আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জ্যোতিষ শাস্ত্রী ড. শেখর রায়ের ভবিষ্যত বাণী

একুশ আমার অহংকার

আমাদের সময় থেকে কপি পেষ্ট আগামী নির্বাচন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থাসহ সার্বিক দিকে বিবেচনা করে খ্যাতিমান জ্যোতিষ শাস্ত্রী ড. শেখর রায় মূল্যায়ন করে বলেছেন, প্রতিকূলতার মধ্যে ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। বড় কোনো ধরনের বিপর্যয় না হলে শেখ হাসিনা তার জেদ বহাল রাখার জন্য ও সংবিধান রক্ষার ইতিহাস তৈরির জন্য নির্বাচন করবেন। ওই নির্বাচন করেই ১০ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন সরকারের শপথ নিবেন। ওই সরকার হলেও সরকারের স্থায়ীত্ব খুব বেশি সময়ের জন্য হবে না। ওই সরকারের মেয়াদ হবে ৬ মাস।

৬ মাস পরে বর্তমান সরকার আরো একটি নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। ওই নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হতে পারে। ২০১৪ সালেই আবার নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বাদ পড়বেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিবেন বেগম খালেদা জিয়া।

গতকাল সন্ধ্যায় তিনি এই মূল্যায়ন করেন। ড. শেখর রায় বলেন, বর্তমানে নির্বাচনের দিন ৫ জানুয়ারি ২০১৪ ধার্য রয়েছে। ওই দিনের অবস্থান বিবেচনা করে দেখা যায় বাংলাদেশের রাশি ধনুতে। রবি, বুধ, শুক্র ও প্লুটো অবস্থান করছে। সেই ক্ষেত্রে প্লটুর অবস্থানের কারণে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটবে।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশি তুলার তৃতীয় ঘর ধনু। অর্থাৎ সেখানে রবি অবস্থান করায় তার মনোবল চাঙ্গা থাকবে। কোনোভাবেই মনোবল ভাঙবে না। এই কারণে তার রাশিতে রবি ও শনি অবস্থান করায় যে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে পিছ পা হবেন না। তাছাড়া ধনু রাশির অধিপতি বৃহস্পতির দৃষ্টি রয়েছে সেই রাশিতে।

পাশাপাশি বুধ গ্রহ মঙ্গলের দৃষ্টি থাকছে ধুন রাশিতে। অর্থাৎ প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতা এবং সামরিক শক্তির সহযোগিতা ও সেই ক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। জানুয়ারিতে নির্বাচন ঝুঁিকপূর্ণ হলেও তিনি তাদের সহযোগিতা পাওযার কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি পিছ পা হবে না। সেই ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও তার রাশিতে রাহু ও শনি অবস্থান করার কারণে এবং শুক্র গৃহে ইউরেনাস থাকায় তার সার্বিক ঝুঁকি রয়েছে।

তাও পারিপার্শ্বিক সহযোগিতা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট তার ফেভারে যাবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বড় ধরনের সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, এই ভাবে নির্বাচন করার চেষ্টা হলে যদিও এখনকার সরকারের স্থায়ীত্ব বেশি দিন হবে না। তারপরও নির্বাচন যথা সমযে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বর্তমান সরকারের বেশ রদবদল হতে পারে।

অপর দিকে নির্বাচনে শেখ হাসিনার আগের মহাজোটের নেতা ও সরকারের অংশীদারী থাকা এরশাদ নির্বাচন থেকে পিছু হটার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তাতে সফল নাও হতে পারেন। তাকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন শেখ হাসিনা। এই জন্য শেখ হাসিনাকে কিছুটা কাঠ খড় পোহাতে হবে। এরশাদের অবস্থান বিচারে দেখা যাচ্ছে এই নির্বাচনে তিনি অংশ নিবেন। তিনি একা অংশ নেবেন তা নয় তার দল নিয়েই অংশ নিবেন।

দেশের জন্য তার অবস্থান পরিবর্তন ক্ষতিকর হলেও এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান ক্ষতিকর হলেও এরই মধ্যে নির্বাচনে তিনি যাবেন। যদিও এই জন্য তাকে বিশেষ কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। তাকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার জন্য নানা মহলের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সেটাও খুব বেশি কাজ হবে না। এমন পরিস্তিতি তৈরি হবে যে এরশাদ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হবেন।

এদিকে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী। তিনি তার অবস্থান ধরে রাখবেন। সরকারের সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের প্রশ্নে আপস করবেন না। তিনি পরাজিত হবেন না। জয় পেতে সময় লাগবে।

তিনি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবেন এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ এই সময়ে নির্বাচন সরকার করতে মরিয়া ভূমিকা নিবে। এটা সরকার করার জন্য যে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিবেন। নির্বাচন যথা সময়ে করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তার জেল জুলুমও হতে পারে।

তিনি কারাবরণ করলে আন্দোলনে গতি কিছুটা কমে আসবে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত দেশের সহিংসতার ঘটনা অনেক বেশি থাকলেও এটা কিছুটা কমে আসবে। এই সময়ের মধ্যে বিএনপির নেতারা আরো গ্রেপ্তার হতে পারেন। বিএনপির খালেদা জিয়া ও আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া নেতারা গ্রেপ্তার হলে এই আন্দোলনে ভাটা পরবে। এতে করে দেশে সহিংসতা কমে আসবে।

ফলে নির্বাচন করা সহজ হবে। বেগম খালেদা জিয়া সিংহ রাশির জাতিকা। এই কারণে তার অবস্থান ভালো হলেও জানুয়ারি মাসেই সাফল্য পাবেন এটা বলা যাচ্ছে না। তিনি সাফল্য পাবেন ২০১৪ সালেই। ওই সালেই তিনি আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

তবে তা জানুয়ারিতে নয়। তিনি অন্তরীন হয়ে গেলেও এক পর্যায়ে এর প্রতিবাদে দেশে দূর্বার আন্দোলন গড়ে উঠবে। তারেক রহমানও সক্রিয় হয়ে উঠবেন। ফলে বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হওয়ার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ১০ জানুয়ারি সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে।

আর এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নিবে। তবে তা দায়িত্ব নিলেও খুব ভালোভাবে সময় পার করতে পারবেন না। সরকার বিরোধী আন্দোলন চলমান থাকবে। এই আন্দোলনের ফলে দেশের অর্থনীতিতে দারুণ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিএনপি যেমন আন্দোলন গড়ে তুলবে।

সেই সঙ্গে সরকারও সক্রিয় থাকবে। তবে সরকার শেষপর্যন্ত পারবে না। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করবেন। জানুয়ারির পর সরকার নির্বাচিত হয়ে তাদের অসমাপ্ত কাজগুলো ঘোচানো ছাড়াও অনেক কাজ করবে। এবং ঘরও গুছিয়েও নিবে।

তবে তা নিলেও তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। তাদের ওপর জনগণের তরফ থেকে এমন চাপ তৈরি হবে যে দেশের অবস্থা বিবেচনা করে এবং এমন অবস্থা করবে তখন সরকার বাধ্য হবে বিএনপির দাবি মেনে নিতে। ওই সময়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনেও শেখ হাসিনা নির্বাচন দিতে বাধ্য হতে পারেন। ওই নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে থাকায় তার বিপক্ষে ভোট দিবে। এতে করে তিনি ক্ষমতা থেকে বাদ পড়বেন প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাবেন।

ওই পদে বসবেন বেগম খালেদা জিয়া। আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়লেও শেখ হাসিনা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক মহলের চাপে এখন নতি স্বীকার করবেন না। তবে ২০১৪ সালে তাকে আন্তর্জাতিক মহলে সিদ্ধান্ত উপক্ষো করার সুযোগ থাকবে না। বেগম খালেদা জিয়া এই সময়টা অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে সময় কাটালেও সংগ্রামী ও সাহসী পদক্ষেপ নিবেন। এই কারণে চেষ্টা করবেন সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য।

সেটা তিনি ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতেই সফল হবেন। তার অবস্থান বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে তার ওপর সরকারের তরফ থেকে জেল জুলুম হতে পারে। এটা করে সরকার তাদের লক্ষ পূরণ করবেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের তরফ থেকে তাকে পেরেসোনি করা হবে। চাপও দেওয়া হবে।

মামলা করেও হয়রানি করা হতে পারে। এগুলো করা হলেও তিনি তার অবস্থান ধরে রাখতে পারবেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গেলেও জনপ্রিয়তার দিক থেকে তিনি এগিয়ে থাকবেন। এই কারণে সুবিধা পাবেন। আপাতত তাকে সরকারের কাছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করার ব্যর্থতা মেনে নিতে হলেও তিনি সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

তার লাভ হবে। কারণ তিনি কোনো হয়রানির জন্যই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াবেন না। অবস্থান ধরে রাখার কারণে লাভ হবে। এক পর্যায়ে সফলতা পাবেন। এদিকে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের অবস্থান বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে যে তিনি খুব বেশি কঠোর হতে পারবেন না।

সরবও থাকতে পারবেন না। সরকারের কথাই তাকে শুনতে হবে। তিনি চাইলেও শেখ হাসিনার কথার বাইরে যেতে পারবেন না। বিরোধী দলের জন্য কিছুই করবেন না। এখনও সব অবস্থা বিচার করলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হবে না।

কারণ প্রভাবশালী মহল জরুরি অবস্থা জারি করতে দিবে না। সেটা দিলে পরিস্থিতি শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই হাসিনা এই ধরনের কোনো ঝুঁিক নিবেন না। রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারির মতো সিদ্ধান্ত নিতে চাইতে পারে। তবে সেটা ঠিক হবে না।

এখন জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী না নামানোই ঠিক হবে। বরং সামরিক বাহিনীর প্রভাবশালীরা শেখ হাসিনাকে সহায়তা করবে। সেই সহযোগিতা নিয়েই তার এগিয়ে যেতে হবে। প্রভাবশালীরা তার পক্ষে থাকার কারণে সুবিধা বেশি। নির্বাচনে সহায়তা করার কারণে সুবিধা পাবেন।

তিনি নিজেও বুঝে গেছেন যদি এখন নির্বাচন না করেন, সংবিধান পরিবর্তন করেন তাহলে তার পরাজয় হতে পারে। এই পরাজয় বিবেচনা করেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। এতে একদিকে তার তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও হবে আবার সংবিধানও সমুন্নত রাখার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটাও করতে পারবেন। দেশের এখনকার সার্বিক অবস্থা বিচারে দেখা যাচ্ছে যে, আগামী কয়েকদিন সহিংসতার ঘটনা আরো বাড়বে। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই সেটা স্তিমিত হয়ে আসবে।

সূত্র : আমাদের সময়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.