আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দায় সরকারকেই নিতে হব--- নঈম নিজাম

Click This Link বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে লাঠিপেটার সময় দেশে ছিলাম না। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসে টিভিতে পুলিশি কাণ্ড দেখলাম। এবার ঢাকায় বসে দেখলাম বিদায়ী মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে নিয়ে পুলিশি কীর্তি! সরকারের একজন প্রভাবশালীকে ফোন করি। প্রশ্ন করি, কি দরকার ছিল খোকাকে টেনেহেঁচড়ে পুলিশভ্যানে তোলার? জবাবে বলা হয়, উচ্চপর্যায়ের কেউ জানেন না বিষয়টি। জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও সাংবাদিকদের একই কথা বললেন। তিনি জানতেন না। তাহলে কে জানতেন? আজব কাণ্ড! কার নির্দেশে খোকা আটক হলেন? আবার কার নির্দেশে ছাড়া পেলেন, কিছুই বুঝি না। সবকিছু হৈমন্তী শুক্লার গানের মতো_ 'আমি অবুঝের মতো একি করে চলেছি। ' কেন এমন হচ্ছে, বুঝতে পারছি না।

আসলে এই সরকারের কোথাও কোনো সমন্বয় নেই। দেখার নেই কেউ। যার যা ইচ্ছে তাই করছে। সাদেক হোসেন খোকা ক্ষমতায় ছিলেন ১০ বছরের কাছাকাছি। দীর্ঘ সময় মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তার বিরুদ্ধে সরকার তদন্ত করলে অনেক কিছু পাবে। মামলা করতে পারবে। কি দরকার ছিল মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মেয়রের ওপর নোংরাভাবে পুলিশি হামলার। কারণ ছাড়াই তাকে বিদায় করা হলো জনপ্রিয় করে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা কি বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারেন? মনে হয় না।

বর্তমান সরকারের তিন বছর সাদেক হোসেন খোকা সিটি করপোরেশনে ছিলেন আদর-আহ্লাদে। হঠাৎ বাদশাহী স্টাইলে তিন বছর পর মনে হলো তাকে বিদায় দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো, নির্বাচন দিলে আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রথমে ভাগ করা হলো সিটি করপোরেশনকে। এক ঢাকা হলো দুই সিটি।

দেওয়া হলো প্রশাসক নিয়োগ। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি বিদায় নিলেন। আসলেন দুজন আমলা। কথা ছিল তারা তিন মাস থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল এই মুহূর্তে নির্বাচন সম্ভব নয়।

তাই অপেক্ষা। আমলা প্রশাসকদের মেয়াদ বেড়ে হলো ৬ মাস। নতুন ইসি নির্বাচন করবেন। ঢাকাবাসীর ফের অপেক্ষা। কিন্তু নতুনরা এসে কি বলবেন জানি না।

কারণ সময়টা বড় খারাপ। এবার সবকিছুতে কাঠিন্য। কি সরকারি দল কি বিরোধী দল সব একাকার। চারদিকে হতাশার ছায়া। বাংলাদেশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের কাছে মানুষ সমানভাবে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে।

সরকারে থাকলে দায়িত্ব বেশি। বিরোধী দলে থাকলেও কম নয়। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় সবার ভূমিকা সমান্তরাল। মানুষ শান্তি চায়। স্থিতি চায়।

কারও ভুলের প্রায়শ্চিত্ত আগামীতে সাধারণ মানুষকে কেন দিতে হবে? হিন্দি ছবির রাজনৈতিক চিত্র বাস্তবে দেখার আগ্রহ কারও নেই। শান্তিপ্রিয় দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পক্ষে। সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চোরাগোপ্তা হামলা, গুপ্তহত্যার পক্ষে নয়। অস্বাভাবিকতা দেখে সবাই ক্লান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণুতা কারোরই ভালো লাগছে না।

অকারণে রাজপথে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। চোরাগোপ্তা বোমা হামলা চলছে। মানুষের নিরাপত্তা নেই। বাসের মধ্যে জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। নিরীহ মানুষের কি দোষ? বাস, গাড়ি ধ্বংস করে কি লাভ? হত্যা, সন্ত্রাস শান্তি আনতে পারে না।

অশান্তির আগুন জ্বলছে গুপ্তহত্যা নিয়ে। চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন মেলে লাশ। কেউ দায়ভার স্বীকার করে না। কিন্তু সরকারের দায় এড়ানোর সুযোগ কোথায়? দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।

দায় এড়ালে চলবে না। বিদ্যমান আতঙ্ক দূর করতে হবে। এ ধরনের আতঙ্কের পরিণাম শুভ হয় না। দেশ-বিদেশে এমন উপমা অনেক। ১৯৭৫ সালে ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর শাসনকালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল।

বেড়ে গিয়েছিল অপরাধপ্রবণতা। জন্মনিয়ন্ত্রণের নামে হয়রানি করা হতো সাধারণ মানুষকে। গুম, হত্যা, ক্রসফায়ার জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। ইন্দিরা গান্ধীর কাছে তার আপনজনরা রিপোর্ট করতেন সবকিছু ঠিক আছে। কোথাও সমস্যা নেই।

ইন্দিরাকে বলা হতো লৌহ মানবী। বাস্তবেও তিনি তা ছিলেন। যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে সেনাদের উৎসাহ জোগানোর অনেক দৃষ্টান্ত তার রয়েছে। তার বাবা জওহরলাল নেহেরুর শাসনকালে, কিংবা লাল বাহাদুর শাস্ত্রির মন্ত্রী হিসেবে এ কাণ্ডগুলো তিনি ঘটান। বাবার শাসনকালে ইন্দিরা কংগ্রেসের সভানেত্রী নির্বাচিত হন।

এ সময় শুরু হয় চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ। আসাম সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ছাউনিতে ইন্দিরা যখন হাজির, তখন সিভিল প্রশাসন ছিল পলাতক। আর কাশ্মীর যুদ্ধের সময় ইন্দিরা ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। বাবা নেই। চাচাদের সঙ্গে রাজনীতি করছেন।

হঠাৎ করে কাউকে না জানিয়ে সেনাদের পাশে দাঁড়ালেন ইন্দিরা। সেই ইন্দিরা সত্তরের দশকের শাসনে বাস্তবের বাইরে চলে যান। গুম, ক্রসফায়ার ও জোর করে শাসনের চেষ্টা তার জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি। ১৯৭৬ সালের নির্বাচনে ভয়াবহভাবে হারেন তিনি। চাটুকারদের দেওয়া তথ্য বাস্তব ছিল না।

মানুষ ইন্দিরাকে শুধু প্রত্যাখ্যান করেনি, নির্বাচনের পর বের হলে তার গাড়িতে ঢিল ছুড়ত। তার নামে নিন্দাবাদ স্ল্লোগান হতো। তাই রাষ্ট্রীয় শাসনে বাস্তবতাকে মেনে চলাই ভালো। বিশ্বের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্টের নাম ইসাবেল পেরন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি তিনি আর্জেন্টিনা শাসন করেন।

কিন্তু ইতিহাসের বিশ্লেষণ ভিন্নরকম। বিশাল ইমেজ নিয়ে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুর্বলভাবে দল ও সরকার পরিচালনার কারণে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। করুণভাবে বিদায় নিতে হয়েছে। এমনকি রাজনীতিও ছাড়তে হয়েছে আশির দশকে এসে।

আমাকে একজন কূটনৈতিক একদিন প্রশ্ন করলেন, শেখ হাসিনাকে তুমি কি লৌহ মানবী মনে করো? আমি বললাম, কেন এই প্রশ্ন করছ? কূটনৈতিক বললেন, তুমি তো তাকে কাছ থেকে দেখেছ। তাই প্রশ্ন করছি। জবাবে বললাম, আমি একজন মানবতাবাদী নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেখেছি। তিনি বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী। কূটনৈতিক বন্ধু পাল্টা প্রশ্ন করলেন, দেশ শাসনে এবার কি মনে হচ্ছে? আমি কৌশলে জবাব এড়িয়ে গেলাম।

আসলে এবার আমার মনেও অনেক প্রশ্ন। কোনো কিছুর জবাব মিলছে না। একদল অদক্ষ, অযোগ্য অমাত্য শেখ হাসিনাকে ঘিরে ফেলেছে। ফরমালিন মাখানো সরকার ও আওয়ামী লীগ একাকার। কোনো কিছুই বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

এক ধরনের দাম্ভিকতায় পেয়ে বসেছে ক্ষমতাসীনদের। তারা মানুষকে মানুষ মনে করছে না। মন্ত্রী-এমপিরা কর্মীদের মূল্যায়ন করছেন না। দাম্ভিকতা দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না। আর করলেও পরিণাম ভালো হয় না।

আমি সবচেয়ে দাম্ভিক জাতি ব্রিটিশদের কথা টানছি। ক্ষমতাধর দাম্ভিক ব্রিটিশরা গর্ব করে বলত, তাদের সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না। আঠারোশ শতকের শুরুর দিকে একবার আমেরিকা ব্যবসায়িক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে। আমেরিকানদের বাড়াবাড়ি ব্রিটিশদের ভালো লাগেনি। তাই শায়েস্তা করতে এক দল ব্রিটিশ সৈন্য হামলা করে যুক্তরাষ্ট্রে।

মার্কিন সৈন্যদের নাস্তানাবুদ করে ব্রিটিশরা আগুন লাগিয়ে দেয় হোয়াইট হাউসে। পুড়তে থাকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন। অর্ধেক পোড়ার পর হঠাৎ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। এতেই নিভে যায় আগুন। সম্পূর্ণ ধ্বংস থেকে রেহাই মেলে হোয়াইট হাউসের।

ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রিটিশ সেনারা। এখনো অনেক মার্কিনি বিশ্বাস করেন, সেই সময় ঝড় দিয়ে গড তাদের রক্ষা করেছেন। সময় বদলে গেছে। সেই রামও নেই। অযোধ্যাও নেই।

আমেরিকানরা এখন অনেক শক্তিশালী। তারা নিজেদের দুনিয়ার বাদশা মনে করে। অন্যদিকে ব্রিটিশদের অহমিকা মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। তারা শুধু মার্কিন ঘেঁষা নন, অনেক বিষয়ে তাদের তোষামোদ করে শান্তি পায়। তাই ক্ষমতার অহমিকা করে লাভ নেই।

দুনিয়ার কোনো রাজা, বাদশাহর দাম্ভিকতার পরিণাম ভালো হয়নি। ক্ষমতায় আসার আগে একধরনের অঙ্গীকার। আর ক্ষমতার মেয়াদে সবকিছু ভুলে যাওয়া ভালো কিছু নয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের একটা দেশ দিয়েছেন। তার দল আওয়ামী লীগ কি না পারত।

সবই সম্ভব ছিল। দেশটাকে বদলে দিতে মানুষ আওয়ামী লীগকে ২৬২ আসন দিয়েছে। অথচ তিন বছরের মাথায় সবকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে। জোর করে ক্ষমতায় টিকেও থাকা যায় না। দলীয়করণের পরিণামও শুভ নয়।

এরশাদ দলীয়করণ করেননি। তার সময় সিভিল প্রশাসনে দলীয় লোক দেওয়া হয়নি। এরশাদ জমানায় বিএসএস দিয়ে সিভিল সার্ভিসে আসেন আবুল আলম শহীদ খান, রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন খান. আলাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ড. জাকিরউল ইসলামসহ ডজনে ডজন ছাত্রনেতা। পাবলিক সার্ভিস কমিশন জানতে চায়নি তারা কে কোন দল করে। পিএসসি দেখেছে শিক্ষা, মেধা, মনন, যোগ্যতা।

এরশাদ তার দলের নেতা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-পড়শিকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনে দেননি। এমন চিন্তা স্বৈরাচারের মাথায় ছিল না। গণতন্ত্রের আমলে এই আজব কাণ্ডগুলো হচ্ছে। স্বৈরাচাররা দক্ষ কর্মকর্তার মূল্যায়ন করতেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচন দিয়ে সৃষ্টি করতেন নতুন নেতৃত্ব।

গত ২০ বছর দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঞ্চিত জাতীয় নেতা সৃষ্টি থেকে। ডাকসুর ভিপি, জিএসরাই জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছেন বারবার। কিন্তু আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য গণতান্ত্রিক সরকারগুলো এ ব্যাপারে টুঁ শব্দ করে না। আওয়ামী লীগ অনেক কিছুর মধ্যে এই কাজটিও পারত।

কিন্তু তারা তা করেনি। আওয়ামী লীগকে দিয়ে আরও অনেক কিছু হতো। বদলে দেওয়া যেত দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংস্কৃতি। বিশ্বের দরবারে ভিন্ন ইমেজে যাত্রা শুরু হতে পারত। কিন্তু হয়নি।

তিন বছরে পদ্মা সেতু হয়নি। উড়াল সেতু হয়নি। পাতাল রেলের খবর নেই। বিমান, রেল, সড়কের অবস্থা ভয়াবহ। বিদ্যুৎ খাতে এখনো হাজারো সমস্যা।

স্বাস্থ্য খাতে অরাজকতা বিরাজ করছে। শিক্ষা খাতে পরিবর্তন হয়নি। দিনবদলের সনদের খবর নেই। পিএসসি দলীয়করণ হয়েছে। দেশের মানুষ চাকরি পায়নি।

দলীয় নেতা-কর্মীরাও বঞ্চিত হয়েছেন। বেচা-কেনা করে দেড় ডজন আওয়ামী টেলিভিশনের মালিক ভালো আছেন। আর বাস্তবে সরকারের সাফল্য তুলে ধরার মিডিয়া নেই। পরতে পরতে সরকারের ভুল। নিরাশার দোলায় নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরা।

নারায়ণগঞ্জে ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। কুমিল্লায় কি হবে জানি না। ঢাকার অবস্থা কমবেশি সবাই অনুধাবন করছেন। তোষামোদকারী, চাটুকাররা কখনোই কোনো সরকারের জন্য মঙ্গল আনতে পারে না। আওয়ামী লীগের জন্যও আনবে না।

টকশোতে আজকাল আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলার লোক দেখি না। মাত্র তিন বছরের মাথায় কেন এমন হলো? কে জবাব দেবে? পাদটীকা : সিটি করপোরেশন কমিশনারের কাছে চারিত্রিক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গেলেন এক নগরবাসী। কিন্তু না, কমিশনার বাসায় নেই। ভেতর থেকে বলা হলো, কমিশনার সাহেব বাসায় নেই। বাইরে আছেন।

কোথায় গেছেন? জানতে চান সার্টিফিকেট প্রত্যাশী ভদ্রলোক। এবার বলা হলো, তিনি জেলখানায়। বলেন কি! কি কারণে আমাদের কমিশনার জেলখানায়? অন্দর মহল থেকে এবার জবাব এলো, সমস্যা খুবই সামান্য। বোঝেনই তো কমিশনার মানুষ। চরিত্রে হালকা দোষ ছিল।

পুলিশ না শোনে ধর্মের কাহিনী। তাই চরিত্রের দোষে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশের অনেক ঘটনাই এখন এমন। পুনশ্চ : '৯০ সালের পর কেউই পরপর দুইবার ক্ষমতায় আসেননি। তারপরও আমরা শিক্ষা নেই না।

এমনকি ওয়ান-ইলেভেন থেকেও আমরা শিক্ষা নেইনি। বড়ই দুর্ভাগ্যজনক। কেউ বুঝতে চায় না, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। পাঁচ বছরের ক্ষমতা বালুর বাঁধ। সামান্য ঝড়ে উড়ে যেতে পারে।

বৃষ্টি হলে ক্ষয়ে যেতে পারে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।