আমি একজন অতি সাধারন বাংলাদেশের নাগরিক যে সপ্ন দেখে একটি সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের । এপ্রিল ফুল কি তা নিয়ে অনেকের মাঝে বিতর্ক আছে ? কোথা থেকে এর আগমন কিইবা এর উদ্দেশ্য তা নিয়েও অনেকের মাঝে কৌতুহল আছে । ইন্টারনেট ঘেটে যা বুঝতে পাড়লাম তা নিয়েই মূলত আমার এই লেখাটি । আমি আমার এই লেখাটির মাধ্যমে আজ কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো ।
উইকিপিডিয়াতে এপ্রিল ফুল নিয়ে যে আর্টিকেল দেওয়া আছে তাতে উল্লেখ আছে বেশ কয়েকটি স্পেনিশ ভাষাভাষি দেশে এই এপ্রিল ফুল নামের বিতর্কিত দিনটি পালন করা হয়ে থাকে , যদিও এতে এপ্রিল ফুল পালনের পিছনে মুসলমানদের অপমান করারা একটা কারন আছে তা তারা উল্লেখ করেনি, আর উইকিতে সবকিছু থাকবে এটাও তো নয় , এতে তথ্যের ঘাটতি থাকতেই পারে ।
উইকি থেকে বিস্তারিত জানতে Click This Link
স্পেন একসময় মুসলমানদের ইসলামী সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত ছিল । প্রায় ৮০০ বছর মুসলমানরা স্পেন শাষন করে । কিন্তু কালক্রমে স্পেনের রাজা এবং দেশ পরিচালনার কাজে নিয়োজিত দায়িত্বশিল সভাসদ বৃন্দ নিজেদের কর্তব্য ভুলে বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিলে স্পেনের রাষ্টড় কাঠামো সঠিক নিতি নির্ধারক এর অভাবে ক্রমেই দুর্বল হয়ে যেতে থাকে তারই সু্যোগ নিয়ে রানি ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিনান্ড মিলে মুসলিম নিয়ন্ত্রিত স্পেন দখল করে নেয় । স্পেন দখল করারা পর রাজা ফার্ডিনান্ড এর ঘোষনায় তার সৈন্য বাহিনী নিরীহ মুসলমানদের উপর ইতিহাসের নিকৃষ্টতম এক হত্যাযজ্ঞ চালায় যার বলি হতে হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ নিরপরাধ মুসলমানদের । রাজা ফার্ডিনান্ডের হিংস্র সৈন্যদের হাত থেকে দুধের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধও রক্ষা পায়নি ।
রাজা ফার্ডিনান্ড তার সৈন্য বাহিনী দিয়ে মসজিদ আশ্রয় নেয়া নিরীহ মুসলমানদের মসজিদের দরজা আবাদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে । এবং জাহাজে করে দেশ ত্যাগকারি মুসলমানরাও রেহায় পায়নি রাজা ফার্ডিনান্ডের হাতা থেকে মাঝ সমুদ্রে ফার্ডিনান্ড তার প্রশিক্ষিত সৈন্যবাহিনী দিয়ে মুসলমান বহনকারী জাহাজারের তলা ফুটো করে দিয়ে তাদের পানিতে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে । যাই হওক স্পেনে মুসলিম শাষন সম্পর্কে বিবিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ প্রকাশিত একটা আর্টিকেলের লিংক আমি আপনাদের সুবিধার্থে সংযুক্ত করেছি । যদিও এই আর্টিকেলে ইতিহাস বিদ Bernard Lewis এর যে মতামত তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটি কোন গ্রহনযোগ্য মত হতে পারেনা । এবং তাছাড়াও এতে আরো বেশ কয়েকটি তথ্য বিকৃত ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ।
কিন্তু তারা এটা স্বিকার করেছে যে মুসলমানদের শাষনকালেই স্পেন জ্ঞান বিজ্ঞানের সাফল্যের শিখরে আরোহন করতে পেরেছিল । এবং ১৪৯২ সালের পর মুসলমানদেড় উপর নির্মম নিয়মকানুনের খরগ নেমে এসেছিল যদিও তারা তখন ফার্ডিনান্ডের হাতে নির্মমভাবে নিহত হাজারো মুসলমানের কথা বেমালুম চেপে গিয়েছে । বিবিসির ওয়েবসাইটে যেতে Click This Link
উপরের কথাগুলার অবতারনা এজন্যই করলাম যারা স্পেনের সঠিক ইতিহাস জানেনা তাদের জন্য । এতে আমার লেখাটি বুঝতে সুবিধা হবে । তাছাড়া আজকের দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায়ো একটা রিপোর্ট ছেপেছে এপ্রিল ফুল নিয়ে যা থেকেও বুঝা যায় নানা বিধর্মি দেশে এপ্রিল ফুল দিনটা পালন করা হয় ১৪৯২ সালে স্পেনে নির্মমভাবে নিহত হওয়া মুসলমানদের অবজ্ঞা ও পুরো মুসলিম জাতিকে অপমান করারা উদ্দেশ্যেই ।
ইনকিলাবের রিপোর্ট টি পড়তে , Click This Link
তাই এই দিনটি পালন করা মানে নিজের অজান্তেই আমাদের মুসলমান ভাইদের অপমান করার সামীল । তাই আমাদের কে এই দিনটি পালন থেকে বিরত থাকতে হবে ।
তাছাড়া অনেকে এই দিনটিতে নানা মিথ্যা কথা বলে তার বন্ধু বান্ধবকে বোকা বানায় যা মূলত প্রতারনার সামিল । আসুন দেখি মিথ্যা কথা বলা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে >>>
মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, মিথ্যা এবং বিশ্বাস ভঙ্গ ব্যতীত অন্য অনেক দুর্বলতাই মুমিন চরিত্রে থাকতে পারে। (আহমদ-বায়হাকি) অর্থাৎ মিথ্যাচার এবং বিশ্বাস ভঙ্গের স্বভাব ইমানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
ইমানের সঙ্গে এ দুটি বদভ্যাস একীভূত হওয়া অসম্ভব। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মিথ্যা হলো সব কবিরা গুনাহের মা। ’ কারণ একটি মিথ্যাকে ঢাকতে বা মিথ্যাকে বৈধ করার জন্য শত মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আল্লাহ তায়ালা মিথ্যাকে জুলুম বা অত্যাচার বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ পাক বলেন, ‘অতঃপর যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করেছে, তারা অত্যাচারী।
’ তিনি আরো বলেন, ‘মিথ্যা তারাই বলে, যারা আল্লাহর আয়াতে ইমান রাখে না। ’ (সুরা-নাহল, আয়াত-১০৫)
সুতরাং এ দিক থেকেও মিথ্যা কথা বলে কোন মানুষকে বোকা বানানো ইসলাম সমর্থন করেনা ।
তাছাড়া আরো জানতে আপনারা নিচের লিংক গুলা ভিজিট করতে পারেন >
১ ঃ Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।