আমি আমার দেখা সবচেয়ে অলস মানুষ! আগের পর্বের লিঙ্কভারত ডায়েরী
প্রচন্ড ক্লান্ত ছিলাম। ফলে এদিন ঘুম থেকে উঠতে উঠতে সকাল ১১:০০টা। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নামলাম কোলকাতা দেখতে। প্রথমে গেলাম নিউমার্কেটে কারণ এটি বাসার কাছেই। হাতে সময় খুব কম।
মাত্র ১ দিন।
নিউমার্কেটের অবস্থা অনেকটা আমাদের নিউমার্কেটের মতোই। দাম চাইবে উল্টাপাল্টা। যত বেশী মুলোমুলি করতে পারবেন তত দাম কমাতে পারবেন। তবে অনেকগুলো ব্র্যান্ডেড দোকান দেখতে পেলাম।
যা দেখে বুঝলাম হাই ব্র্যান্ডেড জিনিস পাওয়া যায় কিন্তু হাই ব্র্যান্ডেড বলতে তারা বুঝে একবারেই হাই। যা কিনা মধ্যবিত্তের ধরাছোয়ার বাইরে। এরই মাঝে ল্যান্ড রোভার আর জাগুয়ারের শো-রুম দেখতে পেলাম।
তবে তাদের বেশীরভাগ গাড়ীই অ্যাম্বাসেডর, টাটা, হুন্দাই আর মারুতি সুজুকি। যা দেখে তাদের নিজস্ব প্রীতিটা বেশ চোখে পড়ল।
সারাটা দিন পুরো নিউমার্কেটের একটা পাশ দেখে ফেললাম। সবচেয়ে মজা লাগল পানি পুরী নামক খাবারটা। একবারে অনেকগুলো খেয়ে ফেললাম। আর আপনাদের জন্য ছবি তুলে ফেললাম কয়েকটা।
ভারতে বেশীর ভাগ স্ট্রীট ফুড খেয়েই আপনি পকেটের সব টাকা শেষ করতে পারবেন।
এত পদের খাবার আর এমন সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখে যে জিভ সামলানো দায়। আর তারা খাবারগুলো পরিবেশন করে পাতার প্লেটে। পরিবেশের প্রতি তারা অনেক বেশী সচেতনই বলে মনে হলো।
কোলকাতা শহরে ট্রাম লাইন ভর্তি। গাড়ীর সাথে পাল্লা দিয়ে তা চলে।
কোলকাতা শহরের নিউমার্কেট এলাকায় খাবারের দাম মনে হলো অনেকটাই সস্তা। গরুর মাংস মনে হলো অনেকটাই সস্তা। এক বাটি মাংস ২০ রুপি। তাও এক বাটিতে মাংস থাকে প্রায় ৫-৬ পিস। মোটামুটি বড়ই পিস গুলো।
সন্ধ্যার দিকে চললাম হাওড়া স্টেশনের দিকে। লক্ষ্য কালকা মেইল। গন্তব্য কালকা।
এই ট্রেনে করেই রওনা হলাম কালকার উদ্দেশ্যে। (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।