আমি শুনতে পাই লক্ষ কোটি ফিলিস্তিনীর আর্তনাদ...হাহাকার
একটা পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। কেউ যেতে পারবে, পারবে না, গেলে কিভাবে যাওয়া হবে, কোন রাস্তা দিয়ে গেলে ভাল হয়, কেমন আয়োজন চলছে ইত্যাদি মন্তব্য করা হচ্ছে, বেশ একটা উৎসব উৎসব ভাব। এমন সময় হঠাৎ করেই একটা পোস্টের মাধ্যমে শুরু হল সিন্ডিকেট ক্যাচাল। যদিও ওই পোস্টে সিন্ডিকেট ব্লগিং নিয়ে কথা বলা হয়েছে, কিন্তু সেটার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল পিকনিক কে ঘিরে, কেন এই পিকনিক হুট করে করা হল, কেন কমিটি করা হল না, আবার যিনি পিকনিক আয়োজন করেছেন উনাকে আবার সিন্ডিকেটের দলপতি বানিয়ে আকথা কুকথা বললা হল এইসব হ্যানত্যান!!!
আবার পিকনিকে যাচ্ছেন এমন আরেকজন ব্লগারের ব্যাক্তিগত আলাপের সূত্র ধরে আরেক নাটক হয়ে গেল। একটা সামান্য পিকনিক হবে, এইটা নিয়া বিশাল ক্যাচাল হইয়া গেল।
আমার কথা হল, আরে ভাই আপনার যদি নিজে পিকনিক আয়োজন করার ইচ্ছা থাকে আপনি একটা কেন, দশটা পিকনিক করেন। ভাওয়াল ন্যাশেনাল পার্কে না কইরা “বুর্জ আল আরবে” করেন কেউ তো মানা করে নাই, তাই বলে অসুস্থের মত কেন কাদা ছোঁড়াছুড়ি করবেন। মনে হয় সিন্ডিকেট ব্লগিং হচ্ছে একটা জাতীয় সমস্যা, এটার জন্য বাংলাদেশের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে!! কারও তো দুই টাকা লাভ বা ক্ষতি হবেনা।
আমরা কিছু আমব্লগার মিলে পিকনিকে যাব, ছবি তুলব, খাবদাব, আড্ডা মারব, সেই সব ছবি দিয়ে ব্লগে পোস্ট দেয়া হবে এতে সমস্যা কি? কেউ পিকনিক নিয়ে পোস্ট দিয়ে হিট খাবে, তো সমস্যা কি?কারও পছন্দ না হলে সে যাবে না, তাই বইলা এইটা নিয়ে ক্যাচাল করার কি আসে, সবখানে পলিটিক্স না আনলে চলে না, এত ত্যানা প্যাঁচাইয়া কার কি উপকার হয়?
ব্লগ হচ্ছে আমাদের যেকোন ধরনের ভাবনার রূচিশীল সতস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। এখন ব্লগ শুধু সাহিত্য চর্চার জন্য সীমাবদ্ধ নয়, যে কেউ যেকোন তার ভাবনা রূচিশীল ভাবে প্রকাশ করতে পারে, যে কেউ সেটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে পারে।
কারও লেখা যদি আমার পছন্দ হয়, সেখানে আমি যত ইচ্ছা কমেন্ট করব, সেটা অন্যের কাছে যতই অখাদ্য হোক না কেন? তাই বলে কুরূচিপূর্নভাবে ব্যাক্তিগত আক্রমন করা এটা কেমন মানষিকতা?!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।