আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি ভাইরে তোর অবস্হা ঠিক তেমনি। তুই বাদাম ছিলে দিস ওরা খেয়েদেয়ে আর ফুরুৎ করে উড়াল। আর কত বাদাম খাওয়াবি? লোকে আর কত তোর মাথায় কাঠাঁল ভেংগে খাবে? তোকে বললাম একটা লিস্টু করতে। যারা তোর সাথে ফস্টু-নস্টু করেছে আর তোর বিয়ের উপর গিট্টু মেরে দিয়েছে। এসপার-ওসপার হয়ে যাবে।
হয় আমরা মাপ চাইবো নয় মাপ করে দিবো। তারপরেও ২০১২ সালের ভিতরে সমাধান হতে হবে। তোকে কত মানা করলুম "ওরে গায়ে হলুদের ডালা থেকে খাবার চুরি করিস না। " এখন বুঝ ঠ্যালা - যাহার নাম বাবাজী। তোর বিয়ের লগ্নভ্রষ্ট হওয়ার অবস্হা।
তুই আমার কথা কখনো শুনেছিস? অথচ, তোর চিন্তায় চিন্তায় আমার ওজন বেড়েই যাচ্ছে। তুই তো সোজা কথা বলবি না, বলবি আমার বউ আছে বলে মজার মজার রান্না করে খাইয়ে-দাইয়ে আমাকে মোটা-তাজা করছে। অথচ, আসল কথা হলো আমি তোর চিন্তায় ডিপ্রেশনে ভুগে ভুগে বেশী খেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলছি।
এখন দেশে থাকলে তোকে নিয়ে পাহাড় চূড়ায় যেতাম আর সমস্ত দূঃখ পাহাড়েই বিসর্জন দিয়ে আসতাম। পাহাড় চূড়ার কথা অনেক মনে পড়ছে রে।
আমাদের হতাশ সময়গুলোতে জায়গাটা বেশ কাজে লেগেছিলো। আমার মনে হয় এর পিছনে একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। ওইখানকার তাজা হাওয়া আমাদেরকে আরো তরতাজা করে দিতো। যা পরের কিছুদিন কাজে আসতো। তবে তোর সিকো ফাইভ ঘড়ি কিংবা গলার সোনার চেইন আমাদের মধ্যে বিয়াফক সেনসশান ছিলো।
সেই দুপুরগুলোর কথা মনে আছে তোর? টাকার অভাবে আমরা রুটি আর কলা দিয়ে লান্চ করতাম। অথচ তুই টিউশনির আর আমি মাসিক হাতখরচের টাকা পেলে আমাদের নবাবগিরি দেখে কে? টেম্পু দেখলে নাক সিঁটকে রিক্সায় উঠতাম। যদিও মাসের বেশীরভাগ সময় এই টেম্পু-ই ছিলো আমাদের আশা ভরসা। যেনো টেম্পু আর আমাদের প্রেম জনম জনমের। তবে তোর রিক্সা ঠিক করা ছিলো দেখার সেইরাম একটা জিনিস।
দরাদরি-কষাকষি উরে বাপ তুই পারতিও বটে। প্রচন্ড গরমে গনগনে দুপুরবেলায় বহু সাধনায় একটা দুইটা রিক্সা যাও পেতাম তোর দরাদরির চোটে তারাও ভাগতো। ক্লান্ত হয়ে আমি মাটিতে শুয়ে যাওয়ার অবস্হা হলেও তুই রিক্সাওয়ালার সাথে ঝগড়া করে ক্লান্ত হওয়ার লক্ষন থাকতো না।
মাঝে মাঝে সেই দিনগুলির কথা মনে পড়লে মনের অজান্তে তোকে হালার স্টুপিড বলে একটা গালি দিয়ে উঠি। এই কথা জেনে মাইন্ড খাওয়ার কিচ্ছু নেই।
কারণ, ইয়ে মোহাব্বত কা মামলা হ্যায়। তবে তোর লিস্টুর প্রথম দিকে কিন্তু লেছাড়া'র নামটা রাখিস। সুন্দরী একটা মেয়ে কি দরকার ছিলো দেওয়ালে 'লেছাড়া' নাম লিখে চিকা মারার। যদিও চিকা মারা থেকে শুরু করে, লেখার জন্য রং চুরি করা আর প্লাসটিকের পাইপের মুখে কাপড় লাগিয়ে ব্রাশ বানানোর আইডিয়া আমার ছিলো তারপরও সুন্দর লেখার ফিনিশিং টাচের জন্য হয়ত অভিশাপটা তোর উপরেই পড়েছে। কে জানে সুকান্ত স্যারের বাসা'র সেই দেওয়ালে এখনও লেখাটা আছে কিনা? আর ফটো সুন্দরী প্রতিযোগীতায় সুন্দরী মনোনীত হওয়া লেছাড়া'র এখন কি অবস্হা?
তবে বন্ধু একটা কথা বলে রাখি, মারবো এইখানে লাশ পড়বে সবখানে।
দিন বদলাইসে না! এখন কি আর সেই দিন আছে? তোর'ও আর একটু বদলাইতে হবে। নইলে তুমি বাদাম ছিলিয়া যাইবা আর লোকে তাহা গিলিয়া তোমারে গদাম দিয়া চলিয়া যাইবে। এখন থেইক্যা পাবলিকে বাদাম ছিলিবে আর তুমি মনের সুখে গিলিবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।