আমার ফ্রাংকলিনের মতো বলতে ইচ্ছে করছে, আমার মস্তিষ্ক আছে, হাতে আছে একখানা ভালো (কীবোর্ড.....!) কলম, আমার ভাবনা কী? যারা সব সময় নিয়ম মেনে চলতেই অভ্যস্ত তারা অজ্ঞদের দলে বলতে না পারলেও নিয়ম তৈরি করার জন্য জ্ঞানবান হওয়াটা জরুরী। যুক্তি ও বিবেক দ্বারা চালিত না হয়ে আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়ে পথচলা চরম বিড়ম্ভবনার মুখোমুখি করে। আমার কতটা প্রতিভা আছে, কতটা মগজ আছে তা আমারও জানা নেই তবে কলম হাতে সাদা খাতাটায় দাগ কাটতে ভীষণ ভাল লাগে।
একথা বলাটা বোধ হয় খুব মুশকিলের হবে যে, অনেকের অনুপাতে সঞ্চিত অভিজ্ঞতার মাত্রা আমার অনেক বেশি। তবে এটা বলার সাহস জাগে অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষমতার অনুপাতে কারো কারো চেয়ে এগিয়ে আছি।
আসাদগেটে http://www.the-editor.net এ স্টাফ রিপোর্টার, সাব-এডিটর হিসেবে, ত্রৈমাসিক নতুনকন্ঠ, মাসিক এডুকেয়ার এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে, প্রয়াস নামের বার্ষিক সাহিত্য সাময়িকীর তিনটি সংখ্যায় সম্পাদনা করেছি। নিবন্ধ সংকলন অণ্বেষণের একটি সংখ্যায় নির্বাহী সম্পাদক, আরেকটিতে সম্পাদক ছিলাম। ফার্মগেটের সেন্টার পয়েন্ট কনকর্ডে এডুকেয়ার ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক আর মানিক নগরের পিওর ফুড্স সাপ্লাই সেন্টার এর সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। এটি সত্য যে, বাঘের মুখোশ পড়ালেই কেউ বাঘ হয়ে যায়না আর কাগুজে বাঘ বানায়েও লাভ নেই। আসলে সিংহ থেকে বিড়ালের আচরণ পাওয়া যেমন অযৌক্তিক তেমনি বিড়াল থেকে সিংহের স্বভাব-প্রকৃতি আশা করাটা স্বাভাবিক নয়।
রিলায়েন্স গ্রুপে বাচ্চু ভাইয়ের সাথে কাজ করতে এসে শিখছি অনেক কিছু, হয়তো আরো শিখবো। একটা ব্যাপার খুব স্পষ্ট, অনেকে নিজের অযোগ্যতা সত্ত্বেও যোগ্য হিসেবে অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য হবার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। এতে নিজেকে নিজেই অপমানিত হবার যোগ্য করে তোলা হয়। মানুষ যা বলে তার সাথে কর্মে বৈপরিত্য বিশ্বাসে ফাটল ধরায়। ফলে আস্থার সংকট সম্পর্কের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়।
নিজের ভুলকে স্বীকৃতি দিতে বড় উদার মানসিকতা প্রয়োজন। অনেকেই নিজে দায়িত্ব নিয়ে ভীরুতা এড়িয়ে অপরাধ স্বীকারের দু:সাহস দেখাতে অক্ষম হয়ে পড়েন।
এরশাদনগরের মাহমুদ ভাইয়ের বাসা থেকে হোসেন মার্কেটের আপন গ্রুপের অফিস হয়ে ওয়ার্দান, চেরাগআলীর মিকাইল ভাইয়ের বাসা থেকে বেক্সিমকো, পল্টনের বাসমতির দু'তলা থেকে উত্তরার ব্রুকলি। জাবি থেকে ঢাবি, জাতীয় স্মৃতিসৌধ হয়ে ওপিপি এর উত্তরার অফিস, রমনা পার্ক থেকে আল রাজি কমপ্লেক্সে লিগ্যাল এইড। টাংগাইলের ইয়থফুলনেস এসোসিয়েশন, টংগীর ফ্রেন্ডস পাওয়ার এসোসিয়েশন, আউচপাড়া জনকল্যাণ সমিতি।
বিরতিহীন ছুটে চলা। গ্রাম থেকে শহর, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিএএফ শাহীন, জাহাঙ্গীরনগর হয়ে বর্তমান। থেমে নেই। এগিয়ে চলছে জীবন।
পরিশ্রমী, বুদ্ধিমান ও নৈতিকভাবে দৃঢ়তা সম্পন্ন মানুষের সফলতা ছাড়া জীবনে দ্বিতীয় কিছু নেই।
সফলতার জন্যে প্রয়োগকৃত একেকটি কৌশল করে সমৃদ্ধ ও অভিজ্ঞ। ভীরু,কাপুরুষ,অলস ও অদূরদর্শীদেরই কেবল ব্যর্থতার সাথে পরিচয় ঘটে। প্রচেষ্টা ও প্রয়াস চালাতেই সক্রিয়তা ও সরবতা। নিরবতা ও থমকে যাওয়া সংগ্রামীদের পক্ষে অসম্ভব। আপনার কাছে নতুন নতুন আইডিয়া থাকলে, সৃজনশীলতার কারণে আপনি অন্যের নজরে পড়বেন খুব সহজেই।
কিন্তু বীজ থেকে ফসল ফলানোর জন্যে যেমন জমিকে প্রস্তুত করার প্রয়োজন হয় তেমনি চিন্তার বাস্তব রুপায়নে পারিপাশ্বর্িক আয়োজনের দরকার পড়ে। ফলে আপনার কাছে যতই বীজ থাকুক জমিটা যদি অন্যের হয় তবে খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হবে জমির মালিকই। অথচ বীজ মোটেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার বীজ ফলার আয়োজন আপনাকেই করতে হবে অন্য কেউ এসে আপনার মাথায় মুকুট পড়িয়ে দেবে এমনটা ভাবা বড্ড দোষের হবে।
সচেতনতাই অনেক ৰেত্রে নতুনকে গড়ে তোলে আবার পুরাতনকে ভেঙ্গেও ফেলে।
কেউ যদি ভাবে সে শুধুই গড়বে সেটা যেমন হাস্যকর হবে তেমনি কেউ শুধুই ভাঙ্গতে চাইলে তা গ্রহণযোগ্য হবেনা। ভাঙ্গা গড়ার মধ্য দিয়েই গতিময়তা থাকবে অব্যাহত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।