prothom-alojobs news details small ad
বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ আলমের ছেলে সাফায়াত সোবহান সানবীরসহ পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মোতাহার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
অন্য আসামিরা হলেন—সামসুদ্দিন আহমেদ, নূরে আলম, খায়রুল হাসান ওরফে উজ্জ্বল ও হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে সামসুদ্দিন আহমেদ ও খায়রুল হাসান ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষী সাদিয়া আখতার ওরফে রাত্রি ও পাপিয়া গাইন ভ্রাম্যমাণ অথবা ভাসমান পতিতা হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ তাঁদেরকে খুঁজে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
অথবা এই দুই সাক্ষী দরিদ্র বা আত্মসম্মানের ভয়ে আদালতে হাজির হননি। এ দুজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হলেও আদালতে এসে সাক্ষ্য না দেওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তাঁদের দেওয়া জবানবন্দি বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই। ’
এ ছাড়া মামলার তদন্ত সম্পর্কে বিচারক বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী তদন্তের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারতেন, কিন্তু তা করেননি। প্রত্যক্ষদর্শী দুই সাক্ষীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি ভিডিও ধারণ বা স্থিরচিত্র ধারণ করে আদালতে তা দাখিল করতে পারতেন। যা সাক্ষ্য আইনের তিন (৩) ধারায় দালিলিক প্রমাণ হিসেবে গণ্য করা যেত।
’
রাষ্ট্রপক্ষ ঘটনার পারিপার্শ্বিক বর্ণনা উপস্থাপন করলেও এ মামলার প্রত্যক্ষদর্শী কোনো সাক্ষী উপস্থাপন না করায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। তাই মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।
গত ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
২০০৬ সালের ৪ জুলাই রাতে গুলশানের একটি বাড়িতে খুন হন বসুন্ধরা টেলিকমিউনিকেশনস নেটওয়ার্ক লিমিটেডের পরিচালক সাব্বির। এর তিন দিন পর নিহতের ভগ্নিপতি এ এফ এম আসিফ এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।