আলো অন্ধকারে যাই আজ ১৭ই ডিসেম্বর ... ... একটু ফিরে যেতে চাই ১৯৭১ সালে ... ...
বিজয় চলে এসেছে । পাকিরা আত্মসমর্পণ করেছে । কিন্তু যশোর সেনানিবাস এ যারা ছিল , তারা আত্মসমর্পণ না করে , পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় । যশোর মুক্ত হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর । তারা যশোর থেকে পালিয়ে খুলনা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিমি. দূরে শিরোমণিতে পজিশন নেয় ।
তারা ৭ম নৌবহর এর আশায় খুলনা থেকে বঙ্গপসাগর এর দিকে সরে যাচ্ছিল । আজকের এই ১৭ ডিসেম্বর এ লে.কর্নেল এমএ মঞ্জুর তাঁর দল নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন । ৮ নং সেক্টর কমান্ডার এমএ মঞ্জুর দুই হাতে দুই এসএলআর উচিয়ে ফায়ার করতে করতে পাকিস্তানিদের ট্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে যান । পরাজিত হয়ে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় ।
এই যুদ্ধটি "ব্যাটল অব শিরোমণি " নামে ইতিহাস এ পরিচিত ।
বেশ বিখ্যাত একটি লড়াই । ভারত , যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের মিলিটারি একাডেমীতে এই যুদ্ধ সম্পর্কে সমরবিদ্যায় পড়ান হয় । আরেকটি তথ্য , ফ্রান্স এর war museum এ যুদ্ধ সম্পর্কিত অনেক দুর্লভ জিনিস সজ্জিত আছে । সেখানে উপমহাদেশের দুই জনের ছবি আছে । একজন টিপু সুলতান আরেকজন
হচ্ছেন এই লে.কর্নেল এমএ মঞ্জুর , বীর উত্তম ।
(পরবর্তীতে মেজর জেনারেল )
কিন্তু আক্ষেপের বিষয় ,জিয়া হত্যার পর ছড়ানো হয় তিনি এর সাথে জড়িত ছিলেন ।
পরে ২ জুন ১৯৮১ সালে , রেডিও এবং টিভিতে প্রচার করা হয় , "বিক্ষুব্ধ সিপাহিরা তাকে মেরে ফেলেছে । তাকে গ্রেফতার করে চট্রগ্রাম সেনানিবাসে আনার সময় (১ জুন,১৯৮১) পথে একদল সশস্ত্র লোক বন্দীদের ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে এবং নিরাপত্তা প্রহরীদের সাথে গুলি বিনিময় হয় । এতে জেনারেল মঞ্জুর গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন ও হাসপাতালে নেবার পথে তিনি মৃত্যুবরন করেন । "
এভাবে জিয়া হত্যার কলঙ্ক মাথায় নিয়ে তিনি চলে যেতে বাধ্য হলেন এই দুনিয়া থেকে ।
যে দেশের স্বাধীনতার জন্য তারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন সেই দেশের জনগন আজও জানে না তাদের কপালে সাড়ে তিন হাত মাটি জুটেছিল কিনা , কোথায় তাদের কবর ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।