"আমারে ফিরায়ে লহো অয়ি বসুন্ধরে, কোলের সন্তানে তব কোলের ভিতরে"-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে আমাদের বাড়ি থেকে ট্রলারে করে যাওয়া হতো দরগায়। সেখানে ফজু শাহ নামের এক নেক লোকের কবর। সেখানে মানত করলে নাকি সেই মানত পূর্ণ হয়। আমরা বেশ আনন্দ করে সেই দরগায় যেতাম, সেখানে বাবুর্চি নিয়ে যাওয়া হতো খিচুড়ি রান্নার জন্য। আমরা সেই কবরের পাশে মোমবাতি কি ধরাইতাম আর প্রার্থনা করতাম আমাদের বিদ্যা বুদ্ধি যেন আরও বেরে যায়।
কিছু মসৃণ বাঁশের লাঠি ঝুলানো ছিল, সেগুলো ছিল তেল চিটচিটে। সেখানে সরিষার তেল মেখে সেই তেল আমাদের চুলে মুখে মেখে দিতেন আমার দাদী আর আম্মু। অনেক গ্রাম বা বাড়ি থেকে লোক আসতো সেই ফজু শাহের দরগায়। হাদিসের বইতে পড়তাম এক আল্লাহ ছারা কোন উপাস্য নেই, নবী করিম (সঃ) তার প্রেরিত দিকপ্রদর্শক। তার পড়ে আর কোন নবী রসূল আসবে না।
কিন্তু তাহলে সবাই কেন এই দরবারে এসে অদ্ভুত সব কান্ড করে? এই প্রশ্নটির উত্তর তখন জানতাম না। এখন বুঝি মানুষ যখন ডুবতে বসে তখন খরকুটা আশ্রয় করে বাঁচতে চায়। কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষগুলো তার ব্যাতিক্রম নয়। পাপমোচনের জন্যে ভায়া হিসেবে এই দরগা ইউজ করছে।
ছোট বেলায় যখন ছইওয়ালা নৌকায় করে মেঝচাচার শ্বশুর বাড়িতে যেতাম সেকি আয়োজন।
হরেকরকম পিঠা, ডাবগাছের ডাব, মুরগি , খাসি , গরু আরও কত রকমের আয়োজন। চাচার শ্বশুর বাড়িতে বছরে তিন থেকে চার বার যাওয়া হতো। আমার চাচির ফুফাত নাকি চাচাত বোনের এক মেয়ের নাম ছিল ইতি। সেই ইতির সাথে আমার অনিচ্ছা স্বত্বেও আমার বিবাহ ঠিক করলেন আমার চাচা চাচি আর সেই নিয়ে সারাবছর আমাকে উত্তক্ত্য করা হতো। আমি আবার আমার বয়সী মেয়েলের পছন্দ করতাম না।
সবসময় ভালো লাগতো বয়সে বড় আপুদের। কত আদর করে তারা। আপুদের কাউকে বিয়ে করলে নিশ্চয়ই আদর আর বেড়ে যাবে বলে ধারনা ছিল আমার।
যাইহোক, আমার হবু বউ ইতি ছিল আমার দুই চোক্ষের বিষ। এই মেয়ে যতই কাছে আসার চেষ্টা করতো আমি তত বিকর্ষণের সুত্র এপ্লাই করতাম।
এতদিনে নিশ্চয়ই সেই মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। আর আমার এত জায়গায় বিবাহ ঠিক করা ছিল যে আমি নিজেই তার হিসেব জানতাম না। আম্মু পছন্দ করতেন তার ভাইয়ের মেয়ে তো আব্বু তার বোনের মেয়ে, আর চাচারা যার যার মত মেয়ে দেখতেন আমার জন্য। অথচ কেউ ভাবত না এই শিশুছেলেটি কি ভাবছে এসব নিয়ে। যেহেতু বইপত্র অনেক বেশী পড়তাম তাই বাল্যবিবাহ নিয়ে চিন্তার অন্ত ছিল না।
যদি আমাকে ছোট বয়সে বিয়ে দেয় আর আমি বউ রেখে মারা যাই, তখন আমার ভবিষ্যৎ ছেলেমেয়েদের কি হবে। আমার বউ আবার অন্য কাউকে বিয়ে করবে নাকি? অদ্ভুত সব চিন্তাভাবনা। যাইহোক, একটা বয়সের পরে তাদের সেই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি মিলেছিল।
গ্রামে সবাই তালুকদার সাহেবের নাতি বলে চিনতো আমাকে। তালুকদার সাহেবের নাতি বলেই হয়ত কখনো খারাপ কিছু করা বিশাল অপরাধ মনে হতো আমার কাছে।
ভীষণ মাত্রার লাজুক ছিলাম বলে আশেপাশের বাড়ির মেয়েদের নজরে ছিলাম। ছোট বয়সে রবি ঠাকুরের “ বাজিল বুকে সুখের মত ব্যাথা” না বুঝলেও বুঝতে পারতাম অনেক কিছুই। একবার নির্বাচনে দাড়ালেন আমাদের পাশের বাড়ির হাকিম কাকা। খুব স্নেহ করতেন আমাকে। তিনি মেম্বার পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে স্লোগান ,”হাকিম ভাই জিন্দাবাদ”, দেখলাম আমার বন্ধুমত হাকিম কাকার ছেলে শাহাদাত সে নিজেও বাপকে ভাই বানিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।
আমি আর কে, গলা ফাটিয়ে কাকাকে ভাই বলে চিল্লাইলাম। নির্বাচনের সময় ভালো লাগতো বিভিন্ন মার্কার ছবি দেয়া পোস্টার। হাতি, ছাগল, গরু, চেয়ার, আনারস, আম, গোলাপ ফুল আরও কত কি। বাড়িতে পোস্টার লাগানোর সময় আমাদের আলাদা পোস্টার দিয়ে যেত। সেই পোস্টার দিয়ে বইয়ের মলাটা বানিয়ে ফেলতাম আমরা।
আমার ছোটবেলার সৃতির সাথে আমার মায়ের তেমন কোন ভূমিকা নেই। আমার জন্মের পরে কিছুদিন তার কাছে শুয়েছিলাম হয়ত, তারপর থেকে আমার দাদী তার নাতিকে নিয়ে থাকেন। আমারও ভালো লাগতো না আম্মুর সাথে ঘুমাতে কিংবা আম্মুর হাতে ভাত খেতে। দাদুর সাথে ঘুমালে তার শরীর থেকে মিষ্টি জর্দার দারুন ঘ্রান আসতো। দাদুর কাপরে নাক ডুবিয়ে সেই ঘ্রান নিতাম আর সেটাই ছিল আমার ঘুমের টনিক।
আম্মুর সাথে সেই ঘ্রান ছিল না বলে ঘুমাতে পারতাম না। দাদু সারারাত পাখা দুলিয়ে বাতাস করতেন। দিনের বেলায় আমাকে কোলে করে এই বাড়ি ঐ বাড়ি ঘুরিয়ে আনতেন। আমার খেয়াল আছে আমার বয়স যখন সাত বছর, তখনো আমি দাদুর কোলে উঠে ঘুরি, আর লোকজন এই বয়সী একটি ছেলেকে অন্যের কোলে দেখে হা করে তাকিয়ে থাকে। দাদুর কোলে চড়ে ঘুরে বেড়ানোয় আমি খুব কম হাটলেই ক্লান্ত হয়ে পড়তাম।
তখন আবার দাদু কোলে নিয়ে হাটতেন।
আমার দাদা অনেক আদর করতেন আমাকে। কিন্তু রাতের বেলায় আমরা দুজন ছিলাম দুজনের শত্রু। কারন আমি চাইতাম না আমার আর দাদুর সাথে দাদা একই খাটে থাকুক। এই নিয়ে দুজনে ঝগরা করতাম রাতে।
বুঝতে পারিনি তখনো দাদাও তার বড় নাতিকে কতখানি ভালোবাসে। আমি কিছু খেতে চাইলে দাদা দ্রুত নিয়ে আসতেন। আমার জ্বর হলে রাতের বেলায় ছুটতেন ডক্তার দুধ রুটি আনতে। ছোটবেলায় একবার নাকি আমার খাওয়ার গুঁড়ো দুধ শেষ হয়েছিল, দাদা রাতে এসে জানতে পারেন এই অবস্থা। সেই রাতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার হেটে টংগিবাড়ি সদর থেকে দাদা দুধ নিয়ে আসেন আমার জন্য।
আরও অনেক ঘটনা আছে এমন। তবুও দাদাকে কেমন শত্রু শত্রু মনে হতো ছোটবেলায়।
আমার সাতার শেখার ঘটনা মনে পড়ছে খুব। আমাকে বর্ষাকালে সাতার শেখান দাদা। দাদাকে আমি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করতাম না।
আমি ভাবতাম আমাকে কোনভাবে সরিয়ে দিতে পারলে সে দাদুর সাথে থাকতে পারবে। সুতরাং তার প্রতি আমার সন্দেহের সীমা ছিল না। দাদা পুকুরে নেমে আমাকে বলতেন, “আয় দাদাভাই, আমাকে ধরে সাতার কাট। “ আমি তাকে ধরে সাতার কাটতে কাটতে মাঝ পুকুরে যেতাম। সে আমাকে মাঝ পুকুরে রেখে ঘাটলায় চলে আসতো।
আমি একপেট পানি খেয়ে কোনমতে জান নিয়ে ঘাটলায় আসতাম আর তার দিকে বজ্রদৃষ্টি নিক্ষেপ করতাম। আমার সেই দৃষ্টিতে যদি সুপার ম্যানের পাওয়ার থাকতো তাহলে দাদা নির্ঘাত সেখানে জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যেত। যাইহোক, এভাবেই একসময়ে পানি না খেয়ে ঘাটলায় আসা শিখলাম। বুঝলাম দাদা আমার ভালোর জন্যেই আমাকে একা ছেরে আসতেন। আর এই একা থাকার ভয় কাটাতে না পারলে আমার বাকি জীবন অ্যাবনরমালিটির মধ্যে কাটাতে হতো।
কিন্তু আমি তারও অনেক পরে শিখেছি একা চলতে। এখন একা চলতে চলতে কারো সংঙ্গ বিষাক্ত বলে মনে হয়।
একবার শুরু হলো ব্যপক ছেলেধরা প্রকোপ। এই শুনি এই গ্রামের কারো ছেলে উধাও তো পরদিন অন্যগ্রামের। প্রায়ই রাস্তায় দেখা যেত দুজন রিকশায় বসে আছে, একজন একটা কাগজ দেখে মাইকে বলছে, ”একটি বিশেষ ঘোষণা, এমুক গ্রামের তমুকের ছেলে হারানো গিয়েছে, ছেলেটির নাম এইরকম, তার পরনে ছিল শার্ট হাফপ্যান্ট, কোন হৃদয় বান ব্যাক্তি ছেলেটির খোঁজ জানলে.........” , সারাক্ষন চোখে চোখে রাখা হতো আমাদের দুই ভাইবোনকে।
বাড়িতে একটা সীমা এঁকে এর বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ জিনিসে মানুষের আকাঙ্ক্ষা যেমন প্রবল থাকে আমারও তার ব্যাতিক্রম ছিল না। মাঝে মাঝে আমি বাড়ির বাইরের দিকে চলে যেতাম। একদিন দাদুর চোখে পড়লাম। জীবনের প্রথম বাঁশের কঞ্চির বাড়ি খাইলাম বাড়ির বাইরে যাওয়ার জন্য।
আমার মাঝে বাড়ির বাইরে যাওয়া ভয়ংকর বলে মনে হতো তখন। এখন বুঝতে পারি, যদি আমাকে এভাবে বন্দী করে না রাখা হতো তাহলে হয়ত আমার মাঝে কখনো ভালো কিছু সৃষ্টি হতো না। সেই বন্দী থাকার সময়ে আমি নিজেকে জানতে পেরেছিলাম বলে পরে দুনিয়াকে জানতে চেয়েছিলাম, এখনো সেই নেশায় ছুটছি।
বর্ষাকালে নাকি চুলবালি নামের এক রাক্ষুসি নাকি পানিতে বাস করে। সে তার চুল দিয়ে পেঁচিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে যায় পানির নীচে।
বাচ্চারা আর ফিরে আসতে পারে না। পদ্মা আর বুড়ি গঙ্গায় তার অবাধ বিচরন। আমাদের বিক্রামপুরের দুইপাশে তিন নদী পদ্মা আর বড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরীর মিলনাস্থল। বড়দের ধারনা ছিল বুড়িগঙ্গার সেই বুড়িকে খুশি রাখতে পারে আর সেই চুলবালি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের টেনে নিয়ে যাবে না। সেই বুড়িকে খুশি করতে প্রতি বর্ষার শুরুতে আমরা পানিতে বড় একটি পান সুপারি চুন জর্দা দিয়ে ভাসিয়ে দিতাম।
পানিতে নেমে গোসল করার সময় যদি কোন চুল দেখতাম তাহলে দৌড়ে উপরে উঠে যেতাম। মাঝে মাঝে আম্মু কিংবা কাকি যখন ডুব দিয়ে উঠত তাদেরচুলে ঢাকা মুখ দেখে চুলবালি মনে করে পানি থেকে উঠে দিতাম দৌড়।
বর্ষার আগে পাটক্ষেতে নাকি “লেওনি” নামক একপ্রকার প্রানি থাকে যে চেটেপুটে একটা আস্ত মানুষ খেয়ে নিতে পারে। এত সুক্ষভাবে খায় যে যাকে খাচ্ছে সেও নাকি বুঝতে পারে না। যেমন খেতে কেউ ঘুমিয়ে আছে, ঘুম থেকে উঠে সে দেখল তার একটি পা নেই।
এমনকি সেই পায়ে ব্যাথাও নেই, এমন ভাবে খেয়েছে যে রক্তও নেই। অদ্ভুত লাগতো সেই লেওনির গল্প। আরেকটা অদ্ভুত এক্সপেরিয়েন্স ছিল খোক্ক সাপ। রাতের বেলায় এই সাপ খোক্ক খোক্ক করে ডাকতো। একবার পূবের ঘরে একটা খোক্ক সাপ বাসা করলো।
রাতের বেলায় সে দিব্যি ডেকে চলছে। বোঝা যায় হাপারের উপরে সে আছে কিন্তু তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের গ্রামের বাড়িতে তখন বিদ্যুত আসেনি। কুপি বা হারিকেন ভরসা। প্রায় একমাস চললো এই খোক্ক সাপের উপদ্রব।
একমাস পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ছোট চাচা খোক্ক সাপটা মেরে কাপড় রোদে দেয়ার তারে ঝুলিয়ে রেখেছে। দেখতে আরজিনা কিংবা বিশাল বড় টিকটিকি মনে হবে। অথবা ছোট চিকন গিরগিটি। সকালে খোক্ক সাপ ঝুলতে দেখে আমাদের আনন্দের সীমা নেই। চাচার দিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল নেপোলিয়নের সিংহাসন তাকে দিলেও তার বীরত্বের সঠিক মর্যাদা দেয়া হবে না।
দাদাকে দেখতাম খালি পায়ে হাটছেন। দাদুর নিয়ম ছিল খালি পায়ে হাটা যাবে না কখনো। আর দাদা বলতেন,”মাটি হচ্ছে সব রোগের ঔষধ, এই মাটি থেমে আমাদের জন্ম, আবার এই মাটি হয়ে যাব। খালি পায়ে হাটলে শরীরে কোন অসুখ বিশুখ করবে না। “ দাদার কথামত জুতা হাতে নিয়ে খালি পায়ে হেটে বেড়াতাম।
সন্ধ্যায় দেখা যেত দাদার বর্ণনার মাটিআম্মার সাথে হাঁস মুরগির বিষ্ঠা পায়ে লেগে আছে। দাদু সন্ধ্যায় যখন পা ধোয়াতে যেয়ে বলতেন জুতা পরি নাই কেন, তখন সব দোষ দাদার উপরে চাপিয়ে দিয়ে মিটিমিটি করে হাসতাম।
সন্ধ্যায় ওযু করে দাদার সাথে মাগরিবের নামজ পড়তাম। দাদা দ্বরাজ কন্ঠে তাকবীর দিতেন। আমি দাদাকে অনুসরন করতাম, তিনি রুকু দিলে আমিও রুকু দিতাম, তিনি সিজদা করলে আমিও সিজদা করতাম।
ছোট বেলায় আমার একটা খেলা ছিল যে আম্মু কিংবা দাদুকে যখন দেখতাম সিজদায় গেছে তখন আমি যেয়ে তাদের পিঠে চেপে বসতাম। আমি পরে যাব এই ভয়ে তারা সিজদা থেকে উঠতে পারতো না। নামাজের সময় সামনে দিয়ে হাটা চলা নিষেদ, ভুলে একবার সামনে দিয়ে হেটে গেলে পরে ভাবতাম পাপ হইছে, তখন আবার সামনে দিয়ে আরেকবার হেটে গিয়ে পাপমোচন করতাম। নামাজের পরে তসবিহ নিয়ে কিছুক্ষন জিকির করা হতো। তারপরে যেয়ে পড়তে বসতাম।
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ১
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ২
আমার শৈশব, কৈশোর আর তারপরের লাগামহীন দিনগুলি - ৩
(পর্বভিত্তিক ভাবে চলবে) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।