিন্তু তা প্রমাণিত না হওয়ায় তত্ত্বটি বর্জিত হয়। এটাই বিজ্ঞান। জ্যোতিষ বা হোমিপ্যাথির কোনোটাতেই তা হয় না।

তিনি আবেদন জানিয়ে বলেন, মানুষের উচিত বিজ্ঞানকে তার অন্তরে গ্রহণ করা। বিজ্ঞানকে জনসাধারণের চেতনায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেটা হলেই অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ মানুষ। এসব অপবিজ্ঞান দিয়ে তাদের যে নানা কৌশলে ঠকানো হয় তাও কমে যাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.