A LITTLE MAN FROM SARAIL
আরিফুল ইসলাম সুমন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে লিলু হত্যার প্রধান আসামি হাজী রফিক উদ্দিন ঠাকুর সহ সকল আসামিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রফিক উদ্দিন ঠাকুর সরাইল উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান। সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন লিলু হত্যার আসামিরা ক্ষমতার দাপটে আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা তদবির করিয়ে লিলু হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে। এলাকাবাসী লিলুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
এলাকাবাসী জানান, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১২ জুন সকালে সশস্ত্র হামলায় কুট্টাপাড়া গ্রামের আনিছ উদ্দিন ঠাকুর ও গ্রামের জামাতা মো. লিলু মিয়া খুন হন। জোড়া খুনের ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়। সরাইল থানা পুলিশ আনিছ হত্যা মামলাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবং লিলু হত্যা মামলা কুমিল্লায় অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সি আই ডি) হস্তান্তর করেন। ইতিমধ্যে আনিছ হত্যা মামলার তিন জন আসামি গ্রেপ্তার হলেও লিলু হত্যার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
রোববার সকালে লিলু হত্যার বিচার চেয়ে কুট্টাপাড়া গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন।
কুট্টাপাড়া গ্রামের মো. শহীদ মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সরাইল উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, মো. ইনু মিয়া, আহাদ আলী সরদার, ানহত লিলুর স্ত্রী নাছিমা বেগম প্রমূখ। এছাড়া হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের আট বছরের শিশু মিজান ওইদিন ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়। আ’লীগ নেতা আবদুর রাশেদ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে আনিছ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি এই হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কিছুই জানি না। লিলু হত্যার আসামিরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। আনিছ হত্যা মামলায় নির্দোশ ব্যক্তিদের আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। নিহতের স্ত্রী নাছিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর ও তার ভাইয়েরা মিলে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা আমার দায়ের করা মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। মামলা তুলে নিতে রফিক ঠাকুর আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
শিশু মিজান জানায়, তারই চোখের সামনে তার পিতা লিলু মিয়াকে তারা কুপিয়ে হত্যা করেছে। সমাবেশের আগে উত্তেজিত নারী-পুরুষরা জুতা প্রর্দশন করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষুব্ধরা আ’লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ফাঁসি দাবি করেন।
এদিকে সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, আবদুর রাশেদ ও মনির উদ্দিন ১৯৭৪ সালে সরাইলের জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা করেছিল।
তারা গত ১২ জুন সকালে আমার ছোট ভাই আনিছ উদ্দিন ঠাকুরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আনিছ হত্যাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য তারা লিলু মিয়াকে হত্যা করে নাটক সাজিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় আমার ভাই ও লিলু মিয়া হত্যার রহস্য বের হয়ে আসবে।
লিলু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল¬া সি আই ডি পুলিশের (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) উপ-পরিদর্শক রফিক আহমেদ বলেন, মামলাটি বির্তকিত। তাই বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি।
দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।