নিঃসঙ্গ একজন
নিঃসঙ্গ একাকী একটি ছেলে। একাকী নিরবে এক বুক কষ্ট নিয়ে বেচে আছে। কেউ বুঝে না, জানে না, জানতেও চায় না তাকে। হয়না কাউকে বলা তার মনের না বলা কথাগুলো। হাত ধরে কেউ কোনদিন শুনতে চায়নি তার মনের কথাগুলো।
কেউ মুছে দেয়নি তার চোখের পানি। কেউ জড়িয়ে ধরে বলেনি, ভয় নেই আমি পাশে আছি।
অদ্ভুত সে ছেলেটি কখনো কাউকে বুজতে দেয় না তার দুঃখগুলিকে। সবার সাথে হাসি খুশি আনন্দ করে বেড়ায়। সবাইকে সুখী দেখতে চায়।
সে চায়না যে দুঃখ নিয়ে সে বেঁচে আছে সে দুঃখ নিয়ে কেউ থাকুক। যখনি কাউকে দুঃখ পেতে দেখেছে তখনি তার কাছে ছুটে গিয়েছে তার দুঃখ দূর করার আশায়। চেষ্টা একটাই, সবার মুখে হাসি থাকুক। সত্যিকারের হাসি, যে হাসি মন থেকে আসে, সুখ থেকে আসে।
তার দুখের রাজ্যে সে একাই রাজা।
একা একা দুঃখগুলিকে সাজায় নানা রকম করে। হাজার রকমের দুঃখ আছে তার রাজ্যে। কষ্টগুলোকে আপন করে নেয় সে। কারন এই কষ্টগুলোর মাঝেই যে তার বেঁচে থাকা। এই কষ্টরাই শুধু জানে তার মনের চাওয়া -পাওয়া, না বলা কথাগুলি।
ছেলেটি অনেক ভালবাসে বৃষ্টি। বৃষ্টি এলেই বৃষ্টির মধ্যে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদে। কেউ দেখে না তার কান্না, দেখলেও বুজতে পারে না। সে যখন বৃষ্টির মাজে কাঁদে, তার মনে হয় সারা আকাশ তার যেন সাথে কাঁদছে, যেন তার সব দুঃখগুলি মুছে দিতে চাইছে আকাশ। ছেলেটির মন যখন অনেক বেশি খারাপ থাকে, কোথা থেকে যেন বৃষ্টি চলে আসে।
ছেলেটির কষ্টগুলো খানিকটা কমিয়ে দেয়ার জন্য। বৃষ্টি শুরু হবার সাথে সাথে ছেলেটির চোখে পানি চলে আসে, আস্তে আস্তে কান্না শেষ হয়ে হাসি চলে আসে মুখে। আকাশও মুচকি হাসি দিয়ে শেষ করে তার বারিধারা।
রাতের বেলা সবাই যখন ঘুমায়, ছেলেটি তখন বারান্দায় বসে ফিসফিস করে তার গীটারের সাথে কথা বলে। টুং টাং করে তার সাথে কথা বলে তার প্রিয় গীটার।
ছেলেটির মনের সব কষ্টগুলি সুর হয়ে বেজে উঠে গীটারের ছয় তারে। রাতের আধারে গীটারের মূর্ছনায় ধীরে ধীরে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দেয় বিছানায় আরেকটি দুঃখ মাখা দিনের অপেক্ষায়।
কেউ যদি তাকে ভুল বুজে সে খুব কষ্ট পায়, খুব বেশি দুঃখ পায় যখন প্রিয় কিছু মানুষ তাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু কিছু বলে না তাদের, এমনকি কখনো বুজতেও দেয় না যে সে তার কাছ থেকে কষ্ট পেয়েছে। ছেলেটি সব সময় চায় তার প্রিয় মানুষগুলো ভাল থাক সুখে থাক।
তাদের সব স্বপ্ন, সব ইচ্ছে গুলো পূরণ হোক। আর এর জন্নে ছেলেটি সব সময় তার সাধ্য মত কাজ করে যায়। তারপরও...। মাজে মাজে সে বুজতে পারে যে তাকে অনেকেই ব্যাবহার করছে নিজের স্বার্থের জন্য। ছেলেটি মনে মনে হাসে।
তাও তার দিন কেটে যায় আশা নিয়ে, হয়ত কেউ একজন কোনদিন আসবে যে তাকে আপন করে নিবে, তাকে বুজবে, সত্যি সত্যি ভালবাসবে। তার সত্যিকারের বন্ধু হবে। যে তাকে কোনদিনও মন খারাপ হতে দিবে না, একফোঁটা চোখের পানি ফেলতে দিবে না। যার চোখে তাকালে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। যাকে জড়িয়ে ধরে মনের সব কথা বলা যাবে।
যদিও ছেলেটি জানে না তার এই প্রতীক্ষার প্রহর গোণা কবে শেষ হবে কিংবা আদৌ শেষ হবে কিনা। সত্যি কি হবে??? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।