Shams আদরের বিড়াল, তাই অনেক খুঁজে পেতে ‘বাঘা’ নামটাই পছন্দ হল বেড়ালের মালিকের। একজন শুনে বলল, ‘ধুর, বাঘের চেয়ে তো ড্রাগন অনেক শক্তিশালী, বেড়ালের নাম ড্রাগনই রেখে দাও। ’ কথামতো তাই হল। আরেকজন শুনে বলল, ‘ড্রাগন যে আকাশে ভাসে, তার জন্য বাতাস প্রয়োজন, এটা জানো তো? কত ক্ষমতা তার! বেড়ালের নাম বাতাসই রাখো। ’ তথাস্তু, তা-ই হল।
দিন না ঘুরতেই আরেকজন মন্তব্য করল, ‘একমাত্র বড় প্রাচীরই পারে বাতাসকে আটকাতে, বোঝো কত তার হিম্মত! বেড়ালের নাম প্রাচীর হোক। ’ ফের নাম বদল। সেটাও টিকল না, যখন আরেকজন বলল, ‘প্রাচীর ফুটো করতে পারে কে, সেটা জানো তো?’ ভদ্রলোক বলল, ‘না, জানি না। ’ ‘দেয়াল ফুটো করার ক্ষমতা একমাত্র ইঁদুরেরই আছে, চিন্তা করো কত শক্তি তার! তোমার বেড়ালের নাম ইঁদুর রেখে দাও, বেশ মানাবে!’
এই হল মানুষের কথা যার জন্য বিড়ালের ইঁদুর হয়ে যায়। শুধু সাধারণ মানুষের কথায় নয় বিশেষজ্ঞের কথা তেও অনেক কিছু হয়।
যেমন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গেলো তার পা নীল হয়ে গেছে তাই ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বলে, “পায়ে বিষের সংক্রমণ হয়েছে,পা কেটে ফেলতে হবে!!”
অপারেশন করা হল । কয়েক দিন পর রোগীর আরেক পার নীল হয়ে গেলো!!
ডাক্তার এবারো বলল- “এই পায়েও বিষের সংক্রমণ ঘটেছে, সুতরাং কাটতে হবে!!”
এরপর প্লাস্টিকের পা লাগানোর পর ও দেখা গেল, তা নীল হয়ে গেছে!!
ডাক্তার- "হুমম, এখন আপনার রোগ বুঝতে পারলাম, আপনার জিন্সের প্যান্টে রঙ উঠে!!
এটা তো গেলো এক অবস্থা। আরো কত অবস্থায় পড়তে হয়, কোন অবস্থায় অনেক কিছু বলতে হয়। শুরু বলতেই হয় না প্রমাণ করে দিতে হয়।
রাশিয়ার ক্যাপ্টেন সৈনিকদের ক্লাস নিচ্ছিলেন, একজন সৈনিক দাঁড়িয়ে বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?
ক্যাপ্টেন বললেন, না, কুমির উড়তে পারেনা।
ক্যাপ্টেন ক্লাসের পড়ানোয় মন দিলেন। সৈনিকটি দাঁড়িয়েই রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?
ক্যাপ্টেন একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, যাদের বুদ্ধি হাঁটুতে তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।
যথারীতি ক্যাপ্টেন পড়াচ্ছেন আর...
ক্যাপ্টেন সৈনিকদের ক্লাস নিচ্ছিলেন, একজন সৈনিক দাঁড়িয়ে বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?
ক্যাপ্টেন বললেন, না, কুমির উড়তে পারেনা।
ক্যাপ্টেন ক্লাসের পড়ানোয় মন দিলেন। সৈনিকটি দাঁড়িয়েই রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?
ক্যাপ্টেন একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, যাদের বুদ্ধি হাঁটুতে তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।
যথারীতি ক্যাপ্টেন পড়াচ্ছেন আর সৈনিক দাঁড়িয়েই আছে। আবার একটু পর সৈনিক বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?
ক্যাপ্টেন এবার রেগে গিয়ে বললেন, যাদের মাথায় গোবর ভরা তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।
এবার সৈনিকটি বললো, কিন্তু স্যার, জেনারেল স্যার যে বলছিলেন, কুমির উড়তে পারে!
ক্যাপ্টেন এবার কয়েক মূহুর্ত ভেবে বললেন, ও জেনারেল স্যার বলেছেন নাকি? তাহলে কুমির উড়তে পারে তবে খুব নিচ দিয়ে!
কথায় কথা বাড়ায়, তাতে বেড়ে যায় সমস্যা। আবার একে বারে কথা না বলাও একটা সমস্যা। এজন্য হয় সংলাপ, আসে সমাধান, হয়ে যায় সন্ধিও। এটা নিয়ে একটা গল্প বলি:
এক দম্পতির ফুটফুটে এক মেয়ে হয়েছে। তাঁদের পুরনো এসেছে বাচ্চাটিকে দেখতে।
দেখেই সে বন্ধুকে প্রস্তাব দিয়ে বসল, ‘আমার ছেলেটার বয়স তো মোটে এক বছর, মানে তোমার মেয়ের দ্বিগুণ। চলো, বাচ্চা দুটি বড় হলে ওদের বিয়ে দিয়ে দিই আমরা, কী বলো তুমি?’ প্রস্তাব শুনে গেল তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে শলাপরামর্শ করতে, ‘বুঝলে গিন্নি, প্রস্তাব তো শুনলে। আমাদের মেয়ের চেয়ে দ্বিগুণ বয়স ওর ছেলের, মানে বিয়ের সময় আমাদের মেয়ের বয়স যখন ২০ বছর হবে, ওর ছেলের বয়স হবে ৪০! ও রকম একটা হাড়-হাভাতে বুড়োর সঙ্গে কেমন করে নিজের মেয়ের বিয়ে দেব, বলো তো?’ বউ সব শুনে হেসেই খুন, ‘আরে বোকা, আগামী বছরেই না আমাদের মেয়ের বয়স এক বছর হতে যাচ্ছে! মানে তোমার বন্ধুর ছেলের সমান। তখন তো কোনো বাধাই থাকবে না ওর সঙ্গে বিয়ে দিতে!’
দেখলেন, কত সুন্দর ভাবে কথা বলার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে পৌঁছানো গেলো! তাই কথার কোন বিকল্প নাই। সাথে সাথে এটাও মনে রাখতে হবে কেও কোন কথা বললে সেটা শুধু শুনলেই হবে না সেটা পালন করাও কর্তব্য।
কথা রাখা নিয়ে একটা গল্প বলি;
মৃত্যুর আগে এক ব্যক্তি তার ডাক্তার, পাদ্রী আর আইনজীবীকে বললো, আমার বালিশের নিচে ৯০,০০০ ডলার আছে। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর তোমরা প্রত্যেকে ৩০,০০০ ডলার করে কবরে রেখে দিবে। বলেই লোকটি মারা গেলো।
যথারীতি কবর দেয়ার পর পাদ্রী বাকি দু'জনকে বললো, গির্জার প্রয়োজনে আমার ১০,০০০ ডলার প্রয়োজন ছিল। তাই আমি কবরে ২০,০০০ ডলার রেখেছি।
ডাক্তার বললো, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ আমার ২০,০০০ ডলার দরকার ছিল। তাই আমি কবরে ১০,০০০ ডলার রেখেছি।
আইনজীবী তাদের কথাবার্তা শুনে অবাক। বললো, তোমরা একটা মৃত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখলে? আমি তো আমার দায়িত্ব পালন করেছি। পুরো ৩০,০০০ ডলারের চেক কবরে রেখে দিয়েছি।
এক পয়সাও ঠকায়নি।
অনেক হয়েছে কথা বাড়ান এবার একটা জোকস বলি:
শিক্ষক : আচ্ছা, তুমি বলো তো, পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাচীন পশুর নাম কী?
রোকন : স্যার, জেব্রা।
শিক্ষক : বলো কী! তা জেব্রাকে কেন তোমার প্রাচীন পশু মনে হল?
রোকন : স্যার, প্রাচীনকালে সবকিছুই তো সাদা-কালো ছিল। যেমন টিভি, মোবাইল ফোন। এখন সেই সাদা-কালোর বদলে হয়েছে রঙিন।
কিন্তু জেব্রা তো এখনো সেই সাদা-কালোই রয়ে গেছে। তাহলে তো জেব্রা প্রাচীনকালেরই পশু হওয়ার কথা, স্যার!
অনেক তো কথা হলে। কথার সাথে তো বার্তা থাকে তাই এবার একটা বার্তার কথা বলি। বার্তা মানে, ক্ষুদে বার্তা বা ক্ষুবা কিংবা সর্বাধিক পরিচিত এসএমএস। তাতে লেখা-“চিড়িয়াখানায় বানর সারা দিন জোকস বলে আর গণ্ডার সারা রাত হাসে।
পাশের খাঁচার চিতা বাঘ অভিযোগ করল, এতে রাতে তার ঘুমের দারুণ অসুবিধা হচ্ছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।