(ক) জনগণ সঠিক রায় প্রদানের ক্ষমতা রাখেনা, তাই সাধারণ ভোটিং সিস্টেমকে অনেক আলেম হারাম পদ্ধতি বলে ঘোষণা করেছেন । জনগণ সঠিক রায় প্রদানে অক্ষম । এই কথার অর্থ সামষ্টিক জনগণ । সকল জনগণ সঠিক হিসাব জানেন না , ভাল-মন্দ বুঝতে পারার ক্ষমতা সবার নেই । একজন জ্ঞানী ও একজন স্বল্প জ্ঞানী অথবা অজ্ঞান ব্যক্তির মতামত একই হতে পারেনা ।
গণতন্ত্রে ভোটের পদ্ধতিতে সব সময় শুধু ভাল মানুষই নির্বাচিত হন না, খারাপ মানুষও নির্বাচিত হন । একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ভাল দিক মন্দদিক চুলচেরা বিশ্লেশন করে যে রায় প্রদান করবেন, ঠিক একজন নির্বোধ তা না করে উল্টো রায় দেবে ্ ফলে বিশির ভাগ নির্বোধের রায় জ্ঞানী ও বিবেকবান ব্যক্তির রায়কে তুচ্ছতে পরিনত করে ্ একজন জ্ঞানী এবং একজন মূর্খের রায় এক মূল্যের হতে পারেনা । তাইত কোরানে আল্লাহ তা'লা বলেছেন :
"যাদের জ্ঞান আছে এবং যাদের জ্ঞান নেই , উভয়ে কি সমান হতে পারে ?" সূরা- আজ-জুম্মার- ৯ ।
"আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানত সমূহ তার যোগ্য ব্যক্তির কাছে ফেরত দেবার জন্য"- নিসা--৫৮ ।
তাহলে গণতন্ত্রের সাধারণ জনগণের সামষ্টিক ভাবে ভোটিং সিস্টেম, ভোট প্রদানে সবার ক্ষমতা কি শরীয়াহ মোতাবেক জায়েজ হল ??? গণতন্ত্রে জ্ঞাণী ও বির্বোধের ভোটের মূল্য সমান, ভোট যে আমানাত , তা তো সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিকে ফেরত দেয়া গেল না !!!
সেই কারণে গণতন্ত্রে জ্ঞাণীদের সঠিক রায় হেরে যায় সংখ্যাধিক্য নির্বোধের কাছে ।
সেই জন্য নির্বাচন পদ্ধতিতে বেশিরভাগ সময় সঠিক মূল্য প্রতিফলিত হয়না।
কিন্তু খিলাফাতে এ ধরনের নির্বোধদের ভোটাধিকারের অধিকার নেই । খলিফা নির্বাচনে একটি শূরা কোমিটি থাকে, যারা জ্ঞান-গরিমা শিক্ষা-দিক্ষা ও পরহেজগারিতা-সততায় শ্রেষ্ট তারাই ঐ কোমিটির সদস্য । তারাই নির্ধারণ করবেন কে হবেন ইসলামের খলিফা । আর সেটাও হবে তাদের মধ্যে পরস্পর পরামর্শের ভিত্ত্বিতে ।
তাইতো আমাদের প্রিয় নাবী হযরত মহাম্মদ (সা কোন সিদ্ধান্ত নিতেহলে সকল সাহবীদের সাথে পরামর্শ বা আলোচনা করতেন না । তিনি কোন ময়দানে সবাইকে সিন্ধান্ত প্রদানে সরীক করতেন না , অথবা সিদ্ধান্ত দিতে কোন গণভোট দিতেন না । কারণ কোরানের সেই আয়াতের বাধ্যবাধকতার প্রেক্ষিতে , আর সবাই সঠিক সিদ্ধান্ত প্রদানের ক্ষমতা রাখেন না । ! তাই হযরত মহাম্মদ (সা কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে তার জ্ঞানীগুণী ঘনিষ্ট সাহবীদের নিয়ে আলাপ-পরামর্শের ভিত্ত্বিতে করতেন । এতে সঠিক রায় পাওয়াযেত ।
তাইতো কোরানে আল্লাহ তা'লা বলেছেন "যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের মতামতের কথামত চলো তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে গাফেল করবে !" - সূরা আন-আম: ১১৬ আয়াত
>> হরতাল অবরোধ গণতান্ত্রিক অধিকার: গণতন্ত্রে হরতাল অবরোধ ধর্মঘট হচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার , কিন্তু ইসলাম বলে কোন মানুষের চলাচলে বাঁধা প্রদান করা ইসলামে শরিয়াত সম্মত নয় । মানুষের চলাচল ও মালামাল হস্তান্তর পরিবহণে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা ইসলামের কাজ নয় । জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকাই ইসলামের শিক্ষা , আর যারা হরতালের মাধ্যমে মানুষকে জিম্মি করে তারা মক্কার সেই ক্বাফিরদের অনুসরণ করে 'যে সব কাফিরগন মক্কার মুসলিমদের একটি পাহাড়ে আবদ্ধ করে রেখেছিল দীর্ঘদিন, রাসূল (সা সহ মুসলিম সমাজ সে সময় দারুণ কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত করেছিলেন' , । সুতুরাং হরতাল আবরোধ ধর্মঘট করা কাফিরদের আনুসরণ করার সামিল ।
...................।
( অসমাপ্ত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।